আত্নার প্রতিশোধ
ডাক্তারের ভূল সিদ্ধান্তে রকিবকে মৃত ঘোষণা করা হয়।রোড এক্সিডেন্ট হয়েছিল রকিবের।সে মারা যায়নি।ডাক্তাররা ভেবেছিল সে মারা গিয়েছে।তাই তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়।জানাযা হয়েছিল সন্ধ্যার সময়।ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল।লাশের উপর মাটি দেওয়া হচ্ছে তাড়াতাড়ি।দাফন শেষ।মা-বাবার কান্না আর আর্তনাদ যেন আরশে পৌঁছায়।
রকিবের আত্না শান্ত হয়নি।কলেজ থেকে ফিরছিল সে।রাস্তার বা পাশ দিয়ে হাঁটছিল সে।হঠাৎ একট দ্রুতগতির ট্রাক এসে তাকে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মারে।প্রচুর রক্ত বইতে থাকে তার মাথা দিয়ে।কেউ আসেনি তাকে সাহায্য করতে।সবাই মোবাইলে ভিডিও করছিল।তারপর কেউ একজন সরকারি একটা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে ডাক্তারদের আলস্য আর খামখেয়ালি প্রচুর।বিনা চিকিৎসায় তারা রকিবকে মৃত ঘোষণা করে।
শুক্রবার রাত ন'টা বাজে।রকিবের আত্না জেগে উঠে।যেই ট্রাক তাকে ধাক্কা মেরেছিল তার খোঁজ শুরু করে সে।তারপর তেমুখী স্ট্যান্ডে সেটা পেয়ে যায়।ট্রাকের মালিক বিড়ি টানছিল।তারপর দেখল ড্রাইভার ফোনে কথা বলছে।কন্ঠটা পরিচিত মনে হচ্ছে রফিকের।ড্রাইভার হেসে হেসে কথা বলছে।হঠাৎ ড্রাইভার বলে উঠল,ছেলেকে তো শেষ করে দিয়েছি এবার মা-বাপের পালা।রকিব চমকে উঠে।ড্রাইভার ফোন শেষ করল।
রকিবের বাবা প্রচুর সম্পদশালী।অনেক মেহনত করে প্রচুর টাকা কামিয়েছেন।মানুষের সেবা করেন তিনি।আর তার ছোট ভাই একজন মাদক ব্যবসায়ী।যত ধরনের খারাপ কাজ আছে তার সাথে সে জড়িত।পারিবারিক সম্পত্তির জন্য সে পাগলপ্রায়।
রকিব ট্রাকের ড্রাইভারের সাথে মিশে যায়।খোঁজ করতে হবে কে এই লোক।কেনইবা তাকে খুন করল।আর তার মা-বাবাকে খুন করার অর্ডারই বা কে দিচ্ছে?
পরদিন ফোন এল।ট্রাকের ড্রাইভার এখন রকিব।ড্রাইভারের আত্নার সাথে সে মিশে গেছে।ফোনে কে একজন বলছে,আজ ওর মা-বাবাকে খুন করতে হবে।এডভান্স টাকা নেওয়ার জন্য নতুন পুলের নিচে আসিস।রকিব বলল,'ঠিক আছে।'ট্রাকের ড্রাইভার গাড়ী চালাচ্ছে।তার ভিতরে তো রকিব মিশে গেছে।নতুন পুলের কাছে আসল তারা।ট্রাক থেকে নামল রকিব।নেমে যা দেখল তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা সে।স্বয়ং তার চাচা এসেছেন টাকা হাতে।রকিব টাকা নিল।তার চাচা বললেন,আমি এখন একটু তেমুখি যাব আমায় নামিয়ে দিয়ে আয়।তার চাচা ট্রাকে উঠলেন।তখন সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।রকিব ট্রাক নিয়ে সোজা তার কবরস্তানে নির্জন জায়গায় এল।তার চাচা অবাক হয়ে বললেন,এই রহিম এই কোথায় নিয়ে এলি(ট্রাকের ড্রাইভারের নাম)।রকিব বলল,আমি রহিম না রকিব,বলেই তার চাচার গলা টিপে ধরল।তার চাচা ছটফটাতে শুরু করল।রকিব জিজ্ঞেস করল,কেন তার মা-বাবাকে খুন করতে চাইছে সে?আর কেনইবা তাকে খুন করল।তার চাচা বলল,আমার মাদক ব্যবসায়ে এবার প্রচুর লস হয়।অনেক টাকার দরকার ছিল।ধার-দেনা পরিশোধ করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।তাই তর বাবার সম্পত্তি লুটার জন্য প্রথমে তকে খুন করি।আমি জানতাম তুই জীবিত।কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তারকে টাকা খাইয়ে তকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করাই।আর জীবন্ত কবর দেই।এবার তোর মা-বাবাকে খুন করতে পারলে কোনো ওয়ারিছ না থাকায় সমস্ত সম্পত্তি আমার হয়ে যেত।আমি আবার ড্রাগসের বিজনেস শুরু করতাম।এর কারণেই রহিমকে ভাড়া করি তোর মা-বাবাকে খুন করার জন্য।''
রকিব বলল,''জানিস তোর জন্য আমার মা-বাবা কত কষ্ট পাচ্ছে।তোর জন্য আমাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে।তুই যতই খারাপ হসনা কেন তোর জন্য আমার বাবা ব্যাংকে তোর নামে টাকা জমা করে রেখেছে।আর তুই কিনা আমার মা-বাবাকে খুন করবি।''
তার চাচা মিনতি করে বলল,আমায় মাফ করে দে।আমায় ছেড়ে দে।''
রকিব বলল,তোর মত জানোয়ারদের জাহান্নামেও স্থান হবেনা। একে তো ড্রাগস দিয়ে কত মানুষের জীবন নষ্ট করেছিস।তারপর খুন।তোর নামে আমার বাবা যে টাকা জমা রেখেছেন তার শর্ত হল তুই যদি মরে যাস তাহলে সমস্ত টাকা গরীব দুঃখীদের দেওয়া হবে।তাহলে তকে মরতেই হবে।নতুবা আমার আত্না শান্তি পাবেনা।
তার চাচা চিৎকার করে উঠল।বাজান আমায় মাফ করে দে।আমায় ছেড়ে দে।রকিব তাকে টেনে হিঁচড়ে একটা গর্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।তার চাচা চিৎকার করে কাঁদছে।গর্তের মাঝে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়।তারপর মাটি ফেলতে থাকে। সে বলল,আমাকে যেরকম মেরেছিস সেরকম তুইও মরবি।জীবন্ত মরবি।মাটি ফেলতে থাকে সে।তার চাচা আর্তনাদ করছে।তারপর আস্তে আস্তে গর্ত ভরাট হয়ে যায়।মারা যায় তার চাচা।এবার রকিবের আত্না শান্তি পেয়েছে।তারপর ট্রাক নিয়ে তেমুখি চলে যায়।ড্রাইভারের ভেতর থেকে সে বের হয়ে আসে।আর এর আগে ড্রাইভারের একটা হাত মচকে দিয়ে আসে।এবার থেকে আর রহিম ট্রাক চালাতে পারবেনা।খুনের অংশীদার সেও।রকিবের অশান্ত আত্না শান্ত হয়েছে।এবার সে তার কবরে এসে শুয়ে পড়ে।সে মারা গেলেও বেঁচে আছে তার মা-বাবার হৃদয়ে।মা-বাবা এখনও সমাজের হতদরিদ্রদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।তাদের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন তারা।এতেই রকিব খুশি।
রকিবের আত্না শান্ত হয়নি।কলেজ থেকে ফিরছিল সে।রাস্তার বা পাশ দিয়ে হাঁটছিল সে।হঠাৎ একট দ্রুতগতির ট্রাক এসে তাকে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মারে।প্রচুর রক্ত বইতে থাকে তার মাথা দিয়ে।কেউ আসেনি তাকে সাহায্য করতে।সবাই মোবাইলে ভিডিও করছিল।তারপর কেউ একজন সরকারি একটা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে ডাক্তারদের আলস্য আর খামখেয়ালি প্রচুর।বিনা চিকিৎসায় তারা রকিবকে মৃত ঘোষণা করে।
শুক্রবার রাত ন'টা বাজে।রকিবের আত্না জেগে উঠে।যেই ট্রাক তাকে ধাক্কা মেরেছিল তার খোঁজ শুরু করে সে।তারপর তেমুখী স্ট্যান্ডে সেটা পেয়ে যায়।ট্রাকের মালিক বিড়ি টানছিল।তারপর দেখল ড্রাইভার ফোনে কথা বলছে।কন্ঠটা পরিচিত মনে হচ্ছে রফিকের।ড্রাইভার হেসে হেসে কথা বলছে।হঠাৎ ড্রাইভার বলে উঠল,ছেলেকে তো শেষ করে দিয়েছি এবার মা-বাপের পালা।রকিব চমকে উঠে।ড্রাইভার ফোন শেষ করল।
রকিবের বাবা প্রচুর সম্পদশালী।অনেক মেহনত করে প্রচুর টাকা কামিয়েছেন।মানুষের সেবা করেন তিনি।আর তার ছোট ভাই একজন মাদক ব্যবসায়ী।যত ধরনের খারাপ কাজ আছে তার সাথে সে জড়িত।পারিবারিক সম্পত্তির জন্য সে পাগলপ্রায়।
রকিব ট্রাকের ড্রাইভারের সাথে মিশে যায়।খোঁজ করতে হবে কে এই লোক।কেনইবা তাকে খুন করল।আর তার মা-বাবাকে খুন করার অর্ডারই বা কে দিচ্ছে?
পরদিন ফোন এল।ট্রাকের ড্রাইভার এখন রকিব।ড্রাইভারের আত্নার সাথে সে মিশে গেছে।ফোনে কে একজন বলছে,আজ ওর মা-বাবাকে খুন করতে হবে।এডভান্স টাকা নেওয়ার জন্য নতুন পুলের নিচে আসিস।রকিব বলল,'ঠিক আছে।'ট্রাকের ড্রাইভার গাড়ী চালাচ্ছে।তার ভিতরে তো রকিব মিশে গেছে।নতুন পুলের কাছে আসল তারা।ট্রাক থেকে নামল রকিব।নেমে যা দেখল তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা সে।স্বয়ং তার চাচা এসেছেন টাকা হাতে।রকিব টাকা নিল।তার চাচা বললেন,আমি এখন একটু তেমুখি যাব আমায় নামিয়ে দিয়ে আয়।তার চাচা ট্রাকে উঠলেন।তখন সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।রকিব ট্রাক নিয়ে সোজা তার কবরস্তানে নির্জন জায়গায় এল।তার চাচা অবাক হয়ে বললেন,এই রহিম এই কোথায় নিয়ে এলি(ট্রাকের ড্রাইভারের নাম)।রকিব বলল,আমি রহিম না রকিব,বলেই তার চাচার গলা টিপে ধরল।তার চাচা ছটফটাতে শুরু করল।রকিব জিজ্ঞেস করল,কেন তার মা-বাবাকে খুন করতে চাইছে সে?আর কেনইবা তাকে খুন করল।তার চাচা বলল,আমার মাদক ব্যবসায়ে এবার প্রচুর লস হয়।অনেক টাকার দরকার ছিল।ধার-দেনা পরিশোধ করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।তাই তর বাবার সম্পত্তি লুটার জন্য প্রথমে তকে খুন করি।আমি জানতাম তুই জীবিত।কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তারকে টাকা খাইয়ে তকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করাই।আর জীবন্ত কবর দেই।এবার তোর মা-বাবাকে খুন করতে পারলে কোনো ওয়ারিছ না থাকায় সমস্ত সম্পত্তি আমার হয়ে যেত।আমি আবার ড্রাগসের বিজনেস শুরু করতাম।এর কারণেই রহিমকে ভাড়া করি তোর মা-বাবাকে খুন করার জন্য।''
রকিব বলল,''জানিস তোর জন্য আমার মা-বাবা কত কষ্ট পাচ্ছে।তোর জন্য আমাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে।তুই যতই খারাপ হসনা কেন তোর জন্য আমার বাবা ব্যাংকে তোর নামে টাকা জমা করে রেখেছে।আর তুই কিনা আমার মা-বাবাকে খুন করবি।''
তার চাচা মিনতি করে বলল,আমায় মাফ করে দে।আমায় ছেড়ে দে।''
রকিব বলল,তোর মত জানোয়ারদের জাহান্নামেও স্থান হবেনা। একে তো ড্রাগস দিয়ে কত মানুষের জীবন নষ্ট করেছিস।তারপর খুন।তোর নামে আমার বাবা যে টাকা জমা রেখেছেন তার শর্ত হল তুই যদি মরে যাস তাহলে সমস্ত টাকা গরীব দুঃখীদের দেওয়া হবে।তাহলে তকে মরতেই হবে।নতুবা আমার আত্না শান্তি পাবেনা।
তার চাচা চিৎকার করে উঠল।বাজান আমায় মাফ করে দে।আমায় ছেড়ে দে।রকিব তাকে টেনে হিঁচড়ে একটা গর্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।তার চাচা চিৎকার করে কাঁদছে।গর্তের মাঝে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়।তারপর মাটি ফেলতে থাকে। সে বলল,আমাকে যেরকম মেরেছিস সেরকম তুইও মরবি।জীবন্ত মরবি।মাটি ফেলতে থাকে সে।তার চাচা আর্তনাদ করছে।তারপর আস্তে আস্তে গর্ত ভরাট হয়ে যায়।মারা যায় তার চাচা।এবার রকিবের আত্না শান্তি পেয়েছে।তারপর ট্রাক নিয়ে তেমুখি চলে যায়।ড্রাইভারের ভেতর থেকে সে বের হয়ে আসে।আর এর আগে ড্রাইভারের একটা হাত মচকে দিয়ে আসে।এবার থেকে আর রহিম ট্রাক চালাতে পারবেনা।খুনের অংশীদার সেও।রকিবের অশান্ত আত্না শান্ত হয়েছে।এবার সে তার কবরে এসে শুয়ে পড়ে।সে মারা গেলেও বেঁচে আছে তার মা-বাবার হৃদয়ে।মা-বাবা এখনও সমাজের হতদরিদ্রদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।তাদের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন তারা।এতেই রকিব খুশি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ছাকিবুল ইসলাম (শাওন) ২৪/০৩/২০২০এদের এমন হওয়া ধরকার
-
সাইফ উদ্দিন সায়েম ২১/০৩/২০২০মাদক ব্যাবসায়ীদের জন্য এমন শিক্ষাই দরকার।
ভালো লিখেছেন -
শাহীন রহমান (রুদ্র) ০৭/০৩/২০২০ধন্যবাদ সবাইকে।
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৪/০৩/২০২০ভালো
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৩/২০২০এক রাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।