একদিন বৃষ্টির দিন
অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি ।আকাশের অবস্তা বেশি ভালো মনে হচ্ছে না ।বের হতেই বৃষ্টি শুরু হলো ।দেীড়ে একটা দোকানের সামনে দাড়ালাম ।বের হওয়ার সময় ছাতা ও আনতে পারিনি ।মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল ।সকাল বেলাই বৃষ্টি শুরু হলো ।বর্ষা আসতে না আসতেই এই অবস্তা ।কয়েকদিন ধরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে ।অফিসে যেতেই হবে কিন্তু বের হতেই পারছি না ।কি করবো ভাবছি আর একটা রিক্সার অপেক্ষায় আছি ।বৃষ্টি থামার কোন লক্ষন নেই ।এদিকে অফিস এর সময় হয়ে যাচ্ছে ।কোন রিক্সা ও পাচ্ছি না ।খুব টেনশন হচ্ছে অফিসে আজ জরুরী মিটিং আছে গতকালই সবাইকে বলে দিছে ।আর আজ যদি যেতে না পারি তাহলে খুব সমস্যা হবে ।যেখানে দাড়িয়ে ছিলাম সেখানে একটি মেয়েও দাড়িয়ে আছে ।মনে হচ্ছে পরীক্ষার্থী ।বার বার এদিক সেদিক তাকাচ্ছে ।আমি মেয়েটির কথা চিন্তা করে নিজের টেনশনের কথো ভুলে যাচ্ছি ।এরিই মাঝে অফিস থেকে ফোন ।সবাই আমার জন্য বসে আছে ।
হঠাৎ একটা রিক্সা এলো ।
: মামা কারওয়ান বাজার যাবা ।
: যাবো ।ওঠেন ।
আমি কোন কিছু না ভেবেই রিক্সায় উঠে বসলাম ।হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েটি বললো-
: শুনছেন ।আমাকে একটু হেল্প করবেন ?আমার পরীক্ষার সময় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন রিক্সা ও পাচ্ছি না ।বুঝতে পারছি আপনার ও অফিসে যেতে হবে তাই আপনি যদি আমাকে একটু আপনার সাথে নিতেন এবং ফার্মগেট দিয়ে যেতেন তবে আমার খুব উপকার হতো ।
: ঠিক আছে আপনি উঠে বসুন ।আর আপনি কোথায় নামবেন?
: আমি তেজগাঁও মহিলা কলেজে যাব সেখানে আমার পরীক্ষা হয় ।আপনি আমাকে ফার্মগেট নামিয়ে দিলে আমি যেতে পারবো ।
: ঠিক আছে ।আমি আপনার কলেজের পাশ দিয়েই যাব ।আপনাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসে যাব ।
: ধন্যবাদ ।
: ধন্যবাদ দিচ্ছেন কেন?আচ্ছা আমি যদি এমন বিপদে পড়তাম তবে আপনি কি আমাকে উপকার করতেন না ?
: স্যরি ।আমি হয়তো আপনার মতো এতো উদার হতে পারতাম না ।তাইতো আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম ।
: আচ্ছা এসব কথা বাদ দেন ।একসাথেই যখন যাচ্ছি তবে নামটা বলতে নিশ্চই বলতে বাধা নেই ।
: অবশ্যই বলবো ।আমার নাম অহনা বিনতে প্রেমা ।আপনার নামটা নিশ্চই আমাকে বলবেন ?আর কি করেন আপনি?
: ধন্যবাদ ।আপনার নামটা খুব সুন্দর ।আমার নাম অর্নব ।আমি একটা টেলিকমিউনিকেশন কম্পানিতে জব করি ।আপনি কি সব সময় একা পরীক্ষা দিতে আসেন ।আপনার বাবা মা এভাবে বৃষ্টির মাঝে একা আসতে দিল?
: আসলে আমার বাবা নেই ।ভাই ছোট,আম্মু জব করে ।আম্মুই অফিসে যাওয়ার সময় দিয়ে যায় কিন্তু আজ আম্মুর খুব জ্বর তাই আসতে পারেনি ।
: ও আচ্ছা ।আমি মনে হচ্ছে আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিলাম ।
: না ঠিক আছে ।আপনি কিছু মনে না করলে আপনার নাম্বারটা আমাকে দিবেন?আম্মুকে আপনার কথা বলবো ।আজ আপনি আমার অনেক বড় উপকার করছেন ।
: ঠিক আছে ।এই যে আমার কার্ড এখানে আমার নাম্বার আছে ।আপনার আম্মাকে আমার সালাম দিবেন ।
আপনি চলে আসছেন ।
: আপনাকে আবার ও ধন্যবাদ ।আপনার কথা আমার সব সময় মনে থাকবে ।আপনি ভালো থাকবেন ।আর একটা কথা ,উপদেশ ও বলতে পারেন ।এই ভাবে অফিসের দেরি করে কোন মেয়েকে আবার উপকার করতে যাবেন না ।
: আচ্ছা আপনার কথা মনে থাকবে ।আপনি ভালোভাবে পরীক্ষা দিবেন ।
এরপর খুব দ্রুতই অফিসে পেীছে যাই ।অফিসে সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকি যে সকালের কথা ভুলেই গেলাম ।
শনিবার আমার অফিস ছুটি তাই একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠি ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরে দেখি একটা নাম্বার থেকে অনেক বার ফোন আসছে ।কিছু না ভেবেই ফোন দিলাম ঐ নাম্বার এ।রিং হচ্ছে-
: হ্যাঁলো ।আমি প্রেমা বলছি ।কেমন আছেন ?
: আমি ভালো আছি ।আপনি কেমন আছেন ?আপনার আম্মার শরীর এখন কেমন আছে ?
: আমি ভালো আছি ।আম্মা ও ভালো আছে ।আম্মা আপনাকে বাসায় আসতে বলছে ।
: বাসায় আসবো কি করে ?আমি তো আপনাদের বাসা চিনি না ।
: ঠিক আছে আপনি কোথায় আছেন আমাকে বলেন ।আমি আমার বাসার ঠিকানা আপনাকে বলছি ।
: আমি নাখালপাড়া থাকি ।আপনি কোথায় থাকেন?
: আমি ও তো আপনার বাসার কাছেই থাকি ।আচ্ছা আপনি বাসা থেকে বাইরে আসেন ।আমি নিচে আসছি তারপর বাসায় নিয়ে আসবো ।
: আচ্ছা আপনি নিচে আসেন ।আমি বাইরে বের হচ্ছি ।
বাইরে বেরুতেই প্রেমাকে দেখতে পেলাম ।আমাকে দেখে সামনে এগিয়ে এস বললো-
: কেমন আছেন?
: ভালো আছি ।আপনি কেমন আছেন ?
: আমি ভালো আছি ।এখন চলেন আম্মা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ।
: আচ্ছা চলেন ।
এখানে এসেই ডাইরির পাতা গুলা ছেড়া পায় পূর্না ।বাকি পেজ গুলায় কি লেখা ছিল কিছু বোঝা যাচ্ছে না ।পূর্না এটুকু পড়ে কিছু বুঝতে পারলো না ।এই মেয়েটার সাথে কি অর্নবের কোন সম্পর্ক ছিল ?প্রথম যেদিন এটা নিয়ে অর্নব এর সাথে কথা হয়েছিল সেদিন ও কিছু না বলে চুপ করে ছিল ।আর আজ এই ডাইরি দেখে ও কিছু বোঝা যাচ্ছে না ।
এসব নিয়ে যখন পূর্না ভাবছে ঠিক তখনই ঝুম বৃষ্টি নামলো আর বাইরে তাকিয়ে দেখতে পেল অর্নব বাইরে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে ।মনে হচ্ছে ও খুব কষ্টে আছে……
হঠাৎ একটা রিক্সা এলো ।
: মামা কারওয়ান বাজার যাবা ।
: যাবো ।ওঠেন ।
আমি কোন কিছু না ভেবেই রিক্সায় উঠে বসলাম ।হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েটি বললো-
: শুনছেন ।আমাকে একটু হেল্প করবেন ?আমার পরীক্ষার সময় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন রিক্সা ও পাচ্ছি না ।বুঝতে পারছি আপনার ও অফিসে যেতে হবে তাই আপনি যদি আমাকে একটু আপনার সাথে নিতেন এবং ফার্মগেট দিয়ে যেতেন তবে আমার খুব উপকার হতো ।
: ঠিক আছে আপনি উঠে বসুন ।আর আপনি কোথায় নামবেন?
: আমি তেজগাঁও মহিলা কলেজে যাব সেখানে আমার পরীক্ষা হয় ।আপনি আমাকে ফার্মগেট নামিয়ে দিলে আমি যেতে পারবো ।
: ঠিক আছে ।আমি আপনার কলেজের পাশ দিয়েই যাব ।আপনাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসে যাব ।
: ধন্যবাদ ।
: ধন্যবাদ দিচ্ছেন কেন?আচ্ছা আমি যদি এমন বিপদে পড়তাম তবে আপনি কি আমাকে উপকার করতেন না ?
: স্যরি ।আমি হয়তো আপনার মতো এতো উদার হতে পারতাম না ।তাইতো আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম ।
: আচ্ছা এসব কথা বাদ দেন ।একসাথেই যখন যাচ্ছি তবে নামটা বলতে নিশ্চই বলতে বাধা নেই ।
: অবশ্যই বলবো ।আমার নাম অহনা বিনতে প্রেমা ।আপনার নামটা নিশ্চই আমাকে বলবেন ?আর কি করেন আপনি?
: ধন্যবাদ ।আপনার নামটা খুব সুন্দর ।আমার নাম অর্নব ।আমি একটা টেলিকমিউনিকেশন কম্পানিতে জব করি ।আপনি কি সব সময় একা পরীক্ষা দিতে আসেন ।আপনার বাবা মা এভাবে বৃষ্টির মাঝে একা আসতে দিল?
: আসলে আমার বাবা নেই ।ভাই ছোট,আম্মু জব করে ।আম্মুই অফিসে যাওয়ার সময় দিয়ে যায় কিন্তু আজ আম্মুর খুব জ্বর তাই আসতে পারেনি ।
: ও আচ্ছা ।আমি মনে হচ্ছে আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিলাম ।
: না ঠিক আছে ।আপনি কিছু মনে না করলে আপনার নাম্বারটা আমাকে দিবেন?আম্মুকে আপনার কথা বলবো ।আজ আপনি আমার অনেক বড় উপকার করছেন ।
: ঠিক আছে ।এই যে আমার কার্ড এখানে আমার নাম্বার আছে ।আপনার আম্মাকে আমার সালাম দিবেন ।
আপনি চলে আসছেন ।
: আপনাকে আবার ও ধন্যবাদ ।আপনার কথা আমার সব সময় মনে থাকবে ।আপনি ভালো থাকবেন ।আর একটা কথা ,উপদেশ ও বলতে পারেন ।এই ভাবে অফিসের দেরি করে কোন মেয়েকে আবার উপকার করতে যাবেন না ।
: আচ্ছা আপনার কথা মনে থাকবে ।আপনি ভালোভাবে পরীক্ষা দিবেন ।
এরপর খুব দ্রুতই অফিসে পেীছে যাই ।অফিসে সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকি যে সকালের কথা ভুলেই গেলাম ।
শনিবার আমার অফিস ছুটি তাই একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠি ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরে দেখি একটা নাম্বার থেকে অনেক বার ফোন আসছে ।কিছু না ভেবেই ফোন দিলাম ঐ নাম্বার এ।রিং হচ্ছে-
: হ্যাঁলো ।আমি প্রেমা বলছি ।কেমন আছেন ?
: আমি ভালো আছি ।আপনি কেমন আছেন ?আপনার আম্মার শরীর এখন কেমন আছে ?
: আমি ভালো আছি ।আম্মা ও ভালো আছে ।আম্মা আপনাকে বাসায় আসতে বলছে ।
: বাসায় আসবো কি করে ?আমি তো আপনাদের বাসা চিনি না ।
: ঠিক আছে আপনি কোথায় আছেন আমাকে বলেন ।আমি আমার বাসার ঠিকানা আপনাকে বলছি ।
: আমি নাখালপাড়া থাকি ।আপনি কোথায় থাকেন?
: আমি ও তো আপনার বাসার কাছেই থাকি ।আচ্ছা আপনি বাসা থেকে বাইরে আসেন ।আমি নিচে আসছি তারপর বাসায় নিয়ে আসবো ।
: আচ্ছা আপনি নিচে আসেন ।আমি বাইরে বের হচ্ছি ।
বাইরে বেরুতেই প্রেমাকে দেখতে পেলাম ।আমাকে দেখে সামনে এগিয়ে এস বললো-
: কেমন আছেন?
: ভালো আছি ।আপনি কেমন আছেন ?
: আমি ভালো আছি ।এখন চলেন আম্মা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ।
: আচ্ছা চলেন ।
এখানে এসেই ডাইরির পাতা গুলা ছেড়া পায় পূর্না ।বাকি পেজ গুলায় কি লেখা ছিল কিছু বোঝা যাচ্ছে না ।পূর্না এটুকু পড়ে কিছু বুঝতে পারলো না ।এই মেয়েটার সাথে কি অর্নবের কোন সম্পর্ক ছিল ?প্রথম যেদিন এটা নিয়ে অর্নব এর সাথে কথা হয়েছিল সেদিন ও কিছু না বলে চুপ করে ছিল ।আর আজ এই ডাইরি দেখে ও কিছু বোঝা যাচ্ছে না ।
এসব নিয়ে যখন পূর্না ভাবছে ঠিক তখনই ঝুম বৃষ্টি নামলো আর বাইরে তাকিয়ে দেখতে পেল অর্নব বাইরে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে ।মনে হচ্ছে ও খুব কষ্টে আছে……
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ১৪/০৯/২০১৩ভাই ডায়েরির পাতা গুলা না ছিড়লে হতনা। জ্বলদি বাকিটুকু দেন। নাইলে কেস্ করমুঃ@