পিছুটান
অনেক দিন পর গ্রামে এলাম ।গ্রামে ফিরলাম কোন এক পিছুটানে,পুরোনো কিছু নতুন করে খুজে পাওয়ার আশায় ।এক জোড়া চোখ খুজতে এসেছি ।যাকে পাওয়ার জন্য হারিয়ে ফেলেছি আমার অস্তিত্ব ।যাকে আজো আমি খুজি,যার চোখ জোড়া খুঁজি ।ঐ একজোড়া চোখের টানে এতোটা দিন পর ছুটলাম তার কাছে ।নিয়তি আমার সহায় ছিল তাই খুজে পেলাম আমার হারিয়ে যাওয়া সেই একজোড়া চোখ ।তার দিকে তাকিয়ে রইলাম,যে চোখের দিকে তাকিয়ে আমার একজীবনের ভালোবাসা সবটুকু আমি তাকে দিয়েছিলাম ।তার সাথে আমার পরিচয় প্রাইভেট পড়ার সময় ।আল্লাহ তাকে আশ্চর্য সুন্দর একজোড়া চোখ দিয়েছেন ।ভালো ছাত্রী ছিল,আমায় শুধু বলতো আমার অনেক পড়ার ইচ্ছা ।এভাবেই তার সাথে কথা বলে,পথ চলে সময় কেটে যাচ্ছিল ।কিন্তু ঐ চোখের দিকে তাকিয়ে অনেকেই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকলো ।আমি জানি সে আমার প্রস্তাব শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিল ।হয়তো আমায় সে ভালোবাসতো কিন্তু বলতে পারতো না,চাইতো আমি তাকে বলি ।কিন্তু আমি তাকে বলতে পারিনি-
আমি তোমাকে ভালোবাসি ।তাইতো এই অভিমানেই সে আমার সঙ্গে প্রাইভেট পড়া বাদ দিল ।কিছুদিন পর দেখি তাকে অন্য একটা ছেলের সাথে বুঝতে পারিনি কি প্রয়োজন তার সাথে ।কিছুদিন যেতে না যেতেই বুঝতে পারলাম আমায় শাস্তি দিতেই একটা বাজে ছেলের সাথে প্রেম নামক এক খেলায় মেতে উঠেছে ।তখন বুঝে উঠতে পারিনি আমি কি হারালাম ।এমনি করে একদিন আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিল ।এক সময়ের ভদ্র,শান্ত মেয়ের নামেই নানা কথা উঠতে লাগলো ।কিছুদিন পর হঠাৎ আমায় প্রশ্ন করলো তার এসব দেখে আমি খুশি কিনা ।
-বললো,আমি কি আপনার কাছে এমন কিছু কখনো চেয়েছি যেটা আপনি দিতে পারতেন না ।
আমি সেদিন কোন উওর দিতে পারিনি ।বলতে পারিনি,তোমাকে হারানোর ভয়ই আমায় তোমার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে দিচ্ছে ।
কিন্তু নিয়তি আজ আমায় আরো বেশি কষ্ট দিচ্ছে ।সে কষ্ট হচ্ছে না পাওয়ার কষ্ট,তোমাকে হারানোর কষ্ট ।জানো আমার ও স্বপ্ন ছিল তোমাকে পাবার ।আমার ভিরুতা আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিল ।যে মেয়ে এক সময় শুধু পড়তে চাইতো,ভালো ছাত্রী হিসাবে পরিচিত ছিল ।সেই কিনা এস.এস.সি তে ফেল করলো ।তখন সে খুব কেঁদে ছিল ।আমিও কেঁদেছিলাম,এখনো কাঁদি ।কারন এসবের জন্য এক মাএ আমিই দায়ি ।তাইতো অনেক দিন পর তার চোখ জোড়ার দিকে তাকিয়ে স্হির থাকতে পারিনি ।তার কাছে গিয়ে বললাম তুমি ফিরে এসো আমার জীবনে ।আমরা নতুন করে শুরু করি আমারদের প্রেম ।আমার ভালোবাসা দিয়ে ভুলিয়ে দিব তোমার সকল কষ্ট ।সে শুধু বললো –
-আমি তোমায় ঘৃনা করি ।
আমি শেষ বারের মতো তার চোঁখের দিকে চাইলাম,আর আমার দু’চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো এক ফোটা জ্বল ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি ।তাইতো এই অভিমানেই সে আমার সঙ্গে প্রাইভেট পড়া বাদ দিল ।কিছুদিন পর দেখি তাকে অন্য একটা ছেলের সাথে বুঝতে পারিনি কি প্রয়োজন তার সাথে ।কিছুদিন যেতে না যেতেই বুঝতে পারলাম আমায় শাস্তি দিতেই একটা বাজে ছেলের সাথে প্রেম নামক এক খেলায় মেতে উঠেছে ।তখন বুঝে উঠতে পারিনি আমি কি হারালাম ।এমনি করে একদিন আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিল ।এক সময়ের ভদ্র,শান্ত মেয়ের নামেই নানা কথা উঠতে লাগলো ।কিছুদিন পর হঠাৎ আমায় প্রশ্ন করলো তার এসব দেখে আমি খুশি কিনা ।
-বললো,আমি কি আপনার কাছে এমন কিছু কখনো চেয়েছি যেটা আপনি দিতে পারতেন না ।
আমি সেদিন কোন উওর দিতে পারিনি ।বলতে পারিনি,তোমাকে হারানোর ভয়ই আমায় তোমার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে দিচ্ছে ।
কিন্তু নিয়তি আজ আমায় আরো বেশি কষ্ট দিচ্ছে ।সে কষ্ট হচ্ছে না পাওয়ার কষ্ট,তোমাকে হারানোর কষ্ট ।জানো আমার ও স্বপ্ন ছিল তোমাকে পাবার ।আমার ভিরুতা আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিল ।যে মেয়ে এক সময় শুধু পড়তে চাইতো,ভালো ছাত্রী হিসাবে পরিচিত ছিল ।সেই কিনা এস.এস.সি তে ফেল করলো ।তখন সে খুব কেঁদে ছিল ।আমিও কেঁদেছিলাম,এখনো কাঁদি ।কারন এসবের জন্য এক মাএ আমিই দায়ি ।তাইতো অনেক দিন পর তার চোখ জোড়ার দিকে তাকিয়ে স্হির থাকতে পারিনি ।তার কাছে গিয়ে বললাম তুমি ফিরে এসো আমার জীবনে ।আমরা নতুন করে শুরু করি আমারদের প্রেম ।আমার ভালোবাসা দিয়ে ভুলিয়ে দিব তোমার সকল কষ্ট ।সে শুধু বললো –
-আমি তোমায় ঘৃনা করি ।
আমি শেষ বারের মতো তার চোঁখের দিকে চাইলাম,আর আমার দু’চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো এক ফোটা জ্বল ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৫/১০/২০১৩খুবই আবেগী।ভালো হয়েছে ।
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৫/১০/২০১৩এমনটা হতেই পারে। হয়তো এটাই ওর জন্য প্রয়োজন ছিল। তবে ভয়টা সবক্ষেত্রে ভালো ফল দেয় না। এক্ষেত্রে আর একটু কৌশল অবলম্বন করা যেত। খুব ভালো লেগেছে। কষ্টটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে
-
ইব্রাহীম রাসেল ০৩/১০/২০১৩চোখে ঁ বিন্দু আছে কি? গল্প ভালো--
-
Înšigniã Āvî ০৩/১০/২০১৩অনুভব করলাম পিছুটান