উজ্জ্বল নক্ষত্র
মহসিন একজন ভয়ংকর মানুষ।এলাকার সবাই তাকে ভয় পায়।ড্রাগ স্মাগলিং,চাদাবাজি সবকিছুতেই তার হাত।কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পায়না।কেননা এলাকার পাওয়ারফুল দলের সদস্য সে।প্রতি সপ্তাহে দোকানে দোকানে গিয়ে টাকা আদায় করে।আর এলাকার যুবকদের তো মাদকে আসক্ত করে ফেলেছে।ছোটবেলা থেকেই সে উগ্র।তার মা বাবা শাসন করেননি।তাইতো আজ সে এই অন্ধকার পথ বেছে নিয়েছে।বাবার সমস্ত সম্পত্তি তার নামে করে নিয়েছে।আর তাদের দুজনকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এসেছে।সম্পূর্ণ টাকা সে মাদক ব্যবসায়ে ইনভেস্ট করে।একবার তার বাবার একটা কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।খবর পেয়ে একটা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে লাথি মেরে ফেলে আসে।আর কোনোদিন খোঁজখবর নেয়নি।
একদিন বাজারে সব দোকান থেকে টাকা আদায় করছে মহসিন।একজন ছোট মুদি দোকানদার টাকা দিতে পারেনি।মহসিন বলল যেভাবেই হোক টাকা দিতে হবে।কিন্তু দোকানদারের কাছে একটা পয়সাও নেই।আর কেউ বাকীও দিচ্ছেনা।সবাই মজা দেখার জন্য প্রস্তুত।মহসিন অনবরত গালি দিচ্ছে।সে বলল, শুয়োরের বাচ্চা টাকা না দিলে দোকান জ্বালিয়ে দেব।দোকানদার টাকা দিতে পারেনি।আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হলো দোকানে।দোকানদার চিৎকার করে কাদছে।মহসিনের পায়ে পড়ল।তবু ওরা মানলনা।বেচারী দোকানদার হাউমাউ করে কাদছে।আর মহসিন খিলখিল করে হাসছে।দোকানদার এটা দিয়েই তার সংসার চালাত।আজ সেটা মহসিন জ্বালিয়ে দিল।
রাতে খবর এলো মহসিনের সব ড্রাগের দোকান র্যাব ভেঙে দিয়েছে।আর তাকে খুজছে।সে তার দলের সবাইকে ডাক দিল কিন্তু কোনো সাড়া পেলনা।মহসিন সেসময় বাজারে।রাত তখন ১টা বাজে।র্যাবের বাহিনী এলাকা থেকে বাজারের দিকে আসছে।সে কোথায় লুকাবে।র্যাবের দল বাজারে এসে গেছে।যে দোকান খোলা সেই দোকানে সার্চ করছে।সে হাটছে।হঠাৎ কে একজন বলল,ভাই এদিকে এসো।মহসিন চেয়ে দেখল সেই দোকানদার যার দোকান একটু আগে পুড়িয়েছিল।সে বলল,ভাই এইখানে লুকান।তারা দুজনে এই পোড়া দোকানটাতে বসে আছে।র্যাবের দল আসল।পরে তাদের মধ্যে একজন বলল,এই দোকান পোড়া। এখানে থাকার সম্ভাবনা নেই।ওরা চলে গেল।মহসিন বলল,ভাই আপনি আমার জীবন বাচালেন।আর আমি কি করলাম ভাই আমারে মাফ করে দেন।দোকানদার বলল,তোমার বাবার কিডনি নষ্ট ছিল।আমি আমার কিডনি দিয়েছি।ওখানে অনেক টাকা খরচ হয়।তাই তোমাকে চাদা দিতে পারিনি।উনি আমার কেউ নন।কিন্তু আমার বাবার সমান।আমার বাবার যদি এমন হতো।আর আজকে তোমাকে ধরলে ফাসি দিয়ে দিত।আমার কোনো স্বার্থ নেই।শুধু মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আমি বাচতে চাই।অনড় হয়ে কথাগুলো শুনছিল মহসিন।কথাগুলো বলে দোকানদার ধীরে ধীরে চলে যেতে লাগলো।রাত্রির অন্ধকারেও মনে হচ্ছে মানুষটা একটা উজ্বল তারকা।
একদিন বাজারে সব দোকান থেকে টাকা আদায় করছে মহসিন।একজন ছোট মুদি দোকানদার টাকা দিতে পারেনি।মহসিন বলল যেভাবেই হোক টাকা দিতে হবে।কিন্তু দোকানদারের কাছে একটা পয়সাও নেই।আর কেউ বাকীও দিচ্ছেনা।সবাই মজা দেখার জন্য প্রস্তুত।মহসিন অনবরত গালি দিচ্ছে।সে বলল, শুয়োরের বাচ্চা টাকা না দিলে দোকান জ্বালিয়ে দেব।দোকানদার টাকা দিতে পারেনি।আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হলো দোকানে।দোকানদার চিৎকার করে কাদছে।মহসিনের পায়ে পড়ল।তবু ওরা মানলনা।বেচারী দোকানদার হাউমাউ করে কাদছে।আর মহসিন খিলখিল করে হাসছে।দোকানদার এটা দিয়েই তার সংসার চালাত।আজ সেটা মহসিন জ্বালিয়ে দিল।
রাতে খবর এলো মহসিনের সব ড্রাগের দোকান র্যাব ভেঙে দিয়েছে।আর তাকে খুজছে।সে তার দলের সবাইকে ডাক দিল কিন্তু কোনো সাড়া পেলনা।মহসিন সেসময় বাজারে।রাত তখন ১টা বাজে।র্যাবের বাহিনী এলাকা থেকে বাজারের দিকে আসছে।সে কোথায় লুকাবে।র্যাবের দল বাজারে এসে গেছে।যে দোকান খোলা সেই দোকানে সার্চ করছে।সে হাটছে।হঠাৎ কে একজন বলল,ভাই এদিকে এসো।মহসিন চেয়ে দেখল সেই দোকানদার যার দোকান একটু আগে পুড়িয়েছিল।সে বলল,ভাই এইখানে লুকান।তারা দুজনে এই পোড়া দোকানটাতে বসে আছে।র্যাবের দল আসল।পরে তাদের মধ্যে একজন বলল,এই দোকান পোড়া। এখানে থাকার সম্ভাবনা নেই।ওরা চলে গেল।মহসিন বলল,ভাই আপনি আমার জীবন বাচালেন।আর আমি কি করলাম ভাই আমারে মাফ করে দেন।দোকানদার বলল,তোমার বাবার কিডনি নষ্ট ছিল।আমি আমার কিডনি দিয়েছি।ওখানে অনেক টাকা খরচ হয়।তাই তোমাকে চাদা দিতে পারিনি।উনি আমার কেউ নন।কিন্তু আমার বাবার সমান।আমার বাবার যদি এমন হতো।আর আজকে তোমাকে ধরলে ফাসি দিয়ে দিত।আমার কোনো স্বার্থ নেই।শুধু মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আমি বাচতে চাই।অনড় হয়ে কথাগুলো শুনছিল মহসিন।কথাগুলো বলে দোকানদার ধীরে ধীরে চলে যেতে লাগলো।রাত্রির অন্ধকারেও মনে হচ্ছে মানুষটা একটা উজ্বল তারকা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৫/০২/২০২০ভালো ।
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৫/০২/২০২০সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ২৪/০২/২০২০সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন ।
-
এইচ আর মুন্না ২৪/০২/২০২০চালিয়ে যান