শুধুমাত্র তোমার জন্যে
ক্লাস এইটের কথা, আমি ক্লাসে তৃতীয় আর ও নবম, দুজনেই প্রথম সরি, আমি ছেলেদের দিকে ফার্স্ট বেঞ্চে আর ও মেয়েদের দিকে। বন্ধুবান্ধবও সব প্রথম সারির, যারা পড়াশোনায় একটু খারাপ ছিলো তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তো কমই আর আলাপ ও আরোকম। একই কোচিং, একই বাড়ি ফেরার পথ, দুজনেরই সাইকেল, একসাথেই যাতায়াত, শুধু আমি একটু কালো, ও ফর্সা, আমি একটু দেখতে খারাপ, ও ভীষণ সুন্দর। একদিন দুজন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ মাঝ রাস্তায় একটি মেয়ে, সাইকেল খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, আমাদেরই ক্লাসের।
আমি বললাম থাক গিয়ে চল ! দ্বিতীয় বার ভাবিও নি, এরকম ছিলাম, এরকম ছিলাম যে ওই মেয়েটি ক্লাসে ভালো ভাবে চোখ ও পড়েনি, পড়ার কথা ও নয়, একটাই দৃষ্টি, সম্পূর্ণ ডুব, এতটাই যে রাস্তায় প্রসাব করতে লজ্জা লাগত তার আসার ভয়ে, একই চপ্পল, সাইকেল, পছন্দ ও মেলানোর চেষ্টা শুধু চুড়িদারটা আলাদা খাতায় ছবি, দেয়ালে নাম, তার ইঙ্গিতেও নিজেকে মেলানোর কল্পনা। অবশ্য এরকম দশ বিশ জন ছিল শুধু আমি প্রথম সারির।
এভাবে দু বছর কাটলো, আমার প্রথম সারি ও কাটলো। মাধ্যমিক শেষ হলো, আমার গল্প ও শেষ হলো। অনশন, বুকের ওপর দিগুন ওজন, ঘরেও ভাগ কোমল, এক থেকে দুই হলাম, রক্তচিঠি, সিগারেটে, কোনো কিছুতে লাভ হলোনা। হওয়ারও ছিলো না আসলে, ও আমার ক্ষতি হোক চাইতো না, ভালো বাসতো না, তবে বিভীষণ ছিলো। আমার ভবিষ্যত নিয়ে বাবা মা এমন কি টিচার রা ও ভয় পেতে শুরু করে।
আর, সেই মেয়েটি, যার কথা সেদিন তার বিপদে ও দ্বিতীয় বার ভাবিনি, এখন সে আমার বউ। সুখের সংসার, বিশেষ কোনো দাবিও নেই , শুধুমাত্র দুটো ছাড়া : ভালোবাসা এবং অধিকার।
আমি ওকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি,
শুধুমাত্র দু দশ বার আমাকে সিগেরেট খেতে দেখে ছেলেদের টয়লেট থেকে হাত ধরে টেনে এনেছিল তাই,
শুধু মাত্র, আমি তাকে ভালো বাসি না, বাসবোও না এটা জেনে ও আমাকে ভালো বেসেছিলো তাই ,
শুধুমাত্র বাবা মা ভরসা হারানোর পরেও ও আমার জন্য মানত করেছিল তাই
আর শুধু মাত্র দোষে গোনে আমাকে ওর সিনেমার নায়ক বানিয়েছিলো তাই,
দুজন, একজন যাকে ভালবাসতাম তাকে ভালোবাসি বলতে পারিনি আর যাকে ভালো বাসিনি, সে ভালোবাসি বলতে বাধ্য করেছিলো
সব জানে বৌ, সব বলেছি বৌকে, শুধুমাত্র একটা কথাই বলতে পারিনি : যার জন্যে বলেছিলাম থাক গিয়ে চল, সে আমার জন্যে তার ভবিষ্যত কে বলেছিল থাক গিয়ে চল
আমি বললাম থাক গিয়ে চল ! দ্বিতীয় বার ভাবিও নি, এরকম ছিলাম, এরকম ছিলাম যে ওই মেয়েটি ক্লাসে ভালো ভাবে চোখ ও পড়েনি, পড়ার কথা ও নয়, একটাই দৃষ্টি, সম্পূর্ণ ডুব, এতটাই যে রাস্তায় প্রসাব করতে লজ্জা লাগত তার আসার ভয়ে, একই চপ্পল, সাইকেল, পছন্দ ও মেলানোর চেষ্টা শুধু চুড়িদারটা আলাদা খাতায় ছবি, দেয়ালে নাম, তার ইঙ্গিতেও নিজেকে মেলানোর কল্পনা। অবশ্য এরকম দশ বিশ জন ছিল শুধু আমি প্রথম সারির।
এভাবে দু বছর কাটলো, আমার প্রথম সারি ও কাটলো। মাধ্যমিক শেষ হলো, আমার গল্প ও শেষ হলো। অনশন, বুকের ওপর দিগুন ওজন, ঘরেও ভাগ কোমল, এক থেকে দুই হলাম, রক্তচিঠি, সিগারেটে, কোনো কিছুতে লাভ হলোনা। হওয়ারও ছিলো না আসলে, ও আমার ক্ষতি হোক চাইতো না, ভালো বাসতো না, তবে বিভীষণ ছিলো। আমার ভবিষ্যত নিয়ে বাবা মা এমন কি টিচার রা ও ভয় পেতে শুরু করে।
আর, সেই মেয়েটি, যার কথা সেদিন তার বিপদে ও দ্বিতীয় বার ভাবিনি, এখন সে আমার বউ। সুখের সংসার, বিশেষ কোনো দাবিও নেই , শুধুমাত্র দুটো ছাড়া : ভালোবাসা এবং অধিকার।
আমি ওকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি,
শুধুমাত্র দু দশ বার আমাকে সিগেরেট খেতে দেখে ছেলেদের টয়লেট থেকে হাত ধরে টেনে এনেছিল তাই,
শুধু মাত্র, আমি তাকে ভালো বাসি না, বাসবোও না এটা জেনে ও আমাকে ভালো বেসেছিলো তাই ,
শুধুমাত্র বাবা মা ভরসা হারানোর পরেও ও আমার জন্য মানত করেছিল তাই
আর শুধু মাত্র দোষে গোনে আমাকে ওর সিনেমার নায়ক বানিয়েছিলো তাই,
দুজন, একজন যাকে ভালবাসতাম তাকে ভালোবাসি বলতে পারিনি আর যাকে ভালো বাসিনি, সে ভালোবাসি বলতে বাধ্য করেছিলো
সব জানে বৌ, সব বলেছি বৌকে, শুধুমাত্র একটা কথাই বলতে পারিনি : যার জন্যে বলেছিলাম থাক গিয়ে চল, সে আমার জন্যে তার ভবিষ্যত কে বলেছিল থাক গিয়ে চল
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মিটুল কুমার বোস ১১/০৫/২০২০
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ১১/০৫/২০২০বেশ সুন্দর লেখনী
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১১/০৫/২০২০কল্পনায় তুমি।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৫/২০২০একটুকরো স্মৃতিসুধা!
-
ফয়জুল মহী ১১/০৫/২০২০মনোরম লেখনী I
এমনি হয়..
ভালোলাগা রইলো..