অপেক্ষা এবং ভালোবাসা
আমি খুব আশায় ছিলাম দিপাকে দেখবো ।আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে শুনলাম দিপা আজ তার বরকে নিয়ে ওর মামাদের বাড়িতে আসবে ।অনেক্ষন ওর মামাদের বাড়ির পাশে দাড়িয়ে রইলাম একা একা ।চোঁখে জ্বল আশার মতো কষ্ট হচ্ছে ।অনেক দিন হলো দিপাকে দেখিনা ।
দিপার সাথে সম্পর্কটা অনেক দিন আগের ।আমি যখন হোষ্টেলে থাকি তখন গ্রামের এক মেলায় দিপার সাথে কথা হয় ।দিপা দেখতে খুব সুন্দর ছিল তাই সহজেই ভালোলেগে যায় ।যদিও তখন দিপাকে আমার ভালো লাগার কথা বলা হয়ে ওঠেনি ।কিন্তু তখন এটাও জানা হয়নি যে দিপার ও আমাকে খুব ভালোলাগে ।আমি হোষ্টেলে ফেরার পর দিপা আমাকে ফোন করে ।ও আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে আমার নাম্বার পায় ।এর পর থেকে প্রতিদিন দিপার সাথে কথা বলতেই হতো ।আমার ও খুব ভালো লাগতো ।আস্তে আস্তে দিপাকে নিয়ে আমি অন্য কিছু ভাবতে থাকি ।দিপাকে নীল শাড়িতে খুব ইচ্ছে করতো ।একবার কি মনে করে জানি বলে ফেললাম-
দিপা তুমি কী একবার নীল শাড়ি পরে আমার সামনে আসতে পারবে?বলেই মনে হলো সত্যি আসতে পারবে কিনা ।কিন্তু ও কতো সহজেই না বললো আচ্ছা আসবো ।বলো কোথায় আসতে হবে?এভাবে দ্রুত দিনগুলি পার হয়ে যায় ।ওর বাসায় আমার কথা জানা জানি হয়ে যায় ।আরো জেনে যায় আমি মুসলমান ।এটা জানার পর থেকে আমার সাথে ওর যোগাযোগ কমতে থাকে ।দিপা মাঝে মাঝে লুকিয়ে কথা বলতো আর কাদঁতো আমি আসলে কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি কি করবো ।এমনি ভাবে একদিন দিপাকে ইন্ডিয়াতে ওর চাচাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয় ।এটা এতো দ্রুত ঘটে যে কারো কিছু করার ছিল না ।এর পর দিপার সাথে আর আমার কথা বলা হয়ে ওঠেনি ।একদিন ওর মামাতো বোনের কাছে শুনতে পাই দিপার এক প্রফেসারের সাথে বিয়ে হয়েছে ও ভালো আছে ।এর পর আমার ব্যাস্ততার কারনে আর খোঁজ নেয়া হয়ে ওঠেনি ।হঠাৎ আজ এক বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম দিপা ওর বরকে নিয়ে আসছে ।তখন ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ।এখন শুধু অপেক্ষা আর বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি ।সেই সাথে চোঁখের জ্বল আর বৃষ্টির পানি একই সাথে একাকার হয়ে যাওয়া ।
দিপার সাথে সম্পর্কটা অনেক দিন আগের ।আমি যখন হোষ্টেলে থাকি তখন গ্রামের এক মেলায় দিপার সাথে কথা হয় ।দিপা দেখতে খুব সুন্দর ছিল তাই সহজেই ভালোলেগে যায় ।যদিও তখন দিপাকে আমার ভালো লাগার কথা বলা হয়ে ওঠেনি ।কিন্তু তখন এটাও জানা হয়নি যে দিপার ও আমাকে খুব ভালোলাগে ।আমি হোষ্টেলে ফেরার পর দিপা আমাকে ফোন করে ।ও আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে আমার নাম্বার পায় ।এর পর থেকে প্রতিদিন দিপার সাথে কথা বলতেই হতো ।আমার ও খুব ভালো লাগতো ।আস্তে আস্তে দিপাকে নিয়ে আমি অন্য কিছু ভাবতে থাকি ।দিপাকে নীল শাড়িতে খুব ইচ্ছে করতো ।একবার কি মনে করে জানি বলে ফেললাম-
দিপা তুমি কী একবার নীল শাড়ি পরে আমার সামনে আসতে পারবে?বলেই মনে হলো সত্যি আসতে পারবে কিনা ।কিন্তু ও কতো সহজেই না বললো আচ্ছা আসবো ।বলো কোথায় আসতে হবে?এভাবে দ্রুত দিনগুলি পার হয়ে যায় ।ওর বাসায় আমার কথা জানা জানি হয়ে যায় ।আরো জেনে যায় আমি মুসলমান ।এটা জানার পর থেকে আমার সাথে ওর যোগাযোগ কমতে থাকে ।দিপা মাঝে মাঝে লুকিয়ে কথা বলতো আর কাদঁতো আমি আসলে কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি কি করবো ।এমনি ভাবে একদিন দিপাকে ইন্ডিয়াতে ওর চাচাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয় ।এটা এতো দ্রুত ঘটে যে কারো কিছু করার ছিল না ।এর পর দিপার সাথে আর আমার কথা বলা হয়ে ওঠেনি ।একদিন ওর মামাতো বোনের কাছে শুনতে পাই দিপার এক প্রফেসারের সাথে বিয়ে হয়েছে ও ভালো আছে ।এর পর আমার ব্যাস্ততার কারনে আর খোঁজ নেয়া হয়ে ওঠেনি ।হঠাৎ আজ এক বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম দিপা ওর বরকে নিয়ে আসছে ।তখন ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ।এখন শুধু অপেক্ষা আর বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি ।সেই সাথে চোঁখের জ্বল আর বৃষ্টির পানি একই সাথে একাকার হয়ে যাওয়া ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ২৮/০৯/২০১৩কথায় বলে বিরহ না থাকলে প্রেম বোঝা যায় না..... অনুভব করলাম লেখাটি পড়ে আর ডাঃ প্রবীরদার সাথেও একমত
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২৮/০৯/২০১৩ছোট গল্প লিখা কঠিন কাজ। এই কঠিন আক্জটি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নাহিদ ভাই
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৮/০৯/২০১৩-বিভাজনময় প্রেমের কাহিনী বেঁচে থাকে অনেক দিন মানুষের মনে,
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৮/০৯/২০১৩সব প্রেমেতে হয় না মিলন
কখনও বা হয় বিভাজন
এইতো প্রেমের রীতি
বিবাহ বিরহ দুইটি প্রেমের পরিণতি
আসলে যা হওয়ার তাই হয়েছে বলে মেনে নেয়ায় উত্তম। গল্পটা অল্প হলেও বেদনার