আজকে শনিবার
এক ঝাঁক ব্যস্ত সকাল পার করে কোনো এক ছুটির সকালের খামখেয়ালি ঘুম ভাঙা কি, সারাদিনের নকশাটাই বদলে দিতে পারে?
আলবাত পারে। আরে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ‘জনাব’,রশিকতা নয়। এখন সে বদল সদর্থক দিকাভিমুখী হবে, নাকি হবে নঞর্থক পথের পথিক, সেটা অবশ্য সেই খামখেয়ালের মর্জি-মাফিক...তার উত্তর ‘সে’ই দিতে পারবে। এ মনটা, শুধু খাম-খেয়াল ধরে রাখার বাক্স মাত্র। এবার সে সকাল যদি হয় শনিবারের সকাল!! তবে তো খাতায় কলমে সই-সাবত ছাড়াই সেদিনের রাজা হতে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা...আপনিই হবেন আপনার রাজ্যের সেদিনের ‘খোদা’। জানি,শনিবারের রাজদরবারে বরাবর আমিই সেই পদে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকি। তবে আজ পরিস্থিতির একটু বদল ঘটেছে দেখছি। খেয়াল আমার খামখেয়ালের আশকারায় সগৌরবে আমার ছাদ, আমার ঘরে,আমার আমার বারান্দায় পায়চারী করছে...ফারাক এই যা। এটা আমার বরাবরের রাজকীয়ানা...কিন্তু সারা সপ্তা, সারা মাস, সারা বছরের ব্যস্ততার ভিড়ে সে নবাবিয়ানায় কেমন একটা অনিচ্ছাকৃত জং ধরে গেছে...আজ বোধহয়, সেই জং ছাড়ানোর কিছুটা অপরিকল্পিত কিন্তু অবসম্ভাবি পরিণতির পালা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, আজকের দিনটায় একটার পর একটা ঘণ্টা কি রুটিনে কাটাব, মানে রাজত্বের একটা নিয়ম তো থাকা চাই। নাকি? এই তো নয়...আরে মশাই রুটিনবিহীন দিনের বেহিসেবীপনার একটা আলদা মজা...আলাদা গাম্ভীর্য...আলাদা চপলতা...আলদা ঘ্যাম-ঘ্যাম ভাব আছে। সে ভাবনা যেন নিজের ভাবনায় মাতোয়ারা হয়ে থাকে। শরীরের বৃষ্টিভেজা মনের সিক্ত ভাবাপন্নতায় সে যেন নিজের খেয়ালে বুঁদ থাকে...ঘুমের দিবা জাগরণে। তখনই তো মনে হবে আপনি নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকা সপ্তার মাঝখানে বসে নেই, বরং সে নিয়মের ঝুলি শিকেয় তুলে কিছুটা বেনিয়মী হাওয়ার চিঠি ডাকবাক্সে হয়েছে জমা। অন্যদিন ঘড়ির কাঁটা ছ’টার ঘর ছুঁলো কি ছুঁলোনা আমার ঘুমের; আমার আলিস্যিপনার সাড়ে তেরোটা বাজিয়ে ‘ব্যস্ততার’ যুদ্ধবেশ গায়ে চাপানোর তোড়জোড় চলতে থাকে। আর আমাকে প্রতিদিনের অলিখিত সমরে পা রাখার প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্তু আজ সবকিছুই আলাদা। কাল রাতে ঘুমের ঘারতির পরেও ক্লান্তি আমার ১০ হাত দূরে শুয়ে আছে। ও ঘুমচ্ছে, ঘুমোক। আজ তো ছুটির দিন, তাই শত ক্লান্তিতেও মনে হবে এদু'দিনের প্রতিটা সেকেন্ড কুঁড়িয়ে নিয়ে নিজের মনের বাজারে পসরা সাজাই। আমি চল্লুম দু'দিনের চব্বিশ ঘণ্টাকে জুড়ে আটছল্লিশ বানাতে। বরং আজ ও কালকের আটছল্লিশ ঘণ্টার এই ছোট্ট পরিসরকে সাধ্য মতো টেনে হিঁচড়ে লম্বা করতে পারলে বেশ হত। তবে আপাতদৃষ্টিতে সে যেন মনের ইচ্ছের আঁচ পেয়ে, প্রতি মিনিটের সাথে বারতি ২-৪ মিনিট জুড়ে, খামখেয়ালের মাত্রাকে করেছে দ্বিগুন।
আলবাত পারে। আরে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ‘জনাব’,রশিকতা নয়। এখন সে বদল সদর্থক দিকাভিমুখী হবে, নাকি হবে নঞর্থক পথের পথিক, সেটা অবশ্য সেই খামখেয়ালের মর্জি-মাফিক...তার উত্তর ‘সে’ই দিতে পারবে। এ মনটা, শুধু খাম-খেয়াল ধরে রাখার বাক্স মাত্র। এবার সে সকাল যদি হয় শনিবারের সকাল!! তবে তো খাতায় কলমে সই-সাবত ছাড়াই সেদিনের রাজা হতে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা...আপনিই হবেন আপনার রাজ্যের সেদিনের ‘খোদা’। জানি,শনিবারের রাজদরবারে বরাবর আমিই সেই পদে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকি। তবে আজ পরিস্থিতির একটু বদল ঘটেছে দেখছি। খেয়াল আমার খামখেয়ালের আশকারায় সগৌরবে আমার ছাদ, আমার ঘরে,আমার আমার বারান্দায় পায়চারী করছে...ফারাক এই যা। এটা আমার বরাবরের রাজকীয়ানা...কিন্তু সারা সপ্তা, সারা মাস, সারা বছরের ব্যস্ততার ভিড়ে সে নবাবিয়ানায় কেমন একটা অনিচ্ছাকৃত জং ধরে গেছে...আজ বোধহয়, সেই জং ছাড়ানোর কিছুটা অপরিকল্পিত কিন্তু অবসম্ভাবি পরিণতির পালা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, আজকের দিনটায় একটার পর একটা ঘণ্টা কি রুটিনে কাটাব, মানে রাজত্বের একটা নিয়ম তো থাকা চাই। নাকি? এই তো নয়...আরে মশাই রুটিনবিহীন দিনের বেহিসেবীপনার একটা আলদা মজা...আলাদা গাম্ভীর্য...আলাদা চপলতা...আলদা ঘ্যাম-ঘ্যাম ভাব আছে। সে ভাবনা যেন নিজের ভাবনায় মাতোয়ারা হয়ে থাকে। শরীরের বৃষ্টিভেজা মনের সিক্ত ভাবাপন্নতায় সে যেন নিজের খেয়ালে বুঁদ থাকে...ঘুমের দিবা জাগরণে। তখনই তো মনে হবে আপনি নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকা সপ্তার মাঝখানে বসে নেই, বরং সে নিয়মের ঝুলি শিকেয় তুলে কিছুটা বেনিয়মী হাওয়ার চিঠি ডাকবাক্সে হয়েছে জমা। অন্যদিন ঘড়ির কাঁটা ছ’টার ঘর ছুঁলো কি ছুঁলোনা আমার ঘুমের; আমার আলিস্যিপনার সাড়ে তেরোটা বাজিয়ে ‘ব্যস্ততার’ যুদ্ধবেশ গায়ে চাপানোর তোড়জোড় চলতে থাকে। আর আমাকে প্রতিদিনের অলিখিত সমরে পা রাখার প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্তু আজ সবকিছুই আলাদা। কাল রাতে ঘুমের ঘারতির পরেও ক্লান্তি আমার ১০ হাত দূরে শুয়ে আছে। ও ঘুমচ্ছে, ঘুমোক। আজ তো ছুটির দিন, তাই শত ক্লান্তিতেও মনে হবে এদু'দিনের প্রতিটা সেকেন্ড কুঁড়িয়ে নিয়ে নিজের মনের বাজারে পসরা সাজাই। আমি চল্লুম দু'দিনের চব্বিশ ঘণ্টাকে জুড়ে আটছল্লিশ বানাতে। বরং আজ ও কালকের আটছল্লিশ ঘণ্টার এই ছোট্ট পরিসরকে সাধ্য মতো টেনে হিঁচড়ে লম্বা করতে পারলে বেশ হত। তবে আপাতদৃষ্টিতে সে যেন মনের ইচ্ছের আঁচ পেয়ে, প্রতি মিনিটের সাথে বারতি ২-৪ মিনিট জুড়ে, খামখেয়ালের মাত্রাকে করেছে দ্বিগুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ৩০/১০/২০১৪আমি বোকাসোকা মানুষ বেশী ভালো বুঝি নি।
-
সহিদুল হক ২৫/০৯/২০১৪উপস্থাপনা ভাল লাগলো।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০৮/০৯/২০১৪বেশ লিখেছেন। অসাধারন লাগল।