“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”-৪৭পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪৭পর্ব
“ভালো।”
শ্রাবস্তী একটু কৌত’হলী স্বরে বলল, “কী?”
“আপনার স্মরণ শক্তি। আচ্ছা প্রশ্নটা যেন কী ছির।”
“বলবো না।”
“প্লিজ আমার স্মরণ শক্তি বেশ কম।”
“আপনি না!”
শ্রাবস্তীর কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে বললাম, “প্রশ্নটা কী যেন ছিল?’
“মহাপুরুষ বলতে আপনি কী বুঝাতে চাচ্ছেন-আপনার প্রশ্ন ছিল এটি। আর আমি মহাপুরুষ বলতে কী বুঝি তা শুনতে চেয়েছিলেন।”
আমি বললাম, “ঠিক আছে। উত্তর বলেন।”
“যে প্রশ্ন করবে সেই উত্তর দিতে পারবে।”
“এ আবার কেমন কথা হলো। আমার প্রশ্নে আমিই উত্তর দিব!”
“প্রশ্ন যেমনি হোক উত্তর ঠিক হয় না বলেই চারিদিকে এত সমস্যা- কি ঠিক বলছি?”
“তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, যে যাই প্রশ্ন করুক না কেন, তাকেই এর উত্তর বের করতে হবে।”
“হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন আপনি। আসলেই আপনি..!”
“কী হলো থেমে গেলেন যে?”
“কারোর প্রশংসা তার সামনে করতে নেই।”
“মাঝে মধ্যে করলে হয়তো উৎসাহ বাড়ে।”
“হ্যাঁ, তা ঠিক। তাহলে বলবো?”
“না থাক। মহাপুরুষ নিয়ে যে কথা হচ্ছিল সে কথায় ফেরা যাক। আচ্ছা মিস শ্রাবস্তী, মহানারী উপাধিটা কেন ব্যবহার করা হয় না? এই পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য অনেক নারীই তো তাদের জীবনেসর সুখ আহ্লাদ ত্যাগ করে পৃথিবীকে ভালবাসার চেষ্টা করেছেন।”
“হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার প্রশ্নের উত্তরটা আমি আজও পাইনি।”
“আপনি কী করেছেন?” বলে বিস্ময় ভাব নিয়ে শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাল।
আমিও একটু অবাক হলাম শ্রাবস্তীর কথায়।
“আমি আবার কী করলাম?” বলে বড়-বড় চোখ করে শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম।
একটু মুচকি হাসি দিয়ে ও বললো, “এখনো বুঝতে পারেননি বুঝি?”
আমি বললাম, “কী বলতে চাচ্ছ একটু পরিস্কার করে বলো তো।”
শ্রাবস্তী একটু চমকে গেল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তী হয়তো অসন্তুষ্ট হলো। ওকে “তুমি” বলে ফেলেছি। শ্রাবস্তী বলল, “আপনি একাই বাদাম শেষ করে দিলেন!”
“আরে তাইতো। দেখেন আমার কিন্তু দোষ না। আপনি যে ভাবে গল্প শুরু করেছেন, শুনতে-শুনতে বাদামের দিকে খেয়াল ছিল না।
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪৭পর্ব
“ভালো।”
শ্রাবস্তী একটু কৌত’হলী স্বরে বলল, “কী?”
“আপনার স্মরণ শক্তি। আচ্ছা প্রশ্নটা যেন কী ছির।”
“বলবো না।”
“প্লিজ আমার স্মরণ শক্তি বেশ কম।”
“আপনি না!”
শ্রাবস্তীর কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে বললাম, “প্রশ্নটা কী যেন ছিল?’
“মহাপুরুষ বলতে আপনি কী বুঝাতে চাচ্ছেন-আপনার প্রশ্ন ছিল এটি। আর আমি মহাপুরুষ বলতে কী বুঝি তা শুনতে চেয়েছিলেন।”
আমি বললাম, “ঠিক আছে। উত্তর বলেন।”
“যে প্রশ্ন করবে সেই উত্তর দিতে পারবে।”
“এ আবার কেমন কথা হলো। আমার প্রশ্নে আমিই উত্তর দিব!”
“প্রশ্ন যেমনি হোক উত্তর ঠিক হয় না বলেই চারিদিকে এত সমস্যা- কি ঠিক বলছি?”
“তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, যে যাই প্রশ্ন করুক না কেন, তাকেই এর উত্তর বের করতে হবে।”
“হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন আপনি। আসলেই আপনি..!”
“কী হলো থেমে গেলেন যে?”
“কারোর প্রশংসা তার সামনে করতে নেই।”
“মাঝে মধ্যে করলে হয়তো উৎসাহ বাড়ে।”
“হ্যাঁ, তা ঠিক। তাহলে বলবো?”
“না থাক। মহাপুরুষ নিয়ে যে কথা হচ্ছিল সে কথায় ফেরা যাক। আচ্ছা মিস শ্রাবস্তী, মহানারী উপাধিটা কেন ব্যবহার করা হয় না? এই পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য অনেক নারীই তো তাদের জীবনেসর সুখ আহ্লাদ ত্যাগ করে পৃথিবীকে ভালবাসার চেষ্টা করেছেন।”
“হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার প্রশ্নের উত্তরটা আমি আজও পাইনি।”
“আপনি কী করেছেন?” বলে বিস্ময় ভাব নিয়ে শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাল।
আমিও একটু অবাক হলাম শ্রাবস্তীর কথায়।
“আমি আবার কী করলাম?” বলে বড়-বড় চোখ করে শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম।
একটু মুচকি হাসি দিয়ে ও বললো, “এখনো বুঝতে পারেননি বুঝি?”
আমি বললাম, “কী বলতে চাচ্ছ একটু পরিস্কার করে বলো তো।”
শ্রাবস্তী একটু চমকে গেল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তী হয়তো অসন্তুষ্ট হলো। ওকে “তুমি” বলে ফেলেছি। শ্রাবস্তী বলল, “আপনি একাই বাদাম শেষ করে দিলেন!”
“আরে তাইতো। দেখেন আমার কিন্তু দোষ না। আপনি যে ভাবে গল্প শুরু করেছেন, শুনতে-শুনতে বাদামের দিকে খেয়াল ছিল না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ০৮/১০/২০১৫লেখা ভাল হছ্ছে
-
সাইদুর রহমান ০৫/১০/২০১৫বেশ ভালো লাগছে।
-
দেবব্রত সান্যাল ০৫/১০/২০১৫গল্প এগোচ্ছে না। কথার খেলা হচ্ছে। এডিটিং এর প্রয়োজন।
-
রাশেদ খাঁন ০১/১০/২০১৫
-
কষ্টের ফেরিওলা ২৭/০৯/২০১৫অনেক সুন্দর হয়েছে,
-
মুরাদ হোসেন ২৬/০৯/২০১৫দারুণ
-
রাশেদ খাঁন ২৬/০৯/২০১৫
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৬/০৯/২০১৫খুব সুন্দর ।
third line - ছিল>, 23rd line জীবনে সব>,