ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
আলতা পায়ে নূপুর পরা
রূপোর চুড়ি বিনুনি করা
কপালে টিপ শ্যামলা করে,
পুরোনো চুড়িদার আর
ফেস পাউডার অল্প করে
বেশি তো নয় বয়স বোধয় তেরো চোদ্দ হবে
কদিন হলো হাই স্কুলে যাচ্ছে তো সে সবে
ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
কাঙাল সময় শরীরে তার শেষ
একটু হাসি অনেক কষ্টে দেহ যেতো বেঁকে
হাসতে তোমরা ফ্যালফ্যালিয়ে সাজের বাহার দেখে
কৃপণ মেঘ তাকে তুমি দাওনি একটু পানি
সোনালী রোদ তুমিও তাকে দাও নি একটু আলো
অভাব জোয়ার হাবুডুবু শরীর কানাকানি
সময় খেলায় কাটা কাটি তবু অঙ্কে ছিলো ভালো
পথের পাশে চেয়ার ঘেসে
বেজন্মার এখনো বসে
দুই হাতে দুই ডুগডুগি আর
বুকের ভিতর বিষাক্ত সাপ
ঝুলছে আকাশ সমান্তরালে নির্বাক চুপচাপ
ঠোঁটে ঠোঁটে চুম্বন, গোপনে বিষ দাঁত
শরীরে শরীরে মেঘে মেঘে ঘর্ষণ বজ্জ্রপাত
কেউ আসোনি, লুকিয়ে ছিলে
নিজের বুকের চৌপাচিলে
তোমরাতো সব গৃহবন্দী , আত্মঘাতী সংগ্রামী
বিপ্লবী নয়, সাম্রাজ্যময় দাদা দিদির অনুগামী
ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
অপরূপ অন্তরালে বাইরে ছদ্দবেশ
রাতের গায়ে জ্বলছে যে তার
নখের বিষ এ বিষাক্ত অন্ধকার
আকাশ দেখো নতজানু ছাতার নিচে হাটে
রাত বাড়লে সবার বুকে মৃতেরা দাগ কাটে
দিন হেটেযায় নিস্বব্দে বিড়ালের পায় পায়
জীবন যেনো তোলা ফেলা বালিস বিছানায়
ওই মেয়েটি আর কি এখন এই পথেই ফেরে?
বোলো তাকে, ভয় পাবি না, এবার থেকে
আমি রোজ দাড়িয়ে থাকবো চৌরাস্তার মোড়ে
আলতা পায়ে নূপুর পরা
রূপোর চুড়ি বিনুনি করা
কপালে টিপ শ্যামলা করে,
পুরোনো চুড়িদার আর
ফেস পাউডার অল্প করে
বেশি তো নয় বয়স বোধয় তেরো চোদ্দ হবে
কদিন হলো হাই স্কুলে যাচ্ছে তো সে সবে
ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
কাঙাল সময় শরীরে তার শেষ
একটু হাসি অনেক কষ্টে দেহ যেতো বেঁকে
হাসতে তোমরা ফ্যালফ্যালিয়ে সাজের বাহার দেখে
কৃপণ মেঘ তাকে তুমি দাওনি একটু পানি
সোনালী রোদ তুমিও তাকে দাও নি একটু আলো
অভাব জোয়ার হাবুডুবু শরীর কানাকানি
সময় খেলায় কাটা কাটি তবু অঙ্কে ছিলো ভালো
পথের পাশে চেয়ার ঘেসে
বেজন্মার এখনো বসে
দুই হাতে দুই ডুগডুগি আর
বুকের ভিতর বিষাক্ত সাপ
ঝুলছে আকাশ সমান্তরালে নির্বাক চুপচাপ
ঠোঁটে ঠোঁটে চুম্বন, গোপনে বিষ দাঁত
শরীরে শরীরে মেঘে মেঘে ঘর্ষণ বজ্জ্রপাত
কেউ আসোনি, লুকিয়ে ছিলে
নিজের বুকের চৌপাচিলে
তোমরাতো সব গৃহবন্দী , আত্মঘাতী সংগ্রামী
বিপ্লবী নয়, সাম্রাজ্যময় দাদা দিদির অনুগামী
ওই মেয়েটির নাম কি ছিলো বেশ
অপরূপ অন্তরালে বাইরে ছদ্দবেশ
রাতের গায়ে জ্বলছে যে তার
নখের বিষ এ বিষাক্ত অন্ধকার
আকাশ দেখো নতজানু ছাতার নিচে হাটে
রাত বাড়লে সবার বুকে মৃতেরা দাগ কাটে
দিন হেটেযায় নিস্বব্দে বিড়ালের পায় পায়
জীবন যেনো তোলা ফেলা বালিস বিছানায়
ওই মেয়েটি আর কি এখন এই পথেই ফেরে?
বোলো তাকে, ভয় পাবি না, এবার থেকে
আমি রোজ দাড়িয়ে থাকবো চৌরাস্তার মোড়ে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইসমাইল জসীম ১১/০৫/২০২০বেশ ভালো লাগলো। আপনার কবিতা মুগ্ধতায় ভরপুর
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১০/০৫/২০২০বেশ সুন্দর অনুভূতিময়।
-
রবিউল আলম ১০/০৫/২০২০সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
-
ফয়জুল মহী ১০/০৫/২০২০চমৎকার লিখেছেন,,
-
ডঃ নাসিদুল ইসলাম ১০/০৫/২০২০চমৎকার
-
ইসমাইল জসীম ১০/০৫/২০২০বাহ। অনবদ্য প্রেমের কবিতা।