“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”৪১পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪১পর্ব
হাসতে দেখে শ্রাবস্তী একটু অবাক হল্ োনা কি ও আমার সাথে রহস্য করছে? কি জানি! তবু বললাম, “ ভয় নেই ভয় নেই। ওটা ইঁদুর।
“জানি।”
“তকে চিৎকার করলেন কেন?”
“কি জানি Ñবলে মৃদু হাসল। শ্রাবস্তী এক কাপ চা আমার দিকে বাড়িয়ে বলল, “নিন গরম-গরম চা।”
“মুখে ক্রীম লাগানো যে!”
বাম হাত দিয়ে তোয়ালে বাড়িয়ে ও বলল, “মুখ মুছে ফেলুন। চা খেযে তারপর শেভ করবেন।”
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শ্রাবস্তীর হাত থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে “আপনার চা।” বলে কৌত’হলী দৃষ্টিতে শ্রাবস্তীর মুখের দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তীও এক কাপ চা তুলে নিয়ে আমার দিকে কাপটা বাড়িয়ে বলল, “এই যে আমার চা, এবার শুরু করুন, খুব গরম কিন্তু!”
শ্রাবস্তী ওর কাপে চুমুক দিলো। আমিও আমার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললাম, কাপ পর্যন্ত গরম হয়ে গেড়ছে দেখছি। আপনি এত তাড়াতাড়ি চা তৈরী করতে পারেন?”
“আপনার মুখ থেকে সুনাম শুনবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই।”
আমি বললাম, “ তবে কী বলব?”
“কেন এতক্ষণ যে বিষয়ে কথা হচ্ছিল সে বিষয়ে।”
“ওহ! আপনার তো একটা কবিতা আবৃত্তি করার কথা। আমি শেভ করতে করতে আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনবো কেমন মজা হবে বলুন তো?”
ও একটু যেন অবাক হলো। এক মুহুর্তে চুপ করে থেকে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তারপর বলল, “আপনি তো আচ্ছা লোক। এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারলেন?”
“আমি আবার আপনাকে কী মিথ্যা কথা বললাম?”
“মিথ্যুক, ঠকবাজ। আবার বলছে কী মিথ্যা কথা বললাম, ভন্ড।”
“দেখেন আপনি কিন্তু আবার ভুল করছেন। আমাকে শুধু শুধু মিথ্যা দোষারোপ করছেন।”
“ভুল করছি? ডমথ্যা দোষারোপ করছি?”
“তাছাড়া কি?”
“কেন আপনিই তো বললেন!”
“কী বললঅম?”
“যে গরম চা খেতে গেলে জিভ পুড়ে যায়!”
“তবে কিভাবে এরকম গরম চা সাবাড় করে দিলেন?”
“ও! ” বলে হাসি পেল, একটু হাসলাম।
“দেখেন হাসবেন না। মেয়েদের সাথে রঙ্গ করতে খুব ভাল লাগে, তাই না!”
শ্রাবস্তীর কথা শেষ হওয়া মাত্র “ওর হাত থেকে চায়ের কাপটা কেড়ে নিতেই
চলবে
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৪১পর্ব
হাসতে দেখে শ্রাবস্তী একটু অবাক হল্ োনা কি ও আমার সাথে রহস্য করছে? কি জানি! তবু বললাম, “ ভয় নেই ভয় নেই। ওটা ইঁদুর।
“জানি।”
“তকে চিৎকার করলেন কেন?”
“কি জানি Ñবলে মৃদু হাসল। শ্রাবস্তী এক কাপ চা আমার দিকে বাড়িয়ে বলল, “নিন গরম-গরম চা।”
“মুখে ক্রীম লাগানো যে!”
বাম হাত দিয়ে তোয়ালে বাড়িয়ে ও বলল, “মুখ মুছে ফেলুন। চা খেযে তারপর শেভ করবেন।”
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শ্রাবস্তীর হাত থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে “আপনার চা।” বলে কৌত’হলী দৃষ্টিতে শ্রাবস্তীর মুখের দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তীও এক কাপ চা তুলে নিয়ে আমার দিকে কাপটা বাড়িয়ে বলল, “এই যে আমার চা, এবার শুরু করুন, খুব গরম কিন্তু!”
শ্রাবস্তী ওর কাপে চুমুক দিলো। আমিও আমার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললাম, কাপ পর্যন্ত গরম হয়ে গেড়ছে দেখছি। আপনি এত তাড়াতাড়ি চা তৈরী করতে পারেন?”
“আপনার মুখ থেকে সুনাম শুনবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই।”
আমি বললাম, “ তবে কী বলব?”
“কেন এতক্ষণ যে বিষয়ে কথা হচ্ছিল সে বিষয়ে।”
“ওহ! আপনার তো একটা কবিতা আবৃত্তি করার কথা। আমি শেভ করতে করতে আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনবো কেমন মজা হবে বলুন তো?”
ও একটু যেন অবাক হলো। এক মুহুর্তে চুপ করে থেকে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তারপর বলল, “আপনি তো আচ্ছা লোক। এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারলেন?”
“আমি আবার আপনাকে কী মিথ্যা কথা বললাম?”
“মিথ্যুক, ঠকবাজ। আবার বলছে কী মিথ্যা কথা বললাম, ভন্ড।”
“দেখেন আপনি কিন্তু আবার ভুল করছেন। আমাকে শুধু শুধু মিথ্যা দোষারোপ করছেন।”
“ভুল করছি? ডমথ্যা দোষারোপ করছি?”
“তাছাড়া কি?”
“কেন আপনিই তো বললেন!”
“কী বললঅম?”
“যে গরম চা খেতে গেলে জিভ পুড়ে যায়!”
“তবে কিভাবে এরকম গরম চা সাবাড় করে দিলেন?”
“ও! ” বলে হাসি পেল, একটু হাসলাম।
“দেখেন হাসবেন না। মেয়েদের সাথে রঙ্গ করতে খুব ভাল লাগে, তাই না!”
শ্রাবস্তীর কথা শেষ হওয়া মাত্র “ওর হাত থেকে চায়ের কাপটা কেড়ে নিতেই
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১০/০৯/২০১৫
আগামী পর্বের আশায় থাকলাম। শত শুভ্র শুভেচ্ছা জানাই।