শিরদাঁড়া
অফিসে যাচ্ছিলাম সেদিন লোকাল বাসে চড়ে,
পিছনের সিটে বসেছিলাম বেশ আয়েশ করে।
আচমকাতে ব্রেক কষলো বাসের ড্রাইভার,
ভীষন ঝাঁকুনি লাগলো যাত্রী সবার।
কারো হাতে চোট পেল, কারো কপাল গেলো কাটা,
আমার পিঠে পেলাম ভীষণ ব্যাথা।
শিরদাঁড়া মনে হয় গেলো এইবার,
সটান সোজা হয়ে গেছি, পিঠ বাঁকেনা যে আর!
চরম ভাবনা হলো পিঠ ব্যাথা ভুলে,
মেরুদন্ড সোজা হলে তো বিপদ পলে পলে।
কুঁজো হয়ে সারা জীবন চলেছি সবখানে,
সোজা পিঠে আমি এখন চলবো কেমনে?
কোনো মতে হাচড়ে পাচড়ে অফিসে ঢুকি,
পাহাড়সম কাজের মাঝে আকন্ঠ ডুবে থাকি।
মাঝবেলায় হঠাৎ করে বড়সাহেবের ডাকে,
ধীর পায়ে হেঁটে যাই পিঠ সোজা রেখে।
বাঁকাতে পারিনা শিরদাঁড়া, ব্যাথায় টন টন,
বড় সাহেব বলেন, “এমন বেয়াদপ তুমি হয়েছো কখন?
ভদ্রতা আদব কায়দা ভুলে গেছো নাকি?
ঘাড় ত্যাড়া করে যেনো দাড়াতে না দেখি।”
স্যারকে কি করে বুঝাই, এতো আমার দোষ নয়,
শিখেছিলাম কি করে কুঁজো থাকতে হয়।
আজ সব কেঁচে দিল বেয়াড়া ড্রাইভার।
পিঠ কুঁজো জীবনে বুঝি হবেনা আমার।
ছোটখাট কেরানি আমি, সামান্য মাইনে পাই,
সারামাস চলতে ভীষণ হিমশিম খাই।
মাস শেষে বাকি জমে গলির দোকানে,
মুদি চাচা ঝাড়ি দেয় কারনে অকারনে।
বাসায় ফিরবার পথে আজ রাতের বেলায়,
চাচার দোকানে যাই বাকীর আশায়।
পিঠ সোজা, ঘাড় সোজা, মেরুদণ্ড সটান,
একরাশ বিরক্তি নিয়ে চাচা আমার পানে তাকান।
“তিন মাসের বাকীর টাকা এখনো পাওনা,
বেয়াদপের মতো দাঁড়াইয়া আছো, ভাব কমেনা।”
কি করে বুঝাই তারে, এ তো আমার দায় নয়,
শিরদাঁড়া সোজা কি আর এমনি এমনি হয়?
সব রাগ পড়ে গিয়ে নচ্ছাড় ড্রাইভারের উপরে,
কুঁজো পিঠ সোজা করতে কে বলেছিলো তোরে?
চারদিকে হাহাকার, সংসার চালানো দায়,
পার্টির অফিসে বসে থাকি, ত্রানের আশায়।
বড় ভাইয়ের সামনে দাড়াই, কাঁচুমাচু মুখে,
পিঠ শালা এখনো সটান হয়ে আছে।
শত চেষ্টা করেও তাঁকে পারিনা বাঁকাতে,
জানিনা কপালে আজ কোন শনি আছে?
দাড়ানোর ভঙ্গি দেখে ভাইয়ের মেজাজ গরম,
রাগে ক্ষোভে গালাগালি করলেন চরম।
ছোট ভাইদের বলে দিলেন আমাকে খেঁদাতে,
ক্ষতি নেই পিঠের প’রে দু চার ঘা লাগাতে।
মনে মনে খুশি হই এইকথা ভেবে,
সোজা পিঠ এবার তবে আবার কুঁজো হবে।
পিছনের সিটে বসেছিলাম বেশ আয়েশ করে।
আচমকাতে ব্রেক কষলো বাসের ড্রাইভার,
ভীষন ঝাঁকুনি লাগলো যাত্রী সবার।
কারো হাতে চোট পেল, কারো কপাল গেলো কাটা,
আমার পিঠে পেলাম ভীষণ ব্যাথা।
শিরদাঁড়া মনে হয় গেলো এইবার,
সটান সোজা হয়ে গেছি, পিঠ বাঁকেনা যে আর!
চরম ভাবনা হলো পিঠ ব্যাথা ভুলে,
মেরুদন্ড সোজা হলে তো বিপদ পলে পলে।
কুঁজো হয়ে সারা জীবন চলেছি সবখানে,
সোজা পিঠে আমি এখন চলবো কেমনে?
কোনো মতে হাচড়ে পাচড়ে অফিসে ঢুকি,
পাহাড়সম কাজের মাঝে আকন্ঠ ডুবে থাকি।
মাঝবেলায় হঠাৎ করে বড়সাহেবের ডাকে,
ধীর পায়ে হেঁটে যাই পিঠ সোজা রেখে।
বাঁকাতে পারিনা শিরদাঁড়া, ব্যাথায় টন টন,
বড় সাহেব বলেন, “এমন বেয়াদপ তুমি হয়েছো কখন?
ভদ্রতা আদব কায়দা ভুলে গেছো নাকি?
ঘাড় ত্যাড়া করে যেনো দাড়াতে না দেখি।”
স্যারকে কি করে বুঝাই, এতো আমার দোষ নয়,
শিখেছিলাম কি করে কুঁজো থাকতে হয়।
আজ সব কেঁচে দিল বেয়াড়া ড্রাইভার।
পিঠ কুঁজো জীবনে বুঝি হবেনা আমার।
ছোটখাট কেরানি আমি, সামান্য মাইনে পাই,
সারামাস চলতে ভীষণ হিমশিম খাই।
মাস শেষে বাকি জমে গলির দোকানে,
মুদি চাচা ঝাড়ি দেয় কারনে অকারনে।
বাসায় ফিরবার পথে আজ রাতের বেলায়,
চাচার দোকানে যাই বাকীর আশায়।
পিঠ সোজা, ঘাড় সোজা, মেরুদণ্ড সটান,
একরাশ বিরক্তি নিয়ে চাচা আমার পানে তাকান।
“তিন মাসের বাকীর টাকা এখনো পাওনা,
বেয়াদপের মতো দাঁড়াইয়া আছো, ভাব কমেনা।”
কি করে বুঝাই তারে, এ তো আমার দায় নয়,
শিরদাঁড়া সোজা কি আর এমনি এমনি হয়?
সব রাগ পড়ে গিয়ে নচ্ছাড় ড্রাইভারের উপরে,
কুঁজো পিঠ সোজা করতে কে বলেছিলো তোরে?
চারদিকে হাহাকার, সংসার চালানো দায়,
পার্টির অফিসে বসে থাকি, ত্রানের আশায়।
বড় ভাইয়ের সামনে দাড়াই, কাঁচুমাচু মুখে,
পিঠ শালা এখনো সটান হয়ে আছে।
শত চেষ্টা করেও তাঁকে পারিনা বাঁকাতে,
জানিনা কপালে আজ কোন শনি আছে?
দাড়ানোর ভঙ্গি দেখে ভাইয়ের মেজাজ গরম,
রাগে ক্ষোভে গালাগালি করলেন চরম।
ছোট ভাইদের বলে দিলেন আমাকে খেঁদাতে,
ক্ষতি নেই পিঠের প’রে দু চার ঘা লাগাতে।
মনে মনে খুশি হই এইকথা ভেবে,
সোজা পিঠ এবার তবে আবার কুঁজো হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৯/০৫/২০২০Outstanding
-
ফয়জুল মহী ২৯/০৫/২০২০লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।