“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”৪২পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪২পর্ব
শ্রাবস্তী বলে উঠল, “ঠিক হচ্ছে না, আমি বলছি ঠিক হচ্ছে না।”
কাপ কেড়ে নিয়ে বললাম, “এই দিকে তাকান।’
“কী, কী দেখব?”
ধীর স্বরে বললাম, “তাকান না!”
শ্রাবস্তী তাকাল। “ও মা!” বলে অবাক হলো।গ্যাসের চুলার দিকে নজর দিয়েই, আমার দিকে দিকে তাকিয়ে বলল, “এটা কেমন করে হলো? আপনি কি যাদু জানেন?’
“না, কিছুই জানি না। এমন ঘটলো কী করে শুনবেন?”
শ্রাবস্তী একটু লজ্জাশীল ভঙ্গিমায় জিজ্ঞাসা করল, “কী করে?”
“আপনি আমাকে নিয়ে ভাবছেন হয়তো!”
“হ্যাঁ।” বলে শ্রাবস্তী মাথা নিচু করে ফেলল।
“মাথা নিচু করার কোন কারণ নেই। আমিও আপনাকে নিয়ে ভাবছি।”
“তাই?”
“হ্যাঁ।”
“এর আগে আমি কোন অপরিচিত ছেলের সাথে এমন ঘনিষ্ট ভাবে কথা বলিনি তো।
“আমিও।”
“আপনাকে কেন যে গাল দিতে গেলাম।”
“এর আগেও দিয়েছেন। কিছু ভাল কওে না বুঝে এমনটি করা ঠিক না।”
“হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। বিশ্বাস করুন এমন পরিস্থিতি আগে পড়িনি।”
আমি বললাম, “তা বুঝতে পারছি। এবার কবিতাটি যদি শোনাতেন।”
মৃদু হেসে বলল, “হ্যাঁ শোনাব, আগে চা তৈরী করে নিই।”
“ঠিক আছে।”
“আপনি শেভ শেষ করেন। আমি চা নিয়ে আসছি।”
আমি বাথরুমে চলে এলাম। ক্রীম ঘসে একবার শেভ করা হয়ে গেলে ,আর একবার ক্রীম মুখে লাগাব এমনি মূহুর্তে চা নিয়ে শ্রাবস্থী হাজির।
“নিন এবার কিন্তু সত্যি সত্যি গরম চা।” বলে এক কাপ চা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। চায়ের কাপ শ্রাবস্তীর হাত থেকে নিয়ে সে অবস্থায়ই চা পান করতে লাগলাম। শ্রাবস্তীও চা পান করছে।
আমি আবার বললাম,“কি হলো কবিতা আবৃতি করবেন না?”
“কোন কবিতাটি আবৃতি করবো?”
“আপনার যেটি ভাল লাগে।”
“ঠিক আছে। আপনি শেভ করুনএদিকে আমি একটু মনে করে নিই।
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪২পর্ব
শ্রাবস্তী বলে উঠল, “ঠিক হচ্ছে না, আমি বলছি ঠিক হচ্ছে না।”
কাপ কেড়ে নিয়ে বললাম, “এই দিকে তাকান।’
“কী, কী দেখব?”
ধীর স্বরে বললাম, “তাকান না!”
শ্রাবস্তী তাকাল। “ও মা!” বলে অবাক হলো।গ্যাসের চুলার দিকে নজর দিয়েই, আমার দিকে দিকে তাকিয়ে বলল, “এটা কেমন করে হলো? আপনি কি যাদু জানেন?’
“না, কিছুই জানি না। এমন ঘটলো কী করে শুনবেন?”
শ্রাবস্তী একটু লজ্জাশীল ভঙ্গিমায় জিজ্ঞাসা করল, “কী করে?”
“আপনি আমাকে নিয়ে ভাবছেন হয়তো!”
“হ্যাঁ।” বলে শ্রাবস্তী মাথা নিচু করে ফেলল।
“মাথা নিচু করার কোন কারণ নেই। আমিও আপনাকে নিয়ে ভাবছি।”
“তাই?”
“হ্যাঁ।”
“এর আগে আমি কোন অপরিচিত ছেলের সাথে এমন ঘনিষ্ট ভাবে কথা বলিনি তো।
“আমিও।”
“আপনাকে কেন যে গাল দিতে গেলাম।”
“এর আগেও দিয়েছেন। কিছু ভাল কওে না বুঝে এমনটি করা ঠিক না।”
“হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। বিশ্বাস করুন এমন পরিস্থিতি আগে পড়িনি।”
আমি বললাম, “তা বুঝতে পারছি। এবার কবিতাটি যদি শোনাতেন।”
মৃদু হেসে বলল, “হ্যাঁ শোনাব, আগে চা তৈরী করে নিই।”
“ঠিক আছে।”
“আপনি শেভ শেষ করেন। আমি চা নিয়ে আসছি।”
আমি বাথরুমে চলে এলাম। ক্রীম ঘসে একবার শেভ করা হয়ে গেলে ,আর একবার ক্রীম মুখে লাগাব এমনি মূহুর্তে চা নিয়ে শ্রাবস্থী হাজির।
“নিন এবার কিন্তু সত্যি সত্যি গরম চা।” বলে এক কাপ চা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। চায়ের কাপ শ্রাবস্তীর হাত থেকে নিয়ে সে অবস্থায়ই চা পান করতে লাগলাম। শ্রাবস্তীও চা পান করছে।
আমি আবার বললাম,“কি হলো কবিতা আবৃতি করবেন না?”
“কোন কবিতাটি আবৃতি করবো?”
“আপনার যেটি ভাল লাগে।”
“ঠিক আছে। আপনি শেভ করুনএদিকে আমি একটু মনে করে নিই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১২/০৯/২০১৫খুব ভাল হচ্ছে। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় থাকলাম।
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ১২/০৯/২০১৫ভাল