নাটক-প্রমের প্রস্থান (দৃশ্য-৯)
চরিত্রঃ ছোঁয়া, সোহান, জেমি (সোহানের স্ত্রী)
হুমায়ন (সোহানের
শশুর), ইরানী (শাশুরী)
স্থানঃ বনশ্রী (রামপুরা) সোহানের বাসা
সময়: সন্ধ্যা 7 টা
কাহিনীঃ
{সোহানরা এয়ারপোর্ট থেকে আসলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বুয়া ছোঁয়াকে ফোন দিলে ছোঁয়া তড়িগড়ি করে বাসায় ঢুকবে।}
বুয়াঃ তুমি আইছো।বসো!আমি সাহেব কে ডাকছি
ইরানীঃ (ভিতর থেকে ইরানী আসবে) খালা কে আসছে।কার
সাথে কথা বল।
বুয়াঃ আপা আপনেগো মেহমান
ইরানীঃ এই মেয়ে কে তুমি
ছোঁয়াঃ আসছালামু অলাইকুম! আন্টি আমি ছোঁয়া
ইরানীঃ কোন ছোঁয়া তুমি।তোমাকেতো চিনতে পারলামনা
ছোঁয়াঃ আপনি আমাকে চিনবেন না।আমি সোনামিয়া ভাইর
কাছে আসছিলামে
ইরানীঃ সোনামিয়া কে।এখানে কোন সোনামিয়া থাকেনা।তুমি
যাও বাপু
ছোঁয়াঃ সোহান নামে কেউ থাকেতো
ইরানীঃ সোহানকে তুমি চিনো কিভাবে
ছোঁয়াঃ তারে ডাকেন ।তার সামনেই বলছি
জেমিঃ (হই চৈ শুনে জেমি ভিতর থেকে বেড়িয়ে) আম্মু কি
হয়েছে।উনি কে
ইরানীঃ এই মেয়ে কি বলে শোনছো ।ও সোহানকে নাকি চিনে
জেমিঃ এই মেয়ে তুমি সোহানকে চিনো মানে
ছোঁয়াঃ কেন আপু সোহানের পরিচিত কেউ থাকতে পারেনা।
আপনি তারে একটু ডেকে
দেন।আমি তার সাথে কথা বলে চলে যাব
জেমিঃ এই সোহান !সোহান(ছোঁয়ার কথা শুনে জেমি চিৎকার
করে)
{জেমির ডাক শুনে সোহান ও হুমায়ন সাহেব বেড়িয়ে আসবে}
সোহানঃ কি হয়েছে।এত চিল্লাচিল্লী কিসের
জেমিঃ দ্যাখতো মেয়েটি কি বলছে আবোল তাবোল
{সোহান মুখ ঘুরিয়ে ছোঁয়কে দেখে প্রথমে চমকিয়ে যাবে।পরে বলবে}
সোহানঃ হ্যাঁ চিনিতো
জেমিঃ তুমি চিনো
হ্যাঁ।আমাদের ভার্সিটির পিয়ন সোলেমান চাচার মেয়ে
ছোঁয়াঃ ছি! সোনামিয়া ছি!
জেমিঃ এই মেয়ে শর্টআপ।তুমি আমার হাসব্যান্ডের সাথে
ঠিকমত কথা বল
ছোঁয়াঃ সোনামিয়া উনি কি বলছে তুমি উনার হাসব্যান্ড।
{সোহান চুপ করে থাকবে}
কথা বলছোনা কেন উত্তর দাও
হুমায়নঃ এই মেয়ে আমি বলছি কি তোমার কোথাও একটু ভুল আছে।
ছোঁয়াঃ আঙ্কেল আমি কোন ভুল করিনি
হুমায়নঃ সোহান আসলে ঘটনাটা কি বলবে
ইরানীঃ কিসের ঘটনা ।ও কি জানবে ।এই মেয়ে বেড়িয়ে
যাও বেড়িয়ে যাও বলছি।
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ আন্টি সোনামিয়া বললে আমি বেড়িয়ে যাব, ওকে
বলতে দিন
সোহানঃ এ্ই তুমি কারে কি বলছো্।কে তোমার সোনামিয়া,
আমি সোহান ।যাও বেড়িয়ে
যাও ।যতসব।
জেমিঃ এখনও দাড়িঁয়ে আছো। যাও! এটা ভদ্রলোকের বাড়ি।
এখানে কোন সিনগ্রেট
করনা।পুলিশ দিয়ে দড়িয়ে দিবো কিন্তু।
ছোঁয়াঃ আপনি এটা ঠিকই বলেছেন আপু কিন্তু আমি
জানতামনা যে এরকম ভদ্রলোকের
বাড়িতে এধরণের অভদ্র লোকেরা বাস করে। (কেঁদেকেঁদে
বলবে) আর সোনামিয়া
আপনাকে বলছি আপনি সুখে থাকেন ভাল থাকেন।আপনাকে
অভিশাপ দিবোনা। যারা
ভালবাসাকে অস্বীকার করে তাকে জড়িয়ে নিজের
ভালবাসাকে অপবিত্র করবনা।আমি
আমার ভালবাসাকে নোংরাজলে ফেলে অসন্মান করতে
চাইনা।তোমাকে জড়িয়ে নিজেকে যে
টুকু কলংকিত করলাম জানি এর প্রায়শ্চিত্ত কোনদিন করতে
পারবোনা।তবুও একজন
প্রতারকের কাছ থেকে নিজের ভালবাসাটুকু ফিরিয়ে নিলাম।
{কাঁদতে কাঁদতে ছোঁয়া সোহানের বাসা থেকে বের হয়ে যাবে}
(চলবে)
হুমায়ন (সোহানের
শশুর), ইরানী (শাশুরী)
স্থানঃ বনশ্রী (রামপুরা) সোহানের বাসা
সময়: সন্ধ্যা 7 টা
কাহিনীঃ
{সোহানরা এয়ারপোর্ট থেকে আসলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বুয়া ছোঁয়াকে ফোন দিলে ছোঁয়া তড়িগড়ি করে বাসায় ঢুকবে।}
বুয়াঃ তুমি আইছো।বসো!আমি সাহেব কে ডাকছি
ইরানীঃ (ভিতর থেকে ইরানী আসবে) খালা কে আসছে।কার
সাথে কথা বল।
বুয়াঃ আপা আপনেগো মেহমান
ইরানীঃ এই মেয়ে কে তুমি
ছোঁয়াঃ আসছালামু অলাইকুম! আন্টি আমি ছোঁয়া
ইরানীঃ কোন ছোঁয়া তুমি।তোমাকেতো চিনতে পারলামনা
ছোঁয়াঃ আপনি আমাকে চিনবেন না।আমি সোনামিয়া ভাইর
কাছে আসছিলামে
ইরানীঃ সোনামিয়া কে।এখানে কোন সোনামিয়া থাকেনা।তুমি
যাও বাপু
ছোঁয়াঃ সোহান নামে কেউ থাকেতো
ইরানীঃ সোহানকে তুমি চিনো কিভাবে
ছোঁয়াঃ তারে ডাকেন ।তার সামনেই বলছি
জেমিঃ (হই চৈ শুনে জেমি ভিতর থেকে বেড়িয়ে) আম্মু কি
হয়েছে।উনি কে
ইরানীঃ এই মেয়ে কি বলে শোনছো ।ও সোহানকে নাকি চিনে
জেমিঃ এই মেয়ে তুমি সোহানকে চিনো মানে
ছোঁয়াঃ কেন আপু সোহানের পরিচিত কেউ থাকতে পারেনা।
আপনি তারে একটু ডেকে
দেন।আমি তার সাথে কথা বলে চলে যাব
জেমিঃ এই সোহান !সোহান(ছোঁয়ার কথা শুনে জেমি চিৎকার
করে)
{জেমির ডাক শুনে সোহান ও হুমায়ন সাহেব বেড়িয়ে আসবে}
সোহানঃ কি হয়েছে।এত চিল্লাচিল্লী কিসের
জেমিঃ দ্যাখতো মেয়েটি কি বলছে আবোল তাবোল
{সোহান মুখ ঘুরিয়ে ছোঁয়কে দেখে প্রথমে চমকিয়ে যাবে।পরে বলবে}
সোহানঃ হ্যাঁ চিনিতো
জেমিঃ তুমি চিনো
হ্যাঁ।আমাদের ভার্সিটির পিয়ন সোলেমান চাচার মেয়ে
ছোঁয়াঃ ছি! সোনামিয়া ছি!
জেমিঃ এই মেয়ে শর্টআপ।তুমি আমার হাসব্যান্ডের সাথে
ঠিকমত কথা বল
ছোঁয়াঃ সোনামিয়া উনি কি বলছে তুমি উনার হাসব্যান্ড।
{সোহান চুপ করে থাকবে}
কথা বলছোনা কেন উত্তর দাও
হুমায়নঃ এই মেয়ে আমি বলছি কি তোমার কোথাও একটু ভুল আছে।
ছোঁয়াঃ আঙ্কেল আমি কোন ভুল করিনি
হুমায়নঃ সোহান আসলে ঘটনাটা কি বলবে
ইরানীঃ কিসের ঘটনা ।ও কি জানবে ।এই মেয়ে বেড়িয়ে
যাও বেড়িয়ে যাও বলছি।
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ আন্টি সোনামিয়া বললে আমি বেড়িয়ে যাব, ওকে
বলতে দিন
সোহানঃ এ্ই তুমি কারে কি বলছো্।কে তোমার সোনামিয়া,
আমি সোহান ।যাও বেড়িয়ে
যাও ।যতসব।
জেমিঃ এখনও দাড়িঁয়ে আছো। যাও! এটা ভদ্রলোকের বাড়ি।
এখানে কোন সিনগ্রেট
করনা।পুলিশ দিয়ে দড়িয়ে দিবো কিন্তু।
ছোঁয়াঃ আপনি এটা ঠিকই বলেছেন আপু কিন্তু আমি
জানতামনা যে এরকম ভদ্রলোকের
বাড়িতে এধরণের অভদ্র লোকেরা বাস করে। (কেঁদেকেঁদে
বলবে) আর সোনামিয়া
আপনাকে বলছি আপনি সুখে থাকেন ভাল থাকেন।আপনাকে
অভিশাপ দিবোনা। যারা
ভালবাসাকে অস্বীকার করে তাকে জড়িয়ে নিজের
ভালবাসাকে অপবিত্র করবনা।আমি
আমার ভালবাসাকে নোংরাজলে ফেলে অসন্মান করতে
চাইনা।তোমাকে জড়িয়ে নিজেকে যে
টুকু কলংকিত করলাম জানি এর প্রায়শ্চিত্ত কোনদিন করতে
পারবোনা।তবুও একজন
প্রতারকের কাছ থেকে নিজের ভালবাসাটুকু ফিরিয়ে নিলাম।
{কাঁদতে কাঁদতে ছোঁয়া সোহানের বাসা থেকে বের হয়ে যাবে}
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০১/২০১৯নাটকের মতো।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২২/০১/২০১৯বেশ