দাসখতের জীবন
আজকের মতো ব্যাস্ততা হয়েছে সারা,
মনের ভেতর নেই একদম, ঘরে ফিরবার তাড়া।
আমাদের জীবন যে খুব কঠিন সবখানে,
হউক তা সাজানো নীড়ে কিংবা তপোবনে।
ছাড় দিতে নারাজ সবাই একফোটা,
কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নিতে চায় আপন প্রাপ্যটা।
সবার পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ক্লান্ত,
তবু আমাদের ছুটে চলতে হয়, অবিশ্রান্ত।
আমাদের সময়, কর্তারা কিনে নেয় অর্থের বিনিময়ে,
পরিবার কিনে নেয় কিছু ভালোবাসা দিয়ে।
একটু সময়ও আমরা দিতে পারিনা নিজেদের,
কি এক অদ্ভুত দাসখতে বন্দী, জীবন আমাদের।
সন্ধ্যা বেলায় ক্লান্ত পাখিও ফিরে আসে নীড়ে,
দিনের ক্লান্তি মুছে যায় ভালোবাসার ভীড়ে।
থাকেনা তার জীবনে কোনো না পাওয়ার বেদনা,
সবাইকে সুখী করবার অপ্রকৃতিস্থ তাড়না।
অলস দুপুরটা থাকে তার একান্ত নিজের,
কারো কাছে বন্ধকী থাকে না আপন সময়ের।
চারপাশের সবার সুখ ভাবতে বয়েই গেছে তার,
অবিবেচক জীবন চাপায় না অন্যের সুখের দায়ভার।
নেই তার কোনো আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন,
নিজের জন্যই বেঁচে থাকে সে, আমৃত্যু।
আমরা জীবিত এক জড় পদার্থের মতো,
পাড়ি দেই যন্ত্রণার প্রকোষ্ঠের পর প্রকোষ্ঠ।
আমরা দেখি শুধু হিমশৈলের চূড়ার মতন সুখ,
দেখিনা তার নিচে ছড়ানো হৃদয়ের ক্ষত।
যতক্ষন না জরা বাসা বাঁধে আমাদের দেহে,
যতক্ষন না আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।
ততক্ষন আমাদের চলা থামানো বারণ,
ছুটে চলতে হবে রেসের ঘোড়ার মতোন।
ছুটতে না পারলে ছিটকে যেতে হবে উচ্ছিষ্টের মতো,
অস্পৃশ্য হয়ে বেঁচে থাকতে হবে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
মনের ভেতর নেই একদম, ঘরে ফিরবার তাড়া।
আমাদের জীবন যে খুব কঠিন সবখানে,
হউক তা সাজানো নীড়ে কিংবা তপোবনে।
ছাড় দিতে নারাজ সবাই একফোটা,
কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নিতে চায় আপন প্রাপ্যটা।
সবার পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ক্লান্ত,
তবু আমাদের ছুটে চলতে হয়, অবিশ্রান্ত।
আমাদের সময়, কর্তারা কিনে নেয় অর্থের বিনিময়ে,
পরিবার কিনে নেয় কিছু ভালোবাসা দিয়ে।
একটু সময়ও আমরা দিতে পারিনা নিজেদের,
কি এক অদ্ভুত দাসখতে বন্দী, জীবন আমাদের।
সন্ধ্যা বেলায় ক্লান্ত পাখিও ফিরে আসে নীড়ে,
দিনের ক্লান্তি মুছে যায় ভালোবাসার ভীড়ে।
থাকেনা তার জীবনে কোনো না পাওয়ার বেদনা,
সবাইকে সুখী করবার অপ্রকৃতিস্থ তাড়না।
অলস দুপুরটা থাকে তার একান্ত নিজের,
কারো কাছে বন্ধকী থাকে না আপন সময়ের।
চারপাশের সবার সুখ ভাবতে বয়েই গেছে তার,
অবিবেচক জীবন চাপায় না অন্যের সুখের দায়ভার।
নেই তার কোনো আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন,
নিজের জন্যই বেঁচে থাকে সে, আমৃত্যু।
আমরা জীবিত এক জড় পদার্থের মতো,
পাড়ি দেই যন্ত্রণার প্রকোষ্ঠের পর প্রকোষ্ঠ।
আমরা দেখি শুধু হিমশৈলের চূড়ার মতন সুখ,
দেখিনা তার নিচে ছড়ানো হৃদয়ের ক্ষত।
যতক্ষন না জরা বাসা বাঁধে আমাদের দেহে,
যতক্ষন না আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।
ততক্ষন আমাদের চলা থামানো বারণ,
ছুটে চলতে হবে রেসের ঘোড়ার মতোন।
ছুটতে না পারলে ছিটকে যেতে হবে উচ্ছিষ্টের মতো,
অস্পৃশ্য হয়ে বেঁচে থাকতে হবে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ০৯/০৭/২০২০চমৎকার লেখনী
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৯/০৭/২০২০fabulous!
-
পি পি আলী আকবর ০৯/০৭/২০২০সুন্দর লেখা
-
ফয়জুল মহী ০৮/০৭/২০২০অনুপম, অতুলনীয় লেখা। ♥️