কথা কম বলা ও কম হাসা (মুমিনের গুণাবলী -০১)
একজন সত্যিকারের মুসলমানের পরিচয় বা নির্দশন হলো- সে কথা কম বলবে ও কম হাসবে, বেশি আ'মাল করবে ও বেশি কাঁদবে। বেশি কথা বলা এবং অপ্রয়োজনীয় /অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করা, নিরর্থক হাসি নিজের ব্যক্তিত্বকে খাটো করে দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
আল্লাহর কসম! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তবে অবশ্যই তোমরা কম হাসতে এবং বেশি বেশি কাঁদতে। বিছানায় কোনো নারীর আস্বাদ নিতে না। তোমরা অবশ্যই (পেরেশান হয়ে) মাঠে- ময়দানে চলে যেতে আর আল্লাহর কাছে কাকুত-মিনতী করতে থাকতে। সাহাবী আবু যর (রা) বলেন, আমার মন চায় আমি যদি গাছ হতাম যা কেটে ফেলা হয়। (তিরমিযী, বুখারী- কিতাবুর রিকাক)
কথা কম বলার অনেক উপকারিতার মধ্যে একটি হলো, এতে সে পাপ মুক্ত থাকতে পারে। কেননা বেশির ভাগ পাপই হয় বান্দাহর মুখ ও লজ্জাস্থান থেকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
মুসলিম সেই ব্যক্তি যার হাত ও যবান থেকে অন্য মুসলমানরা নিরাপদ, আর মুহাজির হলো সেই ব্যক্তি- যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকে। (বুখারী)
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিগ্যেস করা হলো, কোন বস্তু লোকদের সর্বাধিক পরিমাণে জান্নাতে প্রবেশ করায়? তিনি বললেন:
আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র! প্রশ্ন করা হলো- কোন জিনিস বেশি পরিমাণে জাহান্নামে প্রবেশ করাবে? তিনি বললেন:
মুখ ও লজ্জাস্থান! (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুঁপ থাকে। (বুখারী: ৬২০৬)
তিনি আরো বলেন: ভালো কাজের আদেশ, মন্দকাজ থেকে নিষেধ এবং যিকির ছাড়া সব কথাই আদম সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক, লাভজনক নয়। (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বান্দাহ এমন কেনো কথা বলে ফেলে, যার ফলে সে পিছলিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, অথচ সে তা (জাহান্নাম) থেকে পূর্ব-প্রান্তরের দুরত্বে ছিল। (বুখারী-৬০২৭)
উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিগ্যেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! নাযাত কীসে নিহিত? তিনি বললেন:
তোমার যবানকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, ঘরকে প্রশস্ত রাখবে (ঘরে অবস্থান করবে) আর তোমার কৃত গুনাহের উপর কাঁদতে থাকবে। (তিরমিযী)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার তৌফিক দিন! আমিন!!!!
আল্লাহর কসম! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তবে অবশ্যই তোমরা কম হাসতে এবং বেশি বেশি কাঁদতে। বিছানায় কোনো নারীর আস্বাদ নিতে না। তোমরা অবশ্যই (পেরেশান হয়ে) মাঠে- ময়দানে চলে যেতে আর আল্লাহর কাছে কাকুত-মিনতী করতে থাকতে। সাহাবী আবু যর (রা) বলেন, আমার মন চায় আমি যদি গাছ হতাম যা কেটে ফেলা হয়। (তিরমিযী, বুখারী- কিতাবুর রিকাক)
কথা কম বলার অনেক উপকারিতার মধ্যে একটি হলো, এতে সে পাপ মুক্ত থাকতে পারে। কেননা বেশির ভাগ পাপই হয় বান্দাহর মুখ ও লজ্জাস্থান থেকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
মুসলিম সেই ব্যক্তি যার হাত ও যবান থেকে অন্য মুসলমানরা নিরাপদ, আর মুহাজির হলো সেই ব্যক্তি- যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকে। (বুখারী)
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিগ্যেস করা হলো, কোন বস্তু লোকদের সর্বাধিক পরিমাণে জান্নাতে প্রবেশ করায়? তিনি বললেন:
আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র! প্রশ্ন করা হলো- কোন জিনিস বেশি পরিমাণে জাহান্নামে প্রবেশ করাবে? তিনি বললেন:
মুখ ও লজ্জাস্থান! (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুঁপ থাকে। (বুখারী: ৬২০৬)
তিনি আরো বলেন: ভালো কাজের আদেশ, মন্দকাজ থেকে নিষেধ এবং যিকির ছাড়া সব কথাই আদম সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক, লাভজনক নয়। (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বান্দাহ এমন কেনো কথা বলে ফেলে, যার ফলে সে পিছলিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, অথচ সে তা (জাহান্নাম) থেকে পূর্ব-প্রান্তরের দুরত্বে ছিল। (বুখারী-৬০২৭)
উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিগ্যেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! নাযাত কীসে নিহিত? তিনি বললেন:
তোমার যবানকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, ঘরকে প্রশস্ত রাখবে (ঘরে অবস্থান করবে) আর তোমার কৃত গুনাহের উপর কাঁদতে থাকবে। (তিরমিযী)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার তৌফিক দিন! আমিন!!!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এমএসবি নাজনীন লাকী ২৯/১২/২০১৪এগিয়ে যান!!
-
আবিদ আল আহসান ০৯/১২/২০১৪সুন্দর বিষয়ে লিখেছেন
-
রইসউদ্দিন গায়েন ০৭/১২/২০১৪একজন ভাল লেখক হবার ক্ষেত্রে কি ধর্মীয় উপদেশ অনুযায়ী কলমের মুখ খুলতে হবে? লেখকের এ বিষয়ে ব্যক্তি-অভিমত কী? স্বাধীন সত্ত্বার প্রকাশ-ই তো সাহিত্যিকের কাজ;তা' সে কলম দিয়ে হোক আর মুখ দিয়েই হোক। আর একটা কথা বলতে চাইবো, সাহিত্য-সৃষ্টির কাজে মুসলিম বা হিন্দু মানসিকতা পরিহর্তব্য।
-
সুদীপ্তবিশ্বাস ০৭/১২/২০১৪জেনে ভাল লাগল
-
শাহরিয়ার শুভ ২৮/১১/২০১৪Hmmm.... Nice post! Go ahead....
-
আমিন চৌধুরী ২৭/১১/২০১৪ভাল লাগল...
-
অ ২৬/১১/২০১৪সুন্দর লেখা ।