রম্যকথা
মজিদ মিয়া সমগ্র মাথাটা কামিয়ে ফেলেছেন।তাও আবার বউয়ের যন্ত্রণায়।মজিদ মিয়ার চুল এত লম্বা হয়ে গেছে যে সেখানে উকুনেরা বাসা বেঁধেছে।সেই উকুনের যন্ত্রণায় উনার স্ত্রী তাকে চুল কাটতে বললেন।এমনকি না কাটলে তালাকের প্রচন্ড ভয় দেখালেন।শুনে মজিদ মিয়ার মাথা চড়ে গেল।সামনে একটা বাচ্চাকে পেলেন।কষে একটা থাপ্পড় মারলেন ।ছোট বাচ্চাটার নতুন দাঁত উঠেছে।থাপ্পড় খাওয়ার পর কাঁদতে লাগল হাউমাউ করে।রাগ করে মজিদ মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।সেলুনে গেলেন।চিকনা এক নাপিত কাঁচি দিয়ে তলোয়ার খেলা খেলছে।মজিদ মিয়া যেতেই নাপিত বলল,''কি খবর ভাইজান।আপনারেই ত আমি খুজতাছি।সেই মনে আছে ৮ মাস আগে মাথা মুন্ডাইছিলেন তার টেকা এখনও বাকি রইছে।''মজিদ মিয়া বললেন,ঠিক আছে তুর টেকা পাইয়া যাবি।আইজকাও ওই কাম করমু,তর টেকা পাইয়া যাবি।''নাপিত হিন্দি একটা গান ছাড়ল।সারা মাথা মুন্ডিয়ে ফেলল মজিদ।রাস্তায় বের হতেই প্রচন্ড রোদ চান্দিতে গরম অনুভূত হচ্ছে। এই গরমের মাঝেও মজিদ মিয়া গরম চা খেতে গেলেন।অবশ্যা চায়ের দোকান টা তার বউয়ের।তার বউই দোকানটা চালায়। মজিদকে দেখে তার বউ অনেক খুশি হল।তাকে গরম গরম এক কাপ চা খাওয়ালো।চা খেয়ে মজিদ বাজারে যাওয়ার জন্য রিক্সায় উঠল।পথে দেখল লোকজন তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল সে কি ব্যাপার? রিক্সাওয়ালাও ফিচ করে হেসে দিল।রিক্সাওলা এত জোরে হাসতে লাগল যে মজিদের মনে হচ্ছিল...।মজিদ পেছনে বসা ,পেছন থেকে রিক্সাওলাকে সজোরে এক লাত্তি মারল(এই লাথির এনার্জি হচ্ছে:(এত যত্নের চুল মুন্ডানো,বউয়ের হুংকার) রিক্সাওলা উলটে গিয়ে পড়ল একজন মুচির কোলে।তারপর একজন মজিদকে বলল,''ভাই আপনার মাথার ডানপাশে অনেক বড় করে চুল কেটে লিখেছে,''মজিদ মিয়ার ফোন নম্বর'' ০১৭........''
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহীন রহমান (রুদ্র) ৩১/০৩/২০২০ধন্যবাদ সবাইকে।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ৩০/০৩/২০২০সুন্দর রম্য কথা।
-
শাহীন রহমান (রুদ্র) ৩০/০৩/২০২০সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
-
গাজী তারেক আজিজ ২৯/০৩/২০২০মজিদ মিয়ার ফোন নম্বর
-
অধীতি ২৯/০৩/২০২০বেশি তাড়াহুড়ো করবেন না,আর একটু ধীরে লিখুন।ভাল প্রচেষ্টা।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৯/০৩/২০২০beautiful
-
ফয়জুল মহী ২৮/০৩/২০২০♥️♥️
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/০৩/২০২০রম্য বুঝতে পারিনি।