পরির রাজ্যে একরাত
(প্রকাশিতব্য শিশুতোষ গ্রন্থের সামান্য অংশ)
..........................................................
শাহজাদি শহরের স্কুলের তৃতীয় শ্রণির শিক্ষার্থী। লেখা-পড়ার চাপে সে খানিকটা ভীত। দাদি পৌত্রীর মনের অবস্থা বুঝে রমজানের ছুটিতে তাকে নিয়ে গেল নিজের কাছে, গ্রামের বাড়িতে।
তারাভরা রাতে খোলা ছাদে শুয়ে সে দাদির কাছে পরিদের গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে। ..........
.........................................................
প্রথমে কালো পরির পিঠে চড়ে সে যাত্রা শুরু করল। কিছু পথ যাওয়ার পর সাদা পরি বলল,“ বোন কলা, তোর কষ্ট হচ্ছে, এবার শাহজাদিকে আমার পিঠে চাপিয়ে দে।”
..................................................................
চারপাশে পাহাড় ঘেরা পরিবেশ। চাঁদের আলো যেন পাহাড়ের মাথায় মাথায় ঢেউয়ের মাতাম তুলছে।....................
বড় দিঘির অর্ধেকটা জুড়ে শ্বেতপদ্মের বন। অন্য পাশে স্বচ্ছ পানিতে পড়েছে চাঁদের ছায়া। দেখে মনে হয় ......................
পরি শিশুদের ফল ও মাসের নাম শেখানোর জন্য শিক্ষিকা-শিক্ষার্থী একসাথে আবৃত্তি করছে-
চৈত্র মাস মধুর মাস,
জ্যৈষ্ঠ মাস আমের মাস,
আষাঢ়েতে আনারস,
কলা ফলে বারো মাস।
.................................
শাহজাদি দেখল বহুদূরে নিরিবিলে একটা নীল পাহাড়ের ধারে গানের আসর। গানের সুরের চেয়ে কথাগুলো ভারি সুন্দর ! সে কষ্ট পেল এই ভেবে যে, তার দেশে গানের বাজনা শুনলে শিশুদের বুক কেঁপে ওঠে, ভয়ে ! গানের কথাগুলো-
আমরা সবাই পরি,
যার যার কাজ করি।।
দেশটাকে ভালো বাসব,
দেশটাকে গড়ে তুলব।।
কোনো অন্যায় হতে দেব না,
অসত্যের কাছে হার মানব না।।
............................................
শাহজাদি ভাবল,আহা ! এদের দেশটা কত্ত ভালো। যদি আমাদের দেশটা এমন হতো ! .......................................................
...............................................................................
..........................................................
শাহজাদি শহরের স্কুলের তৃতীয় শ্রণির শিক্ষার্থী। লেখা-পড়ার চাপে সে খানিকটা ভীত। দাদি পৌত্রীর মনের অবস্থা বুঝে রমজানের ছুটিতে তাকে নিয়ে গেল নিজের কাছে, গ্রামের বাড়িতে।
তারাভরা রাতে খোলা ছাদে শুয়ে সে দাদির কাছে পরিদের গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে। ..........
.........................................................
প্রথমে কালো পরির পিঠে চড়ে সে যাত্রা শুরু করল। কিছু পথ যাওয়ার পর সাদা পরি বলল,“ বোন কলা, তোর কষ্ট হচ্ছে, এবার শাহজাদিকে আমার পিঠে চাপিয়ে দে।”
..................................................................
চারপাশে পাহাড় ঘেরা পরিবেশ। চাঁদের আলো যেন পাহাড়ের মাথায় মাথায় ঢেউয়ের মাতাম তুলছে।....................
বড় দিঘির অর্ধেকটা জুড়ে শ্বেতপদ্মের বন। অন্য পাশে স্বচ্ছ পানিতে পড়েছে চাঁদের ছায়া। দেখে মনে হয় ......................
পরি শিশুদের ফল ও মাসের নাম শেখানোর জন্য শিক্ষিকা-শিক্ষার্থী একসাথে আবৃত্তি করছে-
চৈত্র মাস মধুর মাস,
জ্যৈষ্ঠ মাস আমের মাস,
আষাঢ়েতে আনারস,
কলা ফলে বারো মাস।
.................................
শাহজাদি দেখল বহুদূরে নিরিবিলে একটা নীল পাহাড়ের ধারে গানের আসর। গানের সুরের চেয়ে কথাগুলো ভারি সুন্দর ! সে কষ্ট পেল এই ভেবে যে, তার দেশে গানের বাজনা শুনলে শিশুদের বুক কেঁপে ওঠে, ভয়ে ! গানের কথাগুলো-
আমরা সবাই পরি,
যার যার কাজ করি।।
দেশটাকে ভালো বাসব,
দেশটাকে গড়ে তুলব।।
কোনো অন্যায় হতে দেব না,
অসত্যের কাছে হার মানব না।।
............................................
শাহজাদি ভাবল,আহা ! এদের দেশটা কত্ত ভালো। যদি আমাদের দেশটা এমন হতো ! .......................................................
...............................................................................
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জানবক্স খান ১৯/০৬/২০২০দারুন মিষ্টি। আরো কিছু দিন।
-
ইতি হালদার ২২/০৫/২০২০এক কথায় অনবদ্য লেখা।
-
ইসলাম শফিকুল ২১/০৫/২০২০অসাধারণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২০/০৫/২০২০সুন্দর নিবেদন।
-
ইসমাইল জসীম ২০/০৫/২০২০গল্পটা ভালো লাগলো। তবে মাঝখানে এতো ডট ডট কেন ভাই?
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২০/০৫/২০২০অসাধারণ।
-
ফয়জুল মহী ২০/০৫/২০২০দুর্দান্ত প্রকাশ। যথার্থ