একটি নদী দুটি ধারা
পৃথিবীর দীর্ঘতম ( ৬৬৫০ কি.মি.) নদীর নাম নীল । আসলে এটির প্রকৃত নাম নাইল । নদীর মধ্যেও আবার লিঙ্গ ভেদ আছে । পৃথিবীতে বেশির ভাগ নদী স্ত্রীবাচক । পুরুষবাচক নদীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় । ব্রহ্মপুত্র ও কপোতাক্ষ কে আমরা নদ বলে ডাকি । নীল ও একটি নদ । হ্রদ থেকে যেসব নদীর উৎপত্তি সেগুলো নদ । আর নদীর উৎস মুলে রেয়েছে পাহাড়-পর্বত থেকে প্রবাহিত ধারা ।
নীলনদ দিয়ে প্রবাহিত পানির আয়তন ৩৩,৪৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার । প্রশস্থতার দিক দিয়ে আমাজন নীল নদের চেয়ে অনেক বড় হলেও দৈর্ঘ্যে ২৫০ কিলোমিটার ছোট । নীলনদের রয়েছে বড় দুটি শাখা । একটিকে বলা হয় হোয়াইট নীল এবং অপরটিকে বলা হয় ব্লু নীল । হোয়াইট নীলের উৎপত্তি আফ্রিকার গ্রেট লেক থেকে । ভিক্টোরিয়া, এডওয়ার্ড, তাঙ্গানিকা ইত্যাদি হ্রদকে একত্রে গ্রেট লেক বলা হয় । ইথিওপিয়ার তানা লেক থেকে উৎপত্তি হয়েছে ব্লু নীল । সুদানের রাজধানী খার্তুমের নিকটে এই দুইটি ধারা মিলিত হয়েছে। নীলনদের উত্তর অংশ সম্পূর্ণটাই প্রবাহিত হয়েছে সাহারা মরুভূমির মধ্য দিয়ে । নীলনদের উপতক্যায় অধিকাংশ মানব বসতি ও শহর গড়ে উঠেছে । ভূমধ্যসাগর হচ্ছে নীলনদের শেষ গন্তব্য ।
প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ দীর্ঘতম নদী হিসেবে পরিচিত । ৮০০০-১০০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দে পশ্চিম চাদের উচ্চভূমিতে নীলের আরও একটি উপতক্যা ছিল, যেটাকে বলা হত ইয়েলো নীল । এটি মূলত পরিচিত ছিল ওয়াদি হওয়ার (Wadi Howar) নামে এবং চাদের উত্তর সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গ্রেট ব্যান্ড এর দক্ষিন পয়েন্টে মূল নীলনদের সাথে মিলিত হয়েছে । মাইওসেন যুগে তাঙ্গানিকা লেকের প্রবাহটি ছিল উত্তর দিকে অ্যালবার্ড নীল পর্যন্ত, যেটি ১৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল । ভিরুঙ্গা আগ্নেয়গিরির কারনে নদীর এই অংশটি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ।
বর্তমানে ইথিওপিয়ার উচ্চভুমি থেকে নীলনদের পাঁচটি ধারা প্রবাহমান । নীলনদের কিছু অংশ ২৫ মিলিয়ন বছর ধরে অস্থিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হয় । উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত নীলনদের মূল উৎস সম্পর্কে মানুষের কোন ধারণা ছিলনা । ১৮৫৮ সালে ইউরোপের অধিবাসী জন স্পিক প্রথম নীলনদের উৎস হিসেবে ভিক্টোরিয়া লেক চিহ্নিত করেন । রিচার্ড বারটন এর সাথে তিনি যখন সেন্ট্রাল আফ্রিকা অভিযানে বেরিয়েছিলেন, তখন তিনি নীলনদের দক্ষিণ তীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি নীলনদের উৎস খুঁজে পেয়েছেন । পরবর্তীতে ভিক্টোরীয়া শাসনের সময়ে এই হ্রদের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরীয়া লেক ।
আফ্রিকার ১১টি দেশ নীলনদের পানি সম্পদের অংশীদার । দেশগুলো হলো মিসর, সুদান, দক্ষিণ সুদান, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি প্রভৃতি । দক্ষিণ সুদান ও মিসরের পানির প্রাথমিক উৎস ছিল নীলনদ । নীলনদ নিয়ে অনেক কিংবদন্তি চালু আছে । নীলনদের তীরে বেহবিতে ছিল দেবী আইসিসের মন্দির । ফারাওদের রাজত্বে নীলনদের পানি বৃদ্ধির জন্য সুন্দরী নারীদের নীলনদে জীবন্ত বলি দেয়া হত ।
নীলনদ দিয়ে প্রবাহিত পানির আয়তন ৩৩,৪৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার । প্রশস্থতার দিক দিয়ে আমাজন নীল নদের চেয়ে অনেক বড় হলেও দৈর্ঘ্যে ২৫০ কিলোমিটার ছোট । নীলনদের রয়েছে বড় দুটি শাখা । একটিকে বলা হয় হোয়াইট নীল এবং অপরটিকে বলা হয় ব্লু নীল । হোয়াইট নীলের উৎপত্তি আফ্রিকার গ্রেট লেক থেকে । ভিক্টোরিয়া, এডওয়ার্ড, তাঙ্গানিকা ইত্যাদি হ্রদকে একত্রে গ্রেট লেক বলা হয় । ইথিওপিয়ার তানা লেক থেকে উৎপত্তি হয়েছে ব্লু নীল । সুদানের রাজধানী খার্তুমের নিকটে এই দুইটি ধারা মিলিত হয়েছে। নীলনদের উত্তর অংশ সম্পূর্ণটাই প্রবাহিত হয়েছে সাহারা মরুভূমির মধ্য দিয়ে । নীলনদের উপতক্যায় অধিকাংশ মানব বসতি ও শহর গড়ে উঠেছে । ভূমধ্যসাগর হচ্ছে নীলনদের শেষ গন্তব্য ।
প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ দীর্ঘতম নদী হিসেবে পরিচিত । ৮০০০-১০০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দে পশ্চিম চাদের উচ্চভূমিতে নীলের আরও একটি উপতক্যা ছিল, যেটাকে বলা হত ইয়েলো নীল । এটি মূলত পরিচিত ছিল ওয়াদি হওয়ার (Wadi Howar) নামে এবং চাদের উত্তর সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গ্রেট ব্যান্ড এর দক্ষিন পয়েন্টে মূল নীলনদের সাথে মিলিত হয়েছে । মাইওসেন যুগে তাঙ্গানিকা লেকের প্রবাহটি ছিল উত্তর দিকে অ্যালবার্ড নীল পর্যন্ত, যেটি ১৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল । ভিরুঙ্গা আগ্নেয়গিরির কারনে নদীর এই অংশটি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ।
বর্তমানে ইথিওপিয়ার উচ্চভুমি থেকে নীলনদের পাঁচটি ধারা প্রবাহমান । নীলনদের কিছু অংশ ২৫ মিলিয়ন বছর ধরে অস্থিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হয় । উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত নীলনদের মূল উৎস সম্পর্কে মানুষের কোন ধারণা ছিলনা । ১৮৫৮ সালে ইউরোপের অধিবাসী জন স্পিক প্রথম নীলনদের উৎস হিসেবে ভিক্টোরিয়া লেক চিহ্নিত করেন । রিচার্ড বারটন এর সাথে তিনি যখন সেন্ট্রাল আফ্রিকা অভিযানে বেরিয়েছিলেন, তখন তিনি নীলনদের দক্ষিণ তীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি নীলনদের উৎস খুঁজে পেয়েছেন । পরবর্তীতে ভিক্টোরীয়া শাসনের সময়ে এই হ্রদের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরীয়া লেক ।
আফ্রিকার ১১টি দেশ নীলনদের পানি সম্পদের অংশীদার । দেশগুলো হলো মিসর, সুদান, দক্ষিণ সুদান, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি প্রভৃতি । দক্ষিণ সুদান ও মিসরের পানির প্রাথমিক উৎস ছিল নীলনদ । নীলনদ নিয়ে অনেক কিংবদন্তি চালু আছে । নীলনদের তীরে বেহবিতে ছিল দেবী আইসিসের মন্দির । ফারাওদের রাজত্বে নীলনদের পানি বৃদ্ধির জন্য সুন্দরী নারীদের নীলনদে জীবন্ত বলি দেয়া হত ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাসুম মুনাওয়ার ০৯/০৯/২০১৪ভাল লেখা
-
সুশান্ত মান্না ০৩/০৯/২০১৪ভালো লাগলো, এতোটা জানা ছিলোনা আমার।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ২০/০৮/২০১৪চমৎকার ভাবনায় অসাধারন লেখনী।
-
স্বপন রোজারিও(১) ১৯/০৮/২০১৪দারুণ