www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

একজন মতি মিয়া (ছোট গল্প)

— কি ব্যাপার মতি মিয়া... খুউব আনন্দে আছ বলে মনে হচ্ছে?
— কি ভাবে বুঝলে আনন্দে আছি? আমার অবস্থা তো জানই। অবস্থা বেগতিক।
— তা কিছুটা জানি। পরিষ্কার হালকা সবুজ তুলতুলা বিছনায় শুয়ে শুয়ে পা নাচাচ্ছ। শীতল এয়ার কুলার ও চলছে। বেহেস্তের আরাম।
— তোমার কথা কিঞ্চত সত্য আবার সত্যও নয়। আমি আছি বেশ তবে পা নাচাচ্ছি না । মানে পারছিনা।
— সরি, আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম। তুমি তো কোমায় আছ। ডাক্তার তোমার চোখ মুখে নল ঢুকিয়ে দিয়ে সট্কে পড়েছে। চারদিকে ছোট ছোট টেলিভিশনের মত যন্ত্র, পিট পিট .. পিউ পিউ করছে।
— হ্যা, তবে একদিক দিয়ে ভালই আছি, খাওয়া দাওয়া চিন্তা নাই, সবচেয়ে বড় কথা ভ্যাজাল নাই। স্যালাইন এর উপর আছি। আচ্ছা স্যালাইনেও কি ফরমালিন মেশানো যায়?
— তা অবশ্য ভাবিনি। তোমার ভাগ্যটা ভালো না খারাপ আমি আসলে সেইটা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তিতে আছি। গত হরতালের সময় বউটা কে হারালে। ব্যাচারা আগুনে পুরে ছাই হল। তুমি ম্যানহলে পড়ে পা ভাঙ্গলে। সংসারে আর কেও নেই। বাকী জীবন কি সবুজ চাদরে কাটাবে? শীতল নিস্তব্দ আরাম নিদ্রায়?
— কি বল আরাম নিদ্রায়? এখানেও অনেক যন্ত্রনা আছে।
— এখানে আবার কি যন্ত্রনা? শুনেছি তোমার নাকি চিকিৎসা খরচ দিচ্ছে কোন বিদেশী কম্পানী? তোমাকে নিয়েতো কোন একটা পত্রিকায় নিয়মিতি লেখা লেখি হচ্ছে। খোঁজ খবর দেয়। টেলিভিশনেও দেখিয়েছে। আসলে তোমারে সুখে থাকতে ভূতে কিলায় আরকি।
— শরীর নড়াতে পাড়িনা দেখে তর্ক করছ।
— নড়াতে পাড়লে কি করতে?
— নড়াতে পাড়লে কঠিন জবাব দিতাম, একটা ঠাস্ করে চর ও দিওয় ফেলতে পারতাম। যাইহোক বাদ দেও, বেশী কথা বললে কেমন মাথা চিন চিন করে।
— মাথাতো চিন চিন বিন বিন করবেই তুমি তো আর মুখে মুখে কথা বলছ না, যে চাপা ব্যাথা করবে, মাথা ব্যাথাই তো স্বাভাবিক।
— শোন আমাকে যে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে তাদের মধ্যেও গ্রুপিং আছে, ধান্ধাবাজি আছে।
— তাই নাকি? কি অসম্ভব ব্যাপার, আমি জানতামতো তুমি ভাল কিছু পরউপকারী নিস্বার্থ লোকজনের কাছে পড়েছ দেখেই এই যাত্রায় বেঁচে গেলে। তা তুমি হঠাৎ করে অসুস্থ হলে কিভাবে?
— আমি তো আগে থেকেই অসুস্থ, ফরমালিন না কি খেতে খেতে পেটে ব্যাথা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ টাইফয়েড হয়ে গেল। গরমের মধ্যে দেখবে আখের রস আর আমরা প্রচুর বেচাকিনা হয়। সব রোগ জীবানু পাশের নোংরা পানির বালতিতে থাকে। ভিজিয়ে ভিজিয়ে দেয়। সবাই আরাম করে বিষ খায়।
— ডাক্তার দেখাও নাই?
— তিন দিনের চেষ্টায় দাতব্য একটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলাম।
— তুমিতো অনেক সৌভাগ্যবান।
— তা তো বটেই। ডাক্তার সাহেবের কথা মত ঔষধ গুলো শুরুতো করেছিলাম, কিন্তু ও গুলো ছিল ভেজাল। চোখ টা হাড়িয়ে খেসারত দিলাম।
— তাও তো ভাল, মর তো আর নাই? তা তুমি কি এখন অন্ধ?
— না। বললে না আমি অনেক সৌভাগ্যবান, একনো অল্প অল্প দেখি। আমার দুনিয়া এখন ঘোলা দুনিয়া। এই দুনিয়া .... এখন...... তো... আর... সেই.... দুনিয়া.... নাই....
— বা: আবার গুন গুন করে গান গাইছ। আচ্ছা তোমার আর কেও নাই ঢাকায়? কাওকে তো আসতে দেখলাম না একদিনও।
— বাপ মা তো গ্রামে। তারা কিছু জানেনা। আমার ছোট একটা বোন ছিল থাকত একটা বস্তিতে। জামাইটা মুদির দোকান চালাইতো। কি ফুট ফুটে সুন্দর একটা মাইয়া ছিল। আমি মাঝে মাঝে যাই তাম। দৌর দিয়া কোলে আইসা ঝাপ দিত।
— আঃ তোমার কষ্টের কথা মনে করাইয়া দিলাম, “কোমায়” আছ তাও চোখ দিয়া পানি পড়তাছে।
— চিন্তা কইরা না, মাঝে মাঝেই পানি পড়ে, বললামনা, আমার চোখ শেষ। ....আমার চক্ষু নাই... আমার চক্ষু নাই . . .
— তুমি কি পাগল হইলা নাকি? এই পানি ফেল আবার এই গান ধর, যাইহোক ... তাদের ব্যাপারে বারে বারে ছিল ছিল বলতাছ কেন? তারা এখন কোথায়?
— তারা অবৈধ বস্তিতে থাকত। অবৈধ বস্তির। অবৈধ গ্যাসের কানেকশনে রান্না করত...। অবৈধতে সমস্যা নাই। বৈধতে সমস্যা বেশী।
— তা, সমস্যা কি? কত অবৈধ নিয়াইতো ঢাকা শহর চলতেছে..
— হ্যা, তবে তারা আবার নিয়মিত সব বিল, ভাড়া শোধ করত মানে তারা ছিল বৈধ ... হ্যা... হ্যা... হ্যা...
— হাসি থামাও, তোমার আবার চৌক্ষের পানি পড়াতেছে। বালিশ তো ভিজাইয়া ফেলাবা মনে হয়।
— তুমি চিন্তা নিওনা, এখানে অনেক যত্ন। দেখবা কিছুক্ষন পড়। পরিষ্কার ফট ফটা নার্স আইসা, টিসু দিয়া চোখ মুছাইয়া দিয়ে গেছে, বড়ই যত্ন করে। কি সুন্দর ব্যবহার।
— আচ্ছা ... বল্লানা তো তোমার বোন, ভাগ্নির কি হইল?
— কি আর হইব? এত অবৈধ এর মাঝে তারাও অবৈধ হইয়া গেল।
— মানে?
— মানে, জোরা তালির গ্যাস লাইন থাইক্যা, আগুন ধরল পুরা বস্তি নিমিশে ছাই। আমার বোন বোনের জামাই এর হদিশ পাইনাই। ভাগ্নিটার জান আটকাইয়া ছিল। আমার কথা নাকি বলতাছিল বারে বারে। লোকজন সব তাদের হাসপাতলে নিয়া গেল। আমি খবর পাইয়া নারায়নগঞ্জ থাইক্যা মালিবাগের এইখানে আইসা শুনলাম, আমার ভাগ্নিটাও শেষ। চিৎকার কইরা কান্তাছি দেইখা মানুষ জন ধইরা বাস থ্যাইক্যা নামাইয়া দিল। মানুষ চায় শান্তি। চিৎকার কইরা কান্নাকাটিও ডিসটার্ব লাগে।
— পরে কি হল?
— আমি রাস্তায় পাশে বসে আছিলাম। হঠাৎ একটা বড় ইটের টুকরা মাথায় পড়ায় বেহুশের মত উইঠা দাড়ালাম একটা পিক আপ রং পাশ দিয়া আইসা চাপা দিল, তার পর হঠাৎ দেখি এই খানে।
— বাঃ সব কিছু তোমার ওপর এসে পড়ে কেন?
— আর বোলনা, আমি একজন সৌভাগ্যবান ঢাকাবাসী আগেই তো তোমাকে বললাম। পরে জেনেছি। আমি যেখানে বসে ছিলাম, সেখানে একটা বহুতলা বিল্ডিং হচ্ছিল। সেই ওপর থেকে একটা ইট আইসা মাথায় পড়ে। দোষতো আমারই। আমার খেয়াল করা দরকার ছিল। কুমির ভরা নদীতে পড়লে কুমির খাবে না পুটিমাছ ঠোকর দিবে?
— তা তুমি মাঝ রাস্তায় দাড়াইলা কেন?
— রড, সিমেন্ট আর বালু দিয়ে ফুটপাত আর রাস্তাতো দখল, আমি কি ভাবে বুঝব? তাছাড়া মাথাও তো ঠিক নাই?
— তোমার ভাগ্নির কি হল?
— মাস খানেক প্রায় এইখানে। আমার জানটারে বেওয়ারিশ হিসাবে কোথায় কবর দিছে কে জানে?
— কিন্তু এত এত লোকজন প্রতিদিন, গুম, খুন, আহত—নিহত, তুমি এর মাঝে এত দামি হাসপাতালে। ফকির থেকে রাজার ভাগ্য ... ব্যাপারটা ঝাড়তো।
— আমিও প্রথমে ব্যপক হতবাক। আমি তো সৌভাগ্যবান, তুমিতো জানই। আমি পড়েছিলাম দুই এনজিও এর হাতে। ওরাই আমাকে তুলে এনেছে। যখন থেকে একটু বুঝতে পারি তখন ওদের আলাপ আলোচনার অনেক কিছু বোঝার চেষ্টায় ছিলাম।
— তাই নাকি? বেশ মজারতো,
— হ্যা, ওরাই মিলেমিশে আমার দেখা শোনা করে। প্রথমদিকে আমার দখল নিয়ে বেশ টানা হিচরা হয়েছে। এক দল মনে হয় ইউরোপ, এ্যামেরিকান পয়সা পায় আবার আর এক দল মনে হয় মধ্যপ্রাচ্য না কি বলে .... মানে আরব দেশের আরকি।
— ওরে বাবা, ভাল জ্ঞান বুদ্ধি তোমার এটাও ধরে ফেলেছ,
— মাঝে মাঝেই ছবি তুলে তারা। ডাক্তার টাক্তার পাত্তাদেয় না, রীতিমত হুলুস্থল ব্যাপার।
— কিন্তু গ্রুপ কিভাবে বুঝলে?
— মানে একদল ছবি টবি তোলার সময় আমাকে শেভ করিয়ে নেয়। আবার আরেক দল ছবি তোলার সময় মাথায় টুপি পরিয়ে লম্বা একটা পানজাবি জাতীয় কি দিয়ে ডেকে দেয়। আবার ভিডিওর সময় ইংরেজীতে কথা বলে। মনে হয় সব বিদেশ পাঠায়।
— মতি মিয়া তোমার পিছনের কোন যন্ত্র যেন আওয়াজ করছে ... ও .... কি অসহ্য অবস্থা।
— চিন্তা নিওনা, দেখবে নার্স আপা সেকেন্ডে চইলা আসবে। আমি বুঝতে পারছি আমি “কোমায়” যেয়ে এখন অনেক দামী ... কিন্তু....
— কিন্তু কি? হঠাৎ হতাশ হইয়া গেলা মনে হয়।
— কিন্তু মনে হয় আগামী সপ্তাহর পরে আমাকে আর রাখবে না।
— রাখবেনা মানে? তোমাকে “কোমা” থেকে বাঁচিয়ে তুলবে?
— হ্যঃ হ্যঃ তুমি অনেক বেকুব। ভোদাই।
— তাহলে?
— আমি শুনেছি। সেদিন দুই সংগঠনই এসেছিল। খরচ নাকি যথেষ্ট হয়েছে, আর বিদেশী ফান্ডও মনে হয় পেয়ে গেছে, মানে আমাকে বিক্রির টাকা। খামাখা আর বাঁচিয়ে রেখে লাভ কি? দুই তিনটা যন্ত্রর সুইচ অফ করে দিলেই তো ভাবলিলা সাঙ্গ।
— তুমি মনে হয় বাঁচতে চাও। তোমার সব শেষ, বেঁচে কি করবা?
— চোখের পাশদিয়ে পানি পড়ছে বললে? এটা এখন সব সময়ই পড়ে। তবে মাস ছয়েক বাঁচতে ইচ্ছা তো করে অবশ্য।
— মাস ছয়েক বাঁচতে চাও? বিষয়ডা কি?
— না মেয়র ইলেকশান টা মাত্র শেষ হল তো?
— ওরে বাবা, এটাও দেখি তুমি জান। বিরাট ব্যাপার।
— বিরাট ব্যাপারতো বটেই। ঐ সামনে দিকে তাকাও একটা টেলিভিশন আছে। সাউন্ড ছাড়া শুধু সারাদিন চলে। নার্স আপার পরিচিত কেও মনে হয় কাউন্সিলর দাড়াইছিল। সারাদিন খবর দেখে। আমিও দেখি। মেয়র সাহেব কে আমার অনেক কিছু বলার আছে।
— তুমি বলবা? তোমার তো মাথাও নষ্ট দেখি।
— অবশ্যই আমার মাথা নষ্ট। আজ যদি ম্যনহোলে ঢাকনা থাকত, আমার পা ভাঙ্গতো না্ পা না ভাঙ্গলে আমার আয়রুজি ভালই হইত, বউটারে দূর দুরন্তে কাজে যাইতে হইতনা। কমিউনিটি হাসপাতাল সঠিক ভাবে চললে, বউটার চিকিৎসা হইত হয়তো ফুটফুটে ভাগ্নিটার মত আমারও একটা সন্তান হইত, জানজট না থাকলে শেষ দেখাটা দিতে পারতাম। অবৈধ গ্যাস লাইন আর অবৈধ বস্তি নাথাকলে আমার বোনটাও বাঁচত। তুমি জান কত লোক বিসাক্ত খাবার খেয়ে টাইফয়েড, কিডনি, লিভার ধংস করতাছে?
— তুমিতো আজব লোক দেখি!
— কেন, সমস্যা কোথায় দেখলা?
— আরে বোকা, হাজারটা সমস্যা আছে, কিন্তু মেয়র সাহেব দের এই সময় আছে? বেকুব .... তুমি জান তারা কত ব্যস্ত থাকে মিটিং মিছিল, আর বড় বড় কাজ নিয়া। হাজার হাজার কোটি টাকার মামলা রাইখা তোমার কথা মত বস্তি বস্তি ঘুরব? কারো মাথায় ইট পরলে তার সমস্যা কি?
— পারে বুঝছ ... ইচ্ছা থাকলে সবই পারে। এক সময় বাতাশে কি বিষ ছিল মনে আছে? বন্ধ হয় নাই? কত লোক রাস্তা পারাপারে মারা যাইত। সঠিক উদ্যেগ বন্ধ হয় নাই?
— ভাল ভাল। তোমার তো অনেক জ্ঞান হইছে দেখি।
— হ্যাঁ কোমায় থাকতে আমার মাথা আস্তে আস্তে সব চিন্তা কইরা দেখছে। আর এইবার, মেয়রভাইরা তো আলাপ আলোচনায় পরিষ্কার সব সমস্যার কথা নিজেরাই বলছে। আমাদের থেকে বেশী জানে।
— সব বুঝলাম কিন্তু তুমি কিভাবে আব্দার করবা। তুমি তো কথা বলতে পারনা, চোখের পাতাও খুলতে বন্ধ করতে পারনা। নার্স আপা রাত হইলে হাত দিয়া নামাইয়া দিয়া যায় সকালে হাত দিয়া খুইলা দেয়। একটা জিনিষ খালি পার, চোখের পানি ফেলতে, তাও আরেক জন মোছাইয়া দেয়, আর তুমি এখন দাবি জানাইবা? ভাল খুউব ভাল।
— এইবার আমি কথা মুখ দিয়া বলুম না, সার্থপরেরা আমাকে যদি নাও বাঁচিয়ে রাখে আমি মৃত্যুর পরে বইলা যাব।
— তাহলে তুমি ভূত প্রেত হইয়া গায়েবি ভাষন দিবা?
— না, এইবার আমার চোখ কথা বলবে, আমার পাকস্থলি, ফুষফুষ, যকৃৎ, ভাঙ্গা হাড় ... সব কথা বলবে।
— তাই নাকি?
— হ্যাঃ আমি মরে গেলে, ওরা আবার আমার ছবি তুলবে, ওদের সার্থেই আমারে নিয়া অনেক লেখালেখি করবে। মানুষ ঠিকই খুজে বের করবে আমার মৃত্যুর কারন। তারা এত বোকা না। আমার মেডিক্যাল রিপোর্ট সব সাক্ষী দিবে, আমাকে মেরে ফেললেও অস্তিত্ব থাকবে। একজন ভালো লোক, একজন ভাল মেয়র অবশ্যই বিষয় গুলা চিন্তা করবে। আর সে যদি সত্যি সত্যি ভাল কাজ করতে চায়, অবশ্যই পারবে। আর ভালকাজ করলে সে যুগে যুগে প্রশংসা,দোয়া পাবে। না করলে ক্ষনিকে সময়ে হারিয়ে যাবে। মানুষ গালি আর অভিযোগ বুকে চেপে রাখবে .... অনেক উচুতে উঠে দেখলে সব মানুষ পোকামাকরের মত মনে হয়। কিন্তু যদি মানুষের নেতা হইয়া মানুষের সাথে থাকে। তাহলে প্রত্যেকটা মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখা যায়। তাদেও ভাবতে হবে ভোটের আগের মানুষ গুলোকে পোকামাকর বানাবে না মানুষদের মানবিক সহযোগীতা দিবে . . . মতি মিয়ার নিজের সঙ্গে নিজের আলাপ শেষে হয়না।

কয়েকজন ডাক্তার ঢুকে খুইব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে লাইফ সাপোট গুলো খুলে নেয়। এর পর পরই অনেক ক্যামেরার ফ্লাসের মধ্যে তারার রাজ্যে আস্তে আস্তে সে ডুবে যেতে থাকে।

কে এন এন লিংকু
লেখক, কলামিস্ট
knnlinku(at)gmail.com
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৪৯২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০৮/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast