“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”উপন্যাস-৪৬পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪৬পর্ব
“কেন?”
“সে আমার মনের মানুষ। মনের মানুষের নাম আবার সবাইকে বলা যায় না। তাতে ঝামেলা বাড়ে।”
“আমাকে বললে আপনার কোন ঝামেলা হবে না।”
“তার সাথে সম্পর্ক গভীর হলে আপনাকে জানাব।”
“ঠিক আছে। আমার মোবাইল নম্বরটা তো আপনার জানাই আছে।”
আমি বললাম, “হ্যাঁ আমার নম্বরও তো আপনি জানেন?”
“একটা কথা জিজ্ঞাসা করি?”
“হ্যাঁ, একটা কেন হাজারটা করতে পারেন।”
“আপনাকে আমার..।” বলে শ্রাবস্তী চুপ করে মায়াবী চোখে তাকাল। আমি বললাম, “হঠাৎ বাড়ি ফিরছেন? আপনার বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান আছে?”
“হ্যাঁ, একটা বিয়ের অনুষ্ঠান।”
আমি কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম, “কার বিয়ে?”
“আমার বিয়ে।”বলে বড়-বড় চোখ করে শ্রাবস্তী তাকাল।
“আপনার বিয়ে! বাহ! এ-তো আনন্দের কথা।”
“আনন্দের কথা না তো ছাই। নিন তাড়াতাড়ি শেভ শেষ করুন। গল্প করলে নিজের কাজের প্রতি একটুও খেয়ার থাকে না দিখছি আপনার।”
“সুন্দরী মেয়েদের সাথে গল্প করার সুযোগ পেলে যে কোন ছেলেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে বাধ্য।”
শ্রাবস্তী বলল, “কিন্তু আপনার হবে না।”
“আমাকে কি তবে মহাপুরুষ ভাবছেন? স্বাভাবিক জৈবিক আকর্ষণের আকর্ষিত হবো না!”
“মহাপুরুষকে অতিক্রম করার কিছু গুণ আপনার আছে।”
“আচ্ছা মহাপুরুষ বলতে আপনি কী বুঝাতে চাচ্ছন?”
আমার কথাকে উপেক্ষা করে বলল, “আমি ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলাম। আপনি শেভ করে আসুন, তখন করা যাবে।” বলেই শ্রাবস্তী চলে গেল আমার কাছ থেকে। শেভ শেষ করে মুখটা ভাল করে পরিস্কার করে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসছি। শ্রাবস্তীর চোখে আমার চোখ পড়ল। শ্রাবস্তী বাথরুমের দিকে তাকাতে তাকাতেই বাদামের খোসা ছাড়াচ্ছিল। হঠাৎ নিজের অজান্তেই বলে উঠল, “খুব সুন্দর লাগছে এখন আপনাকে।”
“তাই !” বলে মৃদু হেসে শ্রাবস্তীর সামনে বসলাম।
শ্রাবস্তী বাদামের প্লেটটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। আমি দু-একটা বাদাম হাতে নিয়ে বললাম, “আচ্ছা কী বিষয়ে যেন কথা হচ্ছিল?”
“মহাপুরুষ।” ঠোঁট দুটো একটু বেশি মাত্রায় ফাঁক করে শ্রাবস্তী বলল।
“শেষ প্রশ্ন কার ছিল? আমার না আপনার?”
শ্রাবস্তী বলল,“আপনার ছিল। ”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪৬পর্ব
“কেন?”
“সে আমার মনের মানুষ। মনের মানুষের নাম আবার সবাইকে বলা যায় না। তাতে ঝামেলা বাড়ে।”
“আমাকে বললে আপনার কোন ঝামেলা হবে না।”
“তার সাথে সম্পর্ক গভীর হলে আপনাকে জানাব।”
“ঠিক আছে। আমার মোবাইল নম্বরটা তো আপনার জানাই আছে।”
আমি বললাম, “হ্যাঁ আমার নম্বরও তো আপনি জানেন?”
“একটা কথা জিজ্ঞাসা করি?”
“হ্যাঁ, একটা কেন হাজারটা করতে পারেন।”
“আপনাকে আমার..।” বলে শ্রাবস্তী চুপ করে মায়াবী চোখে তাকাল। আমি বললাম, “হঠাৎ বাড়ি ফিরছেন? আপনার বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান আছে?”
“হ্যাঁ, একটা বিয়ের অনুষ্ঠান।”
আমি কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম, “কার বিয়ে?”
“আমার বিয়ে।”বলে বড়-বড় চোখ করে শ্রাবস্তী তাকাল।
“আপনার বিয়ে! বাহ! এ-তো আনন্দের কথা।”
“আনন্দের কথা না তো ছাই। নিন তাড়াতাড়ি শেভ শেষ করুন। গল্প করলে নিজের কাজের প্রতি একটুও খেয়ার থাকে না দিখছি আপনার।”
“সুন্দরী মেয়েদের সাথে গল্প করার সুযোগ পেলে যে কোন ছেলেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে বাধ্য।”
শ্রাবস্তী বলল, “কিন্তু আপনার হবে না।”
“আমাকে কি তবে মহাপুরুষ ভাবছেন? স্বাভাবিক জৈবিক আকর্ষণের আকর্ষিত হবো না!”
“মহাপুরুষকে অতিক্রম করার কিছু গুণ আপনার আছে।”
“আচ্ছা মহাপুরুষ বলতে আপনি কী বুঝাতে চাচ্ছন?”
আমার কথাকে উপেক্ষা করে বলল, “আমি ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসলাম। আপনি শেভ করে আসুন, তখন করা যাবে।” বলেই শ্রাবস্তী চলে গেল আমার কাছ থেকে। শেভ শেষ করে মুখটা ভাল করে পরিস্কার করে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসছি। শ্রাবস্তীর চোখে আমার চোখ পড়ল। শ্রাবস্তী বাথরুমের দিকে তাকাতে তাকাতেই বাদামের খোসা ছাড়াচ্ছিল। হঠাৎ নিজের অজান্তেই বলে উঠল, “খুব সুন্দর লাগছে এখন আপনাকে।”
“তাই !” বলে মৃদু হেসে শ্রাবস্তীর সামনে বসলাম।
শ্রাবস্তী বাদামের প্লেটটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। আমি দু-একটা বাদাম হাতে নিয়ে বললাম, “আচ্ছা কী বিষয়ে যেন কথা হচ্ছিল?”
“মহাপুরুষ।” ঠোঁট দুটো একটু বেশি মাত্রায় ফাঁক করে শ্রাবস্তী বলল।
“শেষ প্রশ্ন কার ছিল? আমার না আপনার?”
শ্রাবস্তী বলল,“আপনার ছিল। ”
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অভিষেক মিত্র ২৯/০৯/২০১৫দারুণ!
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২২/০৯/২০১৫খুবই ভাল ।
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২১/০৯/২০১৫সুন্দর এগুচ্ছে ।