ভালোবাসা ভালোবাসা
রিক্সা থেকে নেমে পকেটে হাত দিয়ে মানিব্যাগটা বের করলো অর্নব ।মানিব্যাগে একটি একশ টাকার নোট ।এটাই অর্নব এর কাছে আছে ।রিক্সাওয়ালা মামাকে দিতেই বললো ভাংতি নাই ।
পূর্না আমার হাতটা ধরে বললো আমার কাছে ভাংতি আছে আমি দিচ্ছি ।
: না আমি দিচ্ছি দেখছো না ।
: তোমার কাছে তো ভাংতি নাই দেখছো না ।আমি দিচ্ছি তুমি পরে দিও ।
অর্নব মানিব্যাগটা রেখে পূর্নার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কতো মায়াবি একটা মুখ ।আজ পূর্না নীল শাড়ি পরছে দেখে মনে হচ্ছে নীল পরী ।পূর্নার পাশে নিজেকে বেমানান লাগছে ।হঠাৎ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে পূর্না বুঝে ফেলে আমি কিছু একটা ভাবছি ।তাই অন্যকিছু বলে আমার দৃষ্টি আর্কষন করে ।
: অর্নব আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ।এই টি-শার্টটা পরলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে ।
অর্নব হাসে পূর্নার কথা শুণে ।আর ভাবে মেয়েটা কতোটা ভালো সব কিছু কতো সহজে মেনে নিতে পারে ।কোন কিছু চাওয়ার নেই আর কোন কিছু পাওয়ার আশাও করে না মনে হয় ।এখনো কোন কিছুর জন্য আবদার ও করেনি,কোন কিছু দিতে গেলে ও নিতে চায় না ।মনে হয় আমাকে অনেক ভালো বোঝে ।
ও আমার সাথে আছে ভাবতেই খুশিতে মনটা ভরে ওঠে ।ও ইচ্ছা করলে আমার থেকে কতো ভালো ছেলের সাথে সম্পর্ক করতে পারতো ।এসব ভাবলেই হাসি পায় ।ও এসব না করে এই অপদার্থ একটা ছেলের সাথেই পড়ে আছে ।
এদিকে পূর্না ভাবে অর্নব ছেলেটা কতো ভালো ।খুবই সহজ সরল ।ওর অসম্ভব সুন্দর একটা মন আছে ।এতেই চলবে আর কিছুর দরকার নেই ।
হঠাৎ পূর্না বলে ওঠে-
: চলো আমি কিছু খাব ।আমার খুব ক্ষিদা লাগছে ।তুমি ও তো কিছু খেয়ে আস নাই ।
: না আমি বাসা থেকে খেয়ে আসছি ।তুমি খাও আমি তোমার পাশে বসে থাকবো ।
: তুমি কখন খেয়ে আসলে ?আমি ফোন করার পরই তো চলে আসলে ।
: আমি খেয়ে আসছি । আচ্ছা তুমি চলো ।
পূর্না অর্নব এর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে ।আর অর্নব ভাবছে ওর জীবনের কথা ।খুব সাধারন পরীবারের ছেলে ও আর খুব সাধারন একটা চাকুরি করে ।যে বেতন পায় তা থেকে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয় ।আর বাকিটা দিয়ে কোন ভাবে চলে যায় ।মাঝে মাঝেই দেখা যায় মাসের শেষে টানাটানি করে চলতে হচ্ছে ।এসব ভেবে নিজেকে খুবই অসহায় লাগে অর্নব এর ।তখন পূর্নার সামনে আসতে খুব খারাপ লাগে ।আজ যখন পূর্না নিজ থেকে কিছু খেতে চাইলো আর সে সময়ই আমার কাছে টাকা নাই ।
মেয়েটা এতোই ভালো যে নিজ থেকে কখনোই কিছু খেতে চায় না ।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে ।বার বার মনে হচ্ছে জমানো টাকাটা নিয়ে আসলেই হতো ।
খাওয়া শেষ করে বিলটা দেয়া নিয়ে কিছু সময় ঝগড়া হয় দু’জনের মাঝে ।অবশেষে পূর্নাই বিলটা পরিশোধ করে ।
বাইরে বের হয়ে পূর্না অর্নবকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে হাত নেড়ে বলে ভালো থাক ।
অর্নব বাসায় এসে জানালার সামনে এসে বসে ।বাইরে হালকা বৃষ্টি নামছে ।আর অর্নব এর চোঁখ দিয়ে পানি ঝরছে ।চোঁখের পানির সাথে বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হয়ে যাচ্ছে ।আর বার বার পূর্নার কথা মনে পড়ছে ।ওর কথা ভেবে খুব কষ্ট লাগছে ।মনে হচ্ছে ও আমার জীবনের জড়ালে অনেক কষ্টে থাকবে ।কিন্তু কতো দিন ও এভাবে আমার সাথে মানিয়ে চলবে ।হয়তো এভাবে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়বে ।
মধ্যবৃও একটা ছেলের সাথে পূর্নার মতো একটা মেয়ের জীবন জড়ানো কি ঠিক হবে কিনা ।।
পূর্না আমার হাতটা ধরে বললো আমার কাছে ভাংতি আছে আমি দিচ্ছি ।
: না আমি দিচ্ছি দেখছো না ।
: তোমার কাছে তো ভাংতি নাই দেখছো না ।আমি দিচ্ছি তুমি পরে দিও ।
অর্নব মানিব্যাগটা রেখে পূর্নার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কতো মায়াবি একটা মুখ ।আজ পূর্না নীল শাড়ি পরছে দেখে মনে হচ্ছে নীল পরী ।পূর্নার পাশে নিজেকে বেমানান লাগছে ।হঠাৎ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে পূর্না বুঝে ফেলে আমি কিছু একটা ভাবছি ।তাই অন্যকিছু বলে আমার দৃষ্টি আর্কষন করে ।
: অর্নব আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ।এই টি-শার্টটা পরলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে ।
অর্নব হাসে পূর্নার কথা শুণে ।আর ভাবে মেয়েটা কতোটা ভালো সব কিছু কতো সহজে মেনে নিতে পারে ।কোন কিছু চাওয়ার নেই আর কোন কিছু পাওয়ার আশাও করে না মনে হয় ।এখনো কোন কিছুর জন্য আবদার ও করেনি,কোন কিছু দিতে গেলে ও নিতে চায় না ।মনে হয় আমাকে অনেক ভালো বোঝে ।
ও আমার সাথে আছে ভাবতেই খুশিতে মনটা ভরে ওঠে ।ও ইচ্ছা করলে আমার থেকে কতো ভালো ছেলের সাথে সম্পর্ক করতে পারতো ।এসব ভাবলেই হাসি পায় ।ও এসব না করে এই অপদার্থ একটা ছেলের সাথেই পড়ে আছে ।
এদিকে পূর্না ভাবে অর্নব ছেলেটা কতো ভালো ।খুবই সহজ সরল ।ওর অসম্ভব সুন্দর একটা মন আছে ।এতেই চলবে আর কিছুর দরকার নেই ।
হঠাৎ পূর্না বলে ওঠে-
: চলো আমি কিছু খাব ।আমার খুব ক্ষিদা লাগছে ।তুমি ও তো কিছু খেয়ে আস নাই ।
: না আমি বাসা থেকে খেয়ে আসছি ।তুমি খাও আমি তোমার পাশে বসে থাকবো ।
: তুমি কখন খেয়ে আসলে ?আমি ফোন করার পরই তো চলে আসলে ।
: আমি খেয়ে আসছি । আচ্ছা তুমি চলো ।
পূর্না অর্নব এর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে ।আর অর্নব ভাবছে ওর জীবনের কথা ।খুব সাধারন পরীবারের ছেলে ও আর খুব সাধারন একটা চাকুরি করে ।যে বেতন পায় তা থেকে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয় ।আর বাকিটা দিয়ে কোন ভাবে চলে যায় ।মাঝে মাঝেই দেখা যায় মাসের শেষে টানাটানি করে চলতে হচ্ছে ।এসব ভেবে নিজেকে খুবই অসহায় লাগে অর্নব এর ।তখন পূর্নার সামনে আসতে খুব খারাপ লাগে ।আজ যখন পূর্না নিজ থেকে কিছু খেতে চাইলো আর সে সময়ই আমার কাছে টাকা নাই ।
মেয়েটা এতোই ভালো যে নিজ থেকে কখনোই কিছু খেতে চায় না ।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে ।বার বার মনে হচ্ছে জমানো টাকাটা নিয়ে আসলেই হতো ।
খাওয়া শেষ করে বিলটা দেয়া নিয়ে কিছু সময় ঝগড়া হয় দু’জনের মাঝে ।অবশেষে পূর্নাই বিলটা পরিশোধ করে ।
বাইরে বের হয়ে পূর্না অর্নবকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে হাত নেড়ে বলে ভালো থাক ।
অর্নব বাসায় এসে জানালার সামনে এসে বসে ।বাইরে হালকা বৃষ্টি নামছে ।আর অর্নব এর চোঁখ দিয়ে পানি ঝরছে ।চোঁখের পানির সাথে বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হয়ে যাচ্ছে ।আর বার বার পূর্নার কথা মনে পড়ছে ।ওর কথা ভেবে খুব কষ্ট লাগছে ।মনে হচ্ছে ও আমার জীবনের জড়ালে অনেক কষ্টে থাকবে ।কিন্তু কতো দিন ও এভাবে আমার সাথে মানিয়ে চলবে ।হয়তো এভাবে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়বে ।
মধ্যবৃও একটা ছেলের সাথে পূর্নার মতো একটা মেয়ের জীবন জড়ানো কি ঠিক হবে কিনা ।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুল হাসান ১৯/০৯/২০১৩ভােলাই লাগল
-
Înšigniã Āvî ১৭/০৯/২০১৩ভাল লাগলো ।
-
ইব্রাহীম রাসেল ১৭/০৯/২০১৩--ভাবনাটা দারুণ, তবে পাঠক ধরে রাখার মতো গল্প হয়ে উঠেনি। শুভ কামনা থাকল পরবর্তী গল্পের জন্য।--