কর্মফল
ট্রাফিক পয়েন্টে বসে পুলিশ আনমনে সিগারেট টানছে।ওদিকে সারা রাস্তা জ্যামে ভরে গেছে।সেদিকে ট্রাফিক পুলিশের খেয়াল নেই।রহিম মিয়ার স্ত্রী প্রেগনেন্ট।বেচারা রহিম মিয়া গরীব।কষ্ট করে একটা সি,এন,জি জোগাড় করেছে স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য।এখন এমন জ্যামে আটকা পড়েছে।ওদিকে তার স্ত্রী ব্যথায় কাতরাচ্ছে।পুলিশের কোনো খেয়াল নেই।একটা সি এন জিকে আটকিয়ে ঘুষ আদায় করছে।জ্যাম কোনোমতেই কমছেনা।গাড়ীর হরণে আর মানুষের চিৎকারে রহিমের স্ত্রীর অবস্থা আরও খারাপ।পুলিশ কিছুই করছেনা।রহিম মিয়া বেরিয়ে এল গাড়ি থেকে।পুলিশকে বলল,স্যার জ্যাম বহত। স্যার জ্যামটা ক্লিয়ার করেন।আপনি ডিউটি করেননা।আমার স্ত্রী ব্যথায় কাতরাচ্ছে।পুলিশ ঘুষ নেয়াতে মগ্ন।একবার আড়চোখে তাকাল রহিমের দিকে।তারপর কলার ঝাপটে ধরে বলল,শালা তুই কে আমাকে ডিউটি শেখানোর?বলেই কষে একটা থাপ্পড় মারল।রহিম মিয়া চলে গেল।সে কোলে করেই তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে হাঁটতে থাকল।ব্যথায় বেচারী কাঁদতেছে।অবশেষে সে তাকে নিয়ে হসপিটালে পৌঁছাল।কিন্তু তার সন্তান বাঁচলেও তার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেনি।চোখ বেয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তে থাকল।পড়শী এক এতিম মেয়ে ছিল তার স্ত্রী।তাকে নিয়ে সুখেই ছিল তার সংসার।আজ সে মারা গেল।ডাক্তাররা বলল,আরেকটু আগে নিয়ে এলে মাকে বাঁচানো যেত।রহিম মিয়া অঝোরে কাঁদতেছে।
রাতে ট্রাফিক পুলিশ বাসায় ফিরছে।আনমনে সিগারেট টানছে।আজ পকেটে অনেক টাকা জমা হয়েছে।মনে মনে অনেক খুশি।পুলিশ সাহেব এখনো বিয়ে করেননি।একা একা রেঁধে খান।রান্না করতে যাবেন।ম্যাচবক্সটা আনেননি।গ্যাসের সুইচটা অন করে লাইটার আনতে গেলেন।ওদিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।খুশির টেলায় পুলিশ সাহেব সেটা ভূলে গেছেন।লাইটার খুঁজতে অনেক সময় চলে যায়।আসার সময় আরেকটা সিগারেট ধরালেন।যেই রান্নাঘরে প্রবেশ করলেন,সারারুমে আগুন ধরে গেল।গগনবিদারী চিৎকার দিচ্ছেন পুলিশ সাহেব।সারা শরীর ,ঘর আগুনে পুড়ে যায়।তার চাকরীও চলে যায়।এখন পেট চালানোর জন্য তিনি ভিক্ষা করেন।যে মানুষ ধমকিয়ে টাকা আদায় করত,ঘুষ নিত বেতন পাওয়া সত্ত্বেও।আজ সে পেট চালানোর জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে রয়।
রাতে ট্রাফিক পুলিশ বাসায় ফিরছে।আনমনে সিগারেট টানছে।আজ পকেটে অনেক টাকা জমা হয়েছে।মনে মনে অনেক খুশি।পুলিশ সাহেব এখনো বিয়ে করেননি।একা একা রেঁধে খান।রান্না করতে যাবেন।ম্যাচবক্সটা আনেননি।গ্যাসের সুইচটা অন করে লাইটার আনতে গেলেন।ওদিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।খুশির টেলায় পুলিশ সাহেব সেটা ভূলে গেছেন।লাইটার খুঁজতে অনেক সময় চলে যায়।আসার সময় আরেকটা সিগারেট ধরালেন।যেই রান্নাঘরে প্রবেশ করলেন,সারারুমে আগুন ধরে গেল।গগনবিদারী চিৎকার দিচ্ছেন পুলিশ সাহেব।সারা শরীর ,ঘর আগুনে পুড়ে যায়।তার চাকরীও চলে যায়।এখন পেট চালানোর জন্য তিনি ভিক্ষা করেন।যে মানুষ ধমকিয়ে টাকা আদায় করত,ঘুষ নিত বেতন পাওয়া সত্ত্বেও।আজ সে পেট চালানোর জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে রয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেজাউল ইসলাম ২৩/০৩/২০২০এগিয়ে যান
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২২/০৩/২০২০Excelent
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৮/০৩/২০২০ভালো
-
টি এম আমান উল্লাহ ১৫/০৩/২০২০ভালো
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৩/২০২০ভালো
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১৩/০৩/২০২০গল্পের বাচনভঙ্গী অনেকটা ঘটনা বর্ণনার মত মনে হয়েছে, আরও ভালো হবে আশা করছি।।
গল্পের থিমটা নৈতিকতা ও শিক্ষামূলক। ভালো লেগেছে।। -
শাহীন রহমান (রুদ্র) ১৩/০৩/২০২০ধন্যবাদ সবাইকে ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৩/২০২০কষ্টকথা।
-
ফয়জুল মহী ১২/০৩/২০২০মনোরম ও মনোহর লেখনী ।