একাত্তরের মীরজাফর (তৃতীয় অংশ)
হোসেনকে হারিয়ে কাইয়ুম আজ বড় একা। হোসেনের হত্যার কারণ সকলের নিকট স্পষ্ট। তবে মুখ খোলার সাহস কারো নেই। মোল্লা হোসেনের প্রিয় গরুটা নিয়ে যাওয়ার সময় হোসেন বাধা দিয়েছিল। ফলশ্রূতিতে মিলিটারিরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং বেঢপ মারধোর করে পরপারে পাঠিয়ে দেয়। দুপুরের দিকে পাশের গ্রামনী কান্তকে মিলিটারিরা গুলি করে হত্যা করে। রমনি কান্ত মেয়ের বিয়ের বাজার করার জন্য ডোমার যাচ্ছিল। গ্রামের সবচেয়ে বড় বাজার ডোমারে যেতে হলে চিকনমাটি গ্রামটি অতিক্রম করতে হয়। বাজারে যাওয়ার সময় মোল্লার সাথে রমনির দেখা হয়। মোল্লা রমনির সব টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তাকে মিলিটারিদের হাতে তুলে দেয়। মিলিটারিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। সন্ধ্যার দিকে মোল্লা মিলিটারিদের নিয়ে পাশের হিন্দু গ্রামে আক্রমন চালায়। তারা প্রায় দশ বারো জনকে গুলি করে হত্যা করে। বাকিরা সব বাড়ি ঘর রেখে পালিয়ে যায়। এ খবর আশেপাশের সব হিন্দু গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তারা জীবন বাঁচাতে বাপ দাদার ভিটে রেখে বোর্ডার অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যায়। শুধু হিন্দুরা নয় অনেক মুসলিম পরিবারও উদ্বাস্তূ হয়ে যায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।