আলেম ও শিক্ষার্থীদের মর্যাদা কুরআন ও হাদীসের আলোকে
[email protected]
আলেমদের মর্যাদায় আল্লাহ তাআলা বলেন: বলুন! যারা জানে এবং যারা না জানে, তারা কি কখনো সমান হতে পারে?'- (সূরা আয যুমার: ৯)
আলেম ও তলেবে ইলমদের (শিক্ষার্থী) অনেক মর্যাদা পবিত্র আল কুরআন ও হাদীসে রয়েছে। নিচে কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইলমের ফযিলত বর্ণনা করা হলো।
সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি: আলেমরাই সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) ও পাপকাজ থেকে পরহেজ করে চলে। সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এটাই স্বাভাবিক। ( দ্রষ্টব্য: সূরা ফাতির: ২৮)
বেশি উপদেশ গ্রহণকারী: আলেমরাই সবচেয়ে বেশি উপদেশ গ্রহণ করে ও সতর্ক হয়। (দ্রষ্টব্য: সূরা আয যুমার: ৯)
আল্লাহর কাছে মর্যাদাপ্রাপ্ত: আলেম ও তলেবে ইলমগণ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাপ্রাপ্ত। (পারা:২৮, সূরা ৫৮ আল মুযাদালা, আয়াত: ১১)
কল্যাণপ্রাপ্ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের তত্ত্বজ্ঞান (ফিকহ)দান করেন। (দ্রষ্টব্য: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত: ১৮৯)
নেতৃত্বে তারা অগ্রগণ্য: আলেমরাই ইমামতি ও জাতির নেতৃত্বে অগ্রগামী বলে বিবেচিত আল্লাহর কাছে। (দ্রষ্টব্য: মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন:৩৫)
আলেমরা ঈর্ষার পাত্র: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দুই ব্যিক্ত ছাড়া কারো প্রতি ঈর্ষূা করা যায় না। যাকে আল্লাহ প্রচুর সম্পদ দান করেছেন ও তাকে তা থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার তাওফিকও দিয়েছেন। আর যাকে আল্লাহ পাক জ্ঞান দান করেছেন, সে তা দ্বারা ফয়সালা করে (মানুষের মাঝে) ও অন্যকে শিখায়। (দ্রষ্টব্য: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত: ১৯১)
জান্নাতের পথে: আলেমরা সব সময় জান্নাতের পথে অবস্থান করে। (মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ১৩৮১)
সদাকায়ে জারিয়া: আলেমদের ইলম যা সে মানুষের মাঝে বিতরণ করে তা সদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব সমতূল্য। ( মুসলিম, রুয়াদুিস সালেহীন: ১৩৮৩)
আল্লাহর পথে: ইলম অন্বেষণকারী সব সময় আল্লাহর পথে থাকে। ( তিরমিযী)
ফেরশতারা ডানা বিছিয়ে দেন: তলেবে ইলমদের জন্য ফেরেশতারা নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।
সবাই তাদের জন্য দুআ করে: ইলম অন্বেষণকারীদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে যা কিছু আছে সবাই দুআ ও মাগফিরাত কামনা করে। হাদীসে বলা হয়েছে- সাগরের মাছ এমনকি গর্তের পিপীলিকাও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন: ১৩৮৭-১৩৮৮)
আলেমরা নবীগণের ওয়ারিস: আলেমরা এই পৃথিবীতে নবীগণের উত্তরাধীকারী। ( তিরমিযী, আবু দাউদ, আহমাদ, ইবনে মাযাহ, মিশকাত: ২০১)
অভিশপ্ত দুনিয়ায় তারা অভিশপ্ত নয়: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: এই দুনিয়া এবং এই দুনিয়ায় যা কিছু আছে সবই অভিশপ্ত। তবে তারা নয়- আল্লাহর যিকর ও তার আনুগত্য এবং আলেম ও ইলম অন্বেষণকারী। (তিরমিযী)
আলেম শুন্য অবস্থায় মূর্খরা হবে জাতির কর্ণধার: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন:আলেম শুন্য অবস্থায় মূর্খরা হবে জাতির নেতা আর জাতি হবে পথভ্রষ্ট। (বুখারী) তাই আসুন আমরা ইলম (বিদ্যা) অর্জন করি, ইলম বিতরণ করি ওবং তলেবে ইলম ও আলেমদের সম্মান করি।
আলেমদের মর্যাদায় আল্লাহ তাআলা বলেন: বলুন! যারা জানে এবং যারা না জানে, তারা কি কখনো সমান হতে পারে?'- (সূরা আয যুমার: ৯)
আলেম ও তলেবে ইলমদের (শিক্ষার্থী) অনেক মর্যাদা পবিত্র আল কুরআন ও হাদীসে রয়েছে। নিচে কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইলমের ফযিলত বর্ণনা করা হলো।
সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি: আলেমরাই সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) ও পাপকাজ থেকে পরহেজ করে চলে। সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এটাই স্বাভাবিক। ( দ্রষ্টব্য: সূরা ফাতির: ২৮)
বেশি উপদেশ গ্রহণকারী: আলেমরাই সবচেয়ে বেশি উপদেশ গ্রহণ করে ও সতর্ক হয়। (দ্রষ্টব্য: সূরা আয যুমার: ৯)
আল্লাহর কাছে মর্যাদাপ্রাপ্ত: আলেম ও তলেবে ইলমগণ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাপ্রাপ্ত। (পারা:২৮, সূরা ৫৮ আল মুযাদালা, আয়াত: ১১)
কল্যাণপ্রাপ্ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের তত্ত্বজ্ঞান (ফিকহ)দান করেন। (দ্রষ্টব্য: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত: ১৮৯)
নেতৃত্বে তারা অগ্রগণ্য: আলেমরাই ইমামতি ও জাতির নেতৃত্বে অগ্রগামী বলে বিবেচিত আল্লাহর কাছে। (দ্রষ্টব্য: মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন:৩৫)
আলেমরা ঈর্ষার পাত্র: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দুই ব্যিক্ত ছাড়া কারো প্রতি ঈর্ষূা করা যায় না। যাকে আল্লাহ প্রচুর সম্পদ দান করেছেন ও তাকে তা থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার তাওফিকও দিয়েছেন। আর যাকে আল্লাহ পাক জ্ঞান দান করেছেন, সে তা দ্বারা ফয়সালা করে (মানুষের মাঝে) ও অন্যকে শিখায়। (দ্রষ্টব্য: বুখারী, মুসলিম, মিশকাত: ১৯১)
জান্নাতের পথে: আলেমরা সব সময় জান্নাতের পথে অবস্থান করে। (মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ১৩৮১)
সদাকায়ে জারিয়া: আলেমদের ইলম যা সে মানুষের মাঝে বিতরণ করে তা সদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব সমতূল্য। ( মুসলিম, রুয়াদুিস সালেহীন: ১৩৮৩)
আল্লাহর পথে: ইলম অন্বেষণকারী সব সময় আল্লাহর পথে থাকে। ( তিরমিযী)
ফেরশতারা ডানা বিছিয়ে দেন: তলেবে ইলমদের জন্য ফেরেশতারা নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।
সবাই তাদের জন্য দুআ করে: ইলম অন্বেষণকারীদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে যা কিছু আছে সবাই দুআ ও মাগফিরাত কামনা করে। হাদীসে বলা হয়েছে- সাগরের মাছ এমনকি গর্তের পিপীলিকাও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন: ১৩৮৭-১৩৮৮)
আলেমরা নবীগণের ওয়ারিস: আলেমরা এই পৃথিবীতে নবীগণের উত্তরাধীকারী। ( তিরমিযী, আবু দাউদ, আহমাদ, ইবনে মাযাহ, মিশকাত: ২০১)
অভিশপ্ত দুনিয়ায় তারা অভিশপ্ত নয়: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: এই দুনিয়া এবং এই দুনিয়ায় যা কিছু আছে সবই অভিশপ্ত। তবে তারা নয়- আল্লাহর যিকর ও তার আনুগত্য এবং আলেম ও ইলম অন্বেষণকারী। (তিরমিযী)
আলেম শুন্য অবস্থায় মূর্খরা হবে জাতির কর্ণধার: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন:আলেম শুন্য অবস্থায় মূর্খরা হবে জাতির নেতা আর জাতি হবে পথভ্রষ্ট। (বুখারী) তাই আসুন আমরা ইলম (বিদ্যা) অর্জন করি, ইলম বিতরণ করি ওবং তলেবে ইলম ও আলেমদের সম্মান করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইমন শরীফ ০৭/০৮/২০১৪কোরআন -হাদিসের আলোকে লিখিত এই প্রবন্ধটি ভাল লাগলো।
-
কবি মোঃ ইকবাল ১৫/০৭/২০১৪খুব সুন্দর বর্ণনা।