নাটক-প্রেমের প্রস্থান (দৃশ্য-১)
দৃশ্য-১
চরিত্রঃ সোনামিয়া (নায়ক),ছোঁয়া(নায়িকা),মালা
(নায়িকার বান্ধবী)
স্থানঃ গ্রামের বাড়ি।
সময়ঃ সকাল ১০ টা
কাহিনীঃ
{ছোঁয়া ও মালা গল্প করতে করতে গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে স্কুলের দিকে যাবে।পথি মধ্যে একটি বট গাছের নিছে সোনামিয়া হাতে একটি লালগোলাপ নিয়ে বসে থাকবে।মালা সোনা মিয়ারপূর্ব পরিচিত ।ওরা দু’জন সামনে আসতেই সোনামিয়ার ডায়লোক}
সোনামিয়াঃ এই মালা শোন!
মালাঃ ভাই আমাকে বলছেন?
সোনামিয়াঃ হ্যাঁ তোমাকে
{ছোঁয়া দাঁড়িয়ে থাকবে, মালা সোনা মিয়ার দিকে এগিয়ে আসবে}
মালাঃ বলেন ভাইয়া
সোনামিয়াঃ মালা আমার একটা কাজ করে দিবা
মালাঃ বলেন কি কাজ
সোনামিয়াঃ তোমার বান্ধবী মানে……..
মালাঃ কি করছে আমার বান্ধবী?
সোনামিয়াঃ না কিছু করেনি,বলছিলাম যে ছোঁয়াকে এই
গোলাপটি দিতে…
মালাঃ (মালা হেসে দিয়ে) এবার বুঝেছি দেন আমাকে
{মালা সোনামিয়ার হাত থেকে গোলাপটি টান মেরে নিয়ে যাবে এবং মালা গোলাপ টি ছোঁয়ার হাতের উপর দিয়ে কি যেন ফিসফিস করে বলবে।পরে ছোঁয়া গোলাপটি এক হাতে নিবে অন্য হাতে মালাকে আলগে সামনে আগাতে থাকবে।আর সোনামিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকবে}
মালাঃ কিরে বান্ধবী মেঘ না চাইতে দেখি বৃষ্টি।
ছোঁয়াঃ নারে দ্যাখ আমি কিন্তু এসবের কিছু জানিনা।
মালাঃ তাতে কি সোনামিয়া ভাইর মত কয়টা ছেলে হয়
বল? তাছাড়া তার মত এমন মেধাবী ছাত্র কয় জন আছে।
{হঠাৎ ছোঁয়ার হাত থেকে গোলাপটি নিচে পড়ে যাবে মালা গোলাপটি মাটি থেকে তুলতে দেখবে গোলাপের পাঁপড়ির মধ্যে একটি কাগজ।কাগজটি তুলতেই ছোঁয়ার নজরে আসবে।এরপর দুজন গল্প করতে করতে স্কুলে যাবে।টিফিন পিরিয়ডে দু’জনের মধ্যে কথোপকথন।}
ছোঁয়াঃ (মালাকে) চল টিফিন কিনতে হবে
মালাঃ কেন তুই আজ টিফিন আনিসনি
ছোঁয়াঃ নারে
মালাঃ আমি এনেছি।এতেই চলবে দু’জনের।আগে একটি
কাজ করি এখন সবাই
টিফিন নিয়ে ব্যস্থ আছে।আমারা চল পিছনে গিয়ে চিঠিটা
পড়ি।
{ছোঁয়া ও মালা স্কুলের পিছনে বাগানে গিয়ে চিঠি খানা খুলবে অতঃপর মালা চিঠিখানা পড়তে থাকবে }
প্রিয় ছোঁয়া,
গোধুলি শেষে নতুন আবেশে হৃদয় মালঞ্চে এক ঝলক শ্যন্যতা হাবু-ডুবু খাচ্ছে।এ শূন্যতাকে পূর্ণতা পাইয়ে দিতে যাদুর বাটির মত বারবার খাঁখাঁ মনটা তোমার পানে ছুটছে।তাই তোমাকে লিখছি।
ওগো যাদুর ছোঁয়া,
মনের অজান্তেই বুঝি এ মন তোমাকে আপন করে নিয়েছে।তাইতো তোমার পানে বারবার পথ চেয়ে থাকি।যা হয়ত তুমি জাননা জানেনা তোমার মন।বুকের কোনে লুকিয়ে রাখা না বলা কথাটুকুর জন্য বড় কষ্ট পাচ্ছি।
ওগো প্রিয়তমা,
এক বুক আশা আর ভালবাসা নিয়ে আজ নিজেকে তোমার কাছে উপস্থাপন করেছি।জানিনা আমি তোমার প্রেমের যোগ্য কিনা ।তবুও আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে আশাহত করবেনা।কারণ তুমি যে ধরণীর মূল।তুমি যে অন্যনা এক ফুল।
ওগো রাজ লক্ষ্মী,
পূর্ণিমার চাঁদের মত তোমাকে ছুঁই ছুঁই করে ছুঁতে পারবো কিনা জানিনা।তবে আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে রিক্ত হস্তে ফিরিয়ে দিবেনা। কারণ আমার নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে যে তোমার বিশ্বাস লুকিয়ে আছে।
ওগো সু-নয়না,
ভুল করে হলেও তুমি তোমার আঁচল তলে ঠাঁই দিতে ভুলনা।অন্যাথায় আমার স্বর্গীয় ভালবাসা নরকের নর্দমায় নিমজ্জিত হবে।
পরিশেষে বলব-তোমার প্রেম আলিঙ্গনে আমার জীবনটা হোক ধন্য ।এই প্রত্যয়ে ইতি টানলাম।
ইতি-তোমার প্রেমের পাগল প্রেমিক।
(চলবে)
চরিত্রঃ সোনামিয়া (নায়ক),ছোঁয়া(নায়িকা),মালা
(নায়িকার বান্ধবী)
স্থানঃ গ্রামের বাড়ি।
সময়ঃ সকাল ১০ টা
কাহিনীঃ
{ছোঁয়া ও মালা গল্প করতে করতে গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে স্কুলের দিকে যাবে।পথি মধ্যে একটি বট গাছের নিছে সোনামিয়া হাতে একটি লালগোলাপ নিয়ে বসে থাকবে।মালা সোনা মিয়ারপূর্ব পরিচিত ।ওরা দু’জন সামনে আসতেই সোনামিয়ার ডায়লোক}
সোনামিয়াঃ এই মালা শোন!
মালাঃ ভাই আমাকে বলছেন?
সোনামিয়াঃ হ্যাঁ তোমাকে
{ছোঁয়া দাঁড়িয়ে থাকবে, মালা সোনা মিয়ার দিকে এগিয়ে আসবে}
মালাঃ বলেন ভাইয়া
সোনামিয়াঃ মালা আমার একটা কাজ করে দিবা
মালাঃ বলেন কি কাজ
সোনামিয়াঃ তোমার বান্ধবী মানে……..
মালাঃ কি করছে আমার বান্ধবী?
সোনামিয়াঃ না কিছু করেনি,বলছিলাম যে ছোঁয়াকে এই
গোলাপটি দিতে…
মালাঃ (মালা হেসে দিয়ে) এবার বুঝেছি দেন আমাকে
{মালা সোনামিয়ার হাত থেকে গোলাপটি টান মেরে নিয়ে যাবে এবং মালা গোলাপ টি ছোঁয়ার হাতের উপর দিয়ে কি যেন ফিসফিস করে বলবে।পরে ছোঁয়া গোলাপটি এক হাতে নিবে অন্য হাতে মালাকে আলগে সামনে আগাতে থাকবে।আর সোনামিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকবে}
মালাঃ কিরে বান্ধবী মেঘ না চাইতে দেখি বৃষ্টি।
ছোঁয়াঃ নারে দ্যাখ আমি কিন্তু এসবের কিছু জানিনা।
মালাঃ তাতে কি সোনামিয়া ভাইর মত কয়টা ছেলে হয়
বল? তাছাড়া তার মত এমন মেধাবী ছাত্র কয় জন আছে।
{হঠাৎ ছোঁয়ার হাত থেকে গোলাপটি নিচে পড়ে যাবে মালা গোলাপটি মাটি থেকে তুলতে দেখবে গোলাপের পাঁপড়ির মধ্যে একটি কাগজ।কাগজটি তুলতেই ছোঁয়ার নজরে আসবে।এরপর দুজন গল্প করতে করতে স্কুলে যাবে।টিফিন পিরিয়ডে দু’জনের মধ্যে কথোপকথন।}
ছোঁয়াঃ (মালাকে) চল টিফিন কিনতে হবে
মালাঃ কেন তুই আজ টিফিন আনিসনি
ছোঁয়াঃ নারে
মালাঃ আমি এনেছি।এতেই চলবে দু’জনের।আগে একটি
কাজ করি এখন সবাই
টিফিন নিয়ে ব্যস্থ আছে।আমারা চল পিছনে গিয়ে চিঠিটা
পড়ি।
{ছোঁয়া ও মালা স্কুলের পিছনে বাগানে গিয়ে চিঠি খানা খুলবে অতঃপর মালা চিঠিখানা পড়তে থাকবে }
প্রিয় ছোঁয়া,
গোধুলি শেষে নতুন আবেশে হৃদয় মালঞ্চে এক ঝলক শ্যন্যতা হাবু-ডুবু খাচ্ছে।এ শূন্যতাকে পূর্ণতা পাইয়ে দিতে যাদুর বাটির মত বারবার খাঁখাঁ মনটা তোমার পানে ছুটছে।তাই তোমাকে লিখছি।
ওগো যাদুর ছোঁয়া,
মনের অজান্তেই বুঝি এ মন তোমাকে আপন করে নিয়েছে।তাইতো তোমার পানে বারবার পথ চেয়ে থাকি।যা হয়ত তুমি জাননা জানেনা তোমার মন।বুকের কোনে লুকিয়ে রাখা না বলা কথাটুকুর জন্য বড় কষ্ট পাচ্ছি।
ওগো প্রিয়তমা,
এক বুক আশা আর ভালবাসা নিয়ে আজ নিজেকে তোমার কাছে উপস্থাপন করেছি।জানিনা আমি তোমার প্রেমের যোগ্য কিনা ।তবুও আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে আশাহত করবেনা।কারণ তুমি যে ধরণীর মূল।তুমি যে অন্যনা এক ফুল।
ওগো রাজ লক্ষ্মী,
পূর্ণিমার চাঁদের মত তোমাকে ছুঁই ছুঁই করে ছুঁতে পারবো কিনা জানিনা।তবে আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে রিক্ত হস্তে ফিরিয়ে দিবেনা। কারণ আমার নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে যে তোমার বিশ্বাস লুকিয়ে আছে।
ওগো সু-নয়না,
ভুল করে হলেও তুমি তোমার আঁচল তলে ঠাঁই দিতে ভুলনা।অন্যাথায় আমার স্বর্গীয় ভালবাসা নরকের নর্দমায় নিমজ্জিত হবে।
পরিশেষে বলব-তোমার প্রেম আলিঙ্গনে আমার জীবনটা হোক ধন্য ।এই প্রত্যয়ে ইতি টানলাম।
ইতি-তোমার প্রেমের পাগল প্রেমিক।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১১/১২/২০১৮ডায়ালগ চলুক....
-
আব্দুল হক ১১/১২/২০১৮সুন্দর