সময় পরিভ্রমন
“There ware young lady named Bright
Whose speed was far faster then light.
She went out one day
In a relative way.
And returned the previous night”
জর্জ গ্যামোর এই লিমেরিকটি অত্যান্ত দুর্বোধ্য, এমনটাকি আসলে বাস্তবে সম্ভব ?
সময় পরিভ্রমন ব্যাপারটা হল আলাদা ডাইমেনশন বা মাত্রা । এই পৃথিবীতে আমরা একটি ত্রিমাত্রিক জগতে বাস করি । ১৮৯৫ সালে টাইম মেশিন উপন্যাসে প্রথম সময় ভ্রমন অর্থ্যাৎ চতুর্থ মাত্রার কথা বলার কয়েক বছর পর ১৯০৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তার Special Theory Of Relativity তে এই চতুর্থ মাত্রায় সময়ের ব্যাখ্যা করেন । আইনস্টাইনের আপেক্ষিক বাদের সূত্র অনুযায়ী, গতীশীল কোন বস্তুর গতিবেগ যতই বাড়ে, ততই মন্থর হয়ে যায় তার সময়কাল । যেমন একটা চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের ঘড়ি, রেল লাইনের পাশে যারা স্থির দাড়িয়ে আছে তাদের তুলনায় ধীরে চলবে, তবে এক্ষেত্রে ধীরে চলার মাপটা অত্যান্ত সূক্ষ্ম । আবার যদি কাউকে (ট্যাকিয়নের গতি সম্পন্ন) রকেটে করে পাঠিয়ে দেয়া হয় হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোন নক্ষত্রলোকে, পুনরায় একই গতিবেগে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে দেখা যাবে মহাকাশযানে ওই যাত্রীরা যখন ৬৫ বছর অতিক্রম করবে ততক্ষনে পৃথিবীতে ৪৫ লক্ষ বছর কেটে গেছে ।
আপেক্ষিকতাবাদের আরেকটি শর্ত হল আলোর গতিবেগই (সেকেন্ডে ৩০০০০০ কি. মি.) হল চরম গতিবেগ অর্থ্যাৎ মহাবিশ্বে এর চেয়ে গতিশীল আর কিছুই নেই । অথচ ব্লাকহোলের মুক্তিবেগ ৩০০০০০ কি.মি. এর চেয়েও বেশি । সবচেয়ে কম যে গতিবেগে কোন বস্তুকে নিক্ষেপ করলে বস্তু মধ্যাকর্ষনের টান উপেক্ষা করে বেরিয়ে যাবে তাকে মুক্তিবেগ বলে । তাই আলোও বের হয়ে যেতে পারেনা ব্লাকহোল থেকে । প্রসঙ্গত এসে যায় ব্লাকহোলের কথা, যেখানে আছে চতুর্থ মাত্রার অস্তিত্ব । আইনস্টাইন ও তার সতীর্থ নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধন প্রকাশ করেন, তাতে ব্লাকহোলকে বর্ননা করা হয়েছে এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে যোগাযোগের সেতু হিসাবে । ব্লাকহোলের মধ্যে দেশ ও কালের কোন অস্তিত্ব নেই, যাকে বলা হয় স্পেস টাইম সিংগুলারিটি । দেশ কালহীন এই জায়গায় আগে-পরে বলে যেমন কিছু নেই তেমনি উপর-নিচ বা সামনে পিছনে এ কথাগুলোও অর্থহীন, আর এখানেই রয়েছে সেই চতুর্থমাত্রিকতা ।
চতুর্থমাত্রায় গিয়ে সময় ভ্রমন কি সত্যিই সম্ভব? কারন, ধরা যাক টাইমশিনে চেপে একজন অতীতে গিয়ে তার পিতামহকে খুন করল, এক্ষেত্রে অতীতে গিয়ে যদি কেউ তার পিতামহকে খুন করে, তবে তার বাবার জম্মই অসম্ভব অর্থ্যাৎ তার কোন অস্তিত্বই থাকছে না । এখানে সৃষ্টি হচ্ছে এক হেয়ালির, তবে সমান্তরাল বিশ্বের অস্তিত্বে বিশ্বাসী যে সব বিজ্ঞানী, তারা বলেছেন এটা কোন হেয়ালি নয় । ব্যক্তিটি তার পিতামহকে মেরেছে ঠিকই, কিন্তু এটা তার নিজের পিতামহ নয় । সমান্তরাল বিশ্বে তার পিতামহের যে হুবহু কপি রয়েছে, সে খুন করেছে তাকেই । ঠিক এভাবেই সময় ভ্রমন নিয়ে যত হেয়ালি আছে এদের সমাধান করা সম্ভব । আর সময় ভ্রমনের যন্ত্রটা যদি উপন্যাসের টাইমমেশিন হয় তবে তার গতিবেগ হতে হবে আলোর গতিবেগ থেকে সবচেয়ে বেশী ।
বিজ্ঞানীরা এখন আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন মৌলকনার কথা বলেছেন । কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ড. জেরাল্ড ফায়েনবার্গ ১৯৬৭ সালে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন এই কনার নাম রাখেন ট্যাকিয়ন । এখন ট্যাকিয়নের মত গতিসম্পন্ন কোন রকেট যদি তৈরী করা যায় তবে জর্জ গ্যামোর সেই লিমেরিকটির মতই ঘটবে ব্যাপারটা । ট্যাকিয়নের গতিতে চলাফেরা করে ডাইমেনশনের পরিবর্তন করে অতিসহজেই ঘুরে বেড়ানো যাবে অতীতের সময় গুলোতে ।
৪০৮/ডি, ঢাকা│ ২.০৭.২০০৮ খ্রি.
Whose speed was far faster then light.
She went out one day
In a relative way.
And returned the previous night”
জর্জ গ্যামোর এই লিমেরিকটি অত্যান্ত দুর্বোধ্য, এমনটাকি আসলে বাস্তবে সম্ভব ?
সময় পরিভ্রমন ব্যাপারটা হল আলাদা ডাইমেনশন বা মাত্রা । এই পৃথিবীতে আমরা একটি ত্রিমাত্রিক জগতে বাস করি । ১৮৯৫ সালে টাইম মেশিন উপন্যাসে প্রথম সময় ভ্রমন অর্থ্যাৎ চতুর্থ মাত্রার কথা বলার কয়েক বছর পর ১৯০৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তার Special Theory Of Relativity তে এই চতুর্থ মাত্রায় সময়ের ব্যাখ্যা করেন । আইনস্টাইনের আপেক্ষিক বাদের সূত্র অনুযায়ী, গতীশীল কোন বস্তুর গতিবেগ যতই বাড়ে, ততই মন্থর হয়ে যায় তার সময়কাল । যেমন একটা চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের ঘড়ি, রেল লাইনের পাশে যারা স্থির দাড়িয়ে আছে তাদের তুলনায় ধীরে চলবে, তবে এক্ষেত্রে ধীরে চলার মাপটা অত্যান্ত সূক্ষ্ম । আবার যদি কাউকে (ট্যাকিয়নের গতি সম্পন্ন) রকেটে করে পাঠিয়ে দেয়া হয় হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোন নক্ষত্রলোকে, পুনরায় একই গতিবেগে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে দেখা যাবে মহাকাশযানে ওই যাত্রীরা যখন ৬৫ বছর অতিক্রম করবে ততক্ষনে পৃথিবীতে ৪৫ লক্ষ বছর কেটে গেছে ।
আপেক্ষিকতাবাদের আরেকটি শর্ত হল আলোর গতিবেগই (সেকেন্ডে ৩০০০০০ কি. মি.) হল চরম গতিবেগ অর্থ্যাৎ মহাবিশ্বে এর চেয়ে গতিশীল আর কিছুই নেই । অথচ ব্লাকহোলের মুক্তিবেগ ৩০০০০০ কি.মি. এর চেয়েও বেশি । সবচেয়ে কম যে গতিবেগে কোন বস্তুকে নিক্ষেপ করলে বস্তু মধ্যাকর্ষনের টান উপেক্ষা করে বেরিয়ে যাবে তাকে মুক্তিবেগ বলে । তাই আলোও বের হয়ে যেতে পারেনা ব্লাকহোল থেকে । প্রসঙ্গত এসে যায় ব্লাকহোলের কথা, যেখানে আছে চতুর্থ মাত্রার অস্তিত্ব । আইনস্টাইন ও তার সতীর্থ নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধন প্রকাশ করেন, তাতে ব্লাকহোলকে বর্ননা করা হয়েছে এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে যোগাযোগের সেতু হিসাবে । ব্লাকহোলের মধ্যে দেশ ও কালের কোন অস্তিত্ব নেই, যাকে বলা হয় স্পেস টাইম সিংগুলারিটি । দেশ কালহীন এই জায়গায় আগে-পরে বলে যেমন কিছু নেই তেমনি উপর-নিচ বা সামনে পিছনে এ কথাগুলোও অর্থহীন, আর এখানেই রয়েছে সেই চতুর্থমাত্রিকতা ।
চতুর্থমাত্রায় গিয়ে সময় ভ্রমন কি সত্যিই সম্ভব? কারন, ধরা যাক টাইমশিনে চেপে একজন অতীতে গিয়ে তার পিতামহকে খুন করল, এক্ষেত্রে অতীতে গিয়ে যদি কেউ তার পিতামহকে খুন করে, তবে তার বাবার জম্মই অসম্ভব অর্থ্যাৎ তার কোন অস্তিত্বই থাকছে না । এখানে সৃষ্টি হচ্ছে এক হেয়ালির, তবে সমান্তরাল বিশ্বের অস্তিত্বে বিশ্বাসী যে সব বিজ্ঞানী, তারা বলেছেন এটা কোন হেয়ালি নয় । ব্যক্তিটি তার পিতামহকে মেরেছে ঠিকই, কিন্তু এটা তার নিজের পিতামহ নয় । সমান্তরাল বিশ্বে তার পিতামহের যে হুবহু কপি রয়েছে, সে খুন করেছে তাকেই । ঠিক এভাবেই সময় ভ্রমন নিয়ে যত হেয়ালি আছে এদের সমাধান করা সম্ভব । আর সময় ভ্রমনের যন্ত্রটা যদি উপন্যাসের টাইমমেশিন হয় তবে তার গতিবেগ হতে হবে আলোর গতিবেগ থেকে সবচেয়ে বেশী ।
বিজ্ঞানীরা এখন আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন মৌলকনার কথা বলেছেন । কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ড. জেরাল্ড ফায়েনবার্গ ১৯৬৭ সালে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন এই কনার নাম রাখেন ট্যাকিয়ন । এখন ট্যাকিয়নের মত গতিসম্পন্ন কোন রকেট যদি তৈরী করা যায় তবে জর্জ গ্যামোর সেই লিমেরিকটির মতই ঘটবে ব্যাপারটা । ট্যাকিয়নের গতিতে চলাফেরা করে ডাইমেনশনের পরিবর্তন করে অতিসহজেই ঘুরে বেড়ানো যাবে অতীতের সময় গুলোতে ।
৪০৮/ডি, ঢাকা│ ২.০৭.২০০৮ খ্রি.
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৯/০৪/২০২১Very Nice.
-
মার্শাল ইফতেখার আহমেদ ১৭/০৪/২০২০পড়ে খুব আনন্দ পেলাম! কত যে রহস্য ঘিরে আছে আমাদের!
-
মোহাম্মদ মাইনুল ০৭/০৯/২০১৯ধন্যবাদ।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৯/০৩/২০১৯ভাল হয়েছে
-
শাহজাদা আল হাবীব ২৪/০১/২০১৯চমতকার আলোচনা।
-
মোঃ মেহেদী হাসান মান্না ২৯/০৫/২০১৮বিস্ময়কর।
-
শাফিউল কায়েস ২৪/০৫/২০১৮অসাধারণ
-
সেলিম রেজা সাগর ২০/০৫/২০১৮দারুণ
-
Abheek ১১/০৫/২০১৮সুন্দর.....
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/০৫/২০১৮very informative.
Thanking -
সায়েম মুর্শেদ ২৮/০৪/২০১৮টাইম মেশিন!
-
মোহাম্মদ রাসেল প্রধান ১৭/০৪/২০১৮ভাল
-
পবিত্র চক্রবর্তী ১৬/০৪/২০১৮চমৎকার লেখা
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৫/০৪/২০১৮স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ।