মেঘ বৃষ্টির কাব্য - ২
আর সব দিনের মতই ঘরে ফিরে আসা, সব কিছুই সেই তিন বৎসর আগের সেই ডোর বেল, দরজা খুলে তার হাসি মাখা মুখ। কিন্তু মনে হল একটু অন্য রকম। বাসায় ঢুকে সে অনুভব করল আজকের সন্ধ্যাটা অন্য রকম। অন্যান্য দিনের মত নয়। দরজা খুলে বৃষ্টি বেশীক্ষণ সামনে রইল না। তার পরও তার হাসি মাখা মুখটা দেখা গেল। হাসি মাখা সে মুখে কিছুটা লাজুকতা, কিছুটা বিব্রতও, যা চেষ্টা করেও সে ঢাকতে পারছেনা। গত তিন বসরে তাদের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তার মুখ এমনটি দেখেনি। তাদের বিয়ের পর দুজনের অপেক্ষার ক্ষণগুলো আস্তে আস্তে আরো বড় হতে থাকে। ও দিকে বৃষ্টির ও আর ঘরে বসে থেকে থেকে অলস সময় কাটাতে ভালো লাগ-ছিলোনা। যদিও বাসার ল্যাপটপের ম্যাসেনজার দিয়ে সারাক্ষণ ই কথা হতো মেঘের এর সাথে। তার ফাকে ফাকে চলত বিডি জবস্ এ চাকরির এপ্লাই, রান্না, গোসল, ঘর গোছানো। একদিন মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ফোন, নতুন চাকরী, কাজের জড়তা আস্তে আস্তে পারদর্শী, পদন্নোতি...।
গত কয়েক দিন থেকেই বৃষ্টি অনুভব করছিল যে তার শরীরে নতুন এক শিহরন। সে কিছুটা বুঝেছিল তার শরীরে সে আর একা নয়। তবে সে নিশ্চিত ছিল না। আজ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে সে পরীক্ষা করতে দিয়ে গিয়ে ছিল আর অফিস থেকে ফিরার পথে রিপোর্টটা পেয়ে সে নিশ্চিত হল। মেঘকে কিভাবে এই নতুনের আগমনী বার্তাটি দিবে তাই নিয়ে আজ সারাদিন ই ভেবেছে। কিন্তু সে কিছুতেই মনস্থির করতে পারছেনা।
অতপরঃ প্রতিদিন এর মত মেঘ বাথরুম থেকে বের হয়ে দক্ষিণের বারান্দায় যায়, আগে থেকে বৃষ্টি ও সেখানে। দক্ষিণ দিকে এতদিনে ইট, বালি, সিমেন্ট এর বদৌলতে অনেক পাকা দালান উঠে গেছে। তার পর ও তাদের বারান্দার সামনে কিছু জায়গা খালি আছে এখনও। বিকেল হলে কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে যায় সেই দিক। তারা দুজনে সেখানেই বসে, ভালোলাগে। তবুও আজ অন্য রকম ভালোলাগা। অয়ন চায়ের কাপে চুমুক দিতে ই সে সুসংবাদটি দিল। শুনেই সে দাড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল। দুজনেই আনন্দে আত্মহারা। তাদের তিন বৎসরের সংসার জীবনে এটিই সবচেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ।
গত কয়েক দিন থেকেই বৃষ্টি অনুভব করছিল যে তার শরীরে নতুন এক শিহরন। সে কিছুটা বুঝেছিল তার শরীরে সে আর একা নয়। তবে সে নিশ্চিত ছিল না। আজ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে সে পরীক্ষা করতে দিয়ে গিয়ে ছিল আর অফিস থেকে ফিরার পথে রিপোর্টটা পেয়ে সে নিশ্চিত হল। মেঘকে কিভাবে এই নতুনের আগমনী বার্তাটি দিবে তাই নিয়ে আজ সারাদিন ই ভেবেছে। কিন্তু সে কিছুতেই মনস্থির করতে পারছেনা।
অতপরঃ প্রতিদিন এর মত মেঘ বাথরুম থেকে বের হয়ে দক্ষিণের বারান্দায় যায়, আগে থেকে বৃষ্টি ও সেখানে। দক্ষিণ দিকে এতদিনে ইট, বালি, সিমেন্ট এর বদৌলতে অনেক পাকা দালান উঠে গেছে। তার পর ও তাদের বারান্দার সামনে কিছু জায়গা খালি আছে এখনও। বিকেল হলে কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে যায় সেই দিক। তারা দুজনে সেখানেই বসে, ভালোলাগে। তবুও আজ অন্য রকম ভালোলাগা। অয়ন চায়ের কাপে চুমুক দিতে ই সে সুসংবাদটি দিল। শুনেই সে দাড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল। দুজনেই আনন্দে আত্মহারা। তাদের তিন বৎসরের সংসার জীবনে এটিই সবচেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৮/১২/২০১৬সুবোধ্য লিখনীতে ঐশ্বর্য ছড়িয়ে পড়ুক
-
মোমিনুল হক আরাফাত ২৩/১২/২০১৬ভাল লিখছেন!
-
মোনালিসা ২২/১২/২০১৬এটা কোনো লিখা হলো?
-
সোলাইমান ২১/১২/২০১৬মাঝে মাঝে কিছু কিছু গল্পে হ্রদয়ের গভিরে চলে যায়।। এতা তেমনি একতা গল্প।