“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”৩৪পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩৪পর্ব
কোন উত্তর মুখে এলো না। পেছনের দিকে মুখ করে শ্রাবস্তীকে বললা, “বলবো?”
শ্রাবস্তী খুবই আস্তে বলল, “প্লিজ অন্য কথা বলে দেন।”
তনয় কৌত’হলী স্বরে বলল, “কিরে কি বলছিস তোরা?”
“কিছু না, তোর আসতে দেরী হলো যে?”
“ও একটু তেরি হয়ে গেলো। তা এতক্ষণ কিভাবে কাটলো তোদের?”
তনয়ের দিকে নজর ঘুরাতে যেয়েই দেখতে পেলাম টেবিলের উপর ভঙিা কাঁচ। কাঁচের সামান্য মাথা বেড়িয়ে আছে। দেখে বললাম, “ঐ ভাবে ভাঙা কাঁচ কেউ টেবিলে রাখে? তোর কি কোনদিন বুদ্ধি শুদ্ধি হবে না?” তীক্ষè ভাবে তাকালাম তনয়ের পানে। তনয় টেবিলের কাছে এসে বের হয়ে থাকা কাঁচটা একটু সরিয়ে দিয়ে বলল, “তারুণ্য আর একটু বস। আমি এখনি আসছি। ব’লে আবার বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল।
“আরে আবার কোথায় যাবি? আমরা পরের ট্রেনে চলে যাব।”
“ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। বৃষ্টি কমলে তারপর”-তনয় বলল
“না মানে কোথায় যাচ্ছিস? তোর সাথে অনেক কথা আছে।”
“আমি যাব আর আসব।” বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে টেবিলে একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়েÑ“এখানে কমলালেবু আর বাদাম আছে । দয়া করে এগুলো দিয়ে মুখ নাড়াতে থাকুন। আমি এখুন আসছি।”
শ্রাবস্তী ঘাড় নাড়ল।
আমি বললাম, “এই তনয় চা খাওয়া দরকার যে।”
“রান্না ঘরে চা চিনি কৌটায় দুধ সবই আছে।”
“তাহলে কি তোর বাড়িতে এস চা তৈরী করে খেতে হবে?”
“কী করব বল। আমাদের ভাগ্যে তো ..হবে না..।”
তনয়ের কথার জের ধরে বললাম,“থাম-থাম তোর আর বক্তৃতা দিতে হবে না। যেখানে যাচ্ছিস সেখানে থেকে তাড়াতাড়ি ঘুড়ে আয়।”
অীর স্বরে তনয় বলে, “গেলে তো তোর ভালই হয়।” তারপর শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে বলে, “ঠিক আছে, আমি যাব আর আসব।” বলে তনয় চলে গেল।
শ্রাবস্তী বলল, “আপনার বন্ধুতো বেশ রসিক!”
“হ্যাঁ, ও খুব মজা করে কথা বলতে পারে। দেখুন তো রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে?”
“হ্যাঁ।” বলে শ্রাবস্তী ন¤্রস্বরে বললো, “আপনাকে খুব কষ্ট দিলাম?”
“কষ্ট আর কী। সবই তো পরিস্থিতির স্বীকার।”
“জামা একটু পরে পরবেন। এখনও কি ব্যাথা করছে?”
আমি কিছু বললাম না। ঘুরে দাঁড়ালাম ওর দিকে মুখ করে । মৃদু হাসি এলো । শ্রাবস্তীর প্রতি যেন কেমন একটা অনুভ’তি জন্ম নিচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ ফসকে বলে ফেললাম, “ব্যাথা করছে ঠিকই কিন্তু এখন ততটা বুঝতে পারছি না।”
চলবে
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩৪পর্ব
কোন উত্তর মুখে এলো না। পেছনের দিকে মুখ করে শ্রাবস্তীকে বললা, “বলবো?”
শ্রাবস্তী খুবই আস্তে বলল, “প্লিজ অন্য কথা বলে দেন।”
তনয় কৌত’হলী স্বরে বলল, “কিরে কি বলছিস তোরা?”
“কিছু না, তোর আসতে দেরী হলো যে?”
“ও একটু তেরি হয়ে গেলো। তা এতক্ষণ কিভাবে কাটলো তোদের?”
তনয়ের দিকে নজর ঘুরাতে যেয়েই দেখতে পেলাম টেবিলের উপর ভঙিা কাঁচ। কাঁচের সামান্য মাথা বেড়িয়ে আছে। দেখে বললাম, “ঐ ভাবে ভাঙা কাঁচ কেউ টেবিলে রাখে? তোর কি কোনদিন বুদ্ধি শুদ্ধি হবে না?” তীক্ষè ভাবে তাকালাম তনয়ের পানে। তনয় টেবিলের কাছে এসে বের হয়ে থাকা কাঁচটা একটু সরিয়ে দিয়ে বলল, “তারুণ্য আর একটু বস। আমি এখনি আসছি। ব’লে আবার বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল।
“আরে আবার কোথায় যাবি? আমরা পরের ট্রেনে চলে যাব।”
“ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। বৃষ্টি কমলে তারপর”-তনয় বলল
“না মানে কোথায় যাচ্ছিস? তোর সাথে অনেক কথা আছে।”
“আমি যাব আর আসব।” বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে টেবিলে একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়েÑ“এখানে কমলালেবু আর বাদাম আছে । দয়া করে এগুলো দিয়ে মুখ নাড়াতে থাকুন। আমি এখুন আসছি।”
শ্রাবস্তী ঘাড় নাড়ল।
আমি বললাম, “এই তনয় চা খাওয়া দরকার যে।”
“রান্না ঘরে চা চিনি কৌটায় দুধ সবই আছে।”
“তাহলে কি তোর বাড়িতে এস চা তৈরী করে খেতে হবে?”
“কী করব বল। আমাদের ভাগ্যে তো ..হবে না..।”
তনয়ের কথার জের ধরে বললাম,“থাম-থাম তোর আর বক্তৃতা দিতে হবে না। যেখানে যাচ্ছিস সেখানে থেকে তাড়াতাড়ি ঘুড়ে আয়।”
অীর স্বরে তনয় বলে, “গেলে তো তোর ভালই হয়।” তারপর শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে বলে, “ঠিক আছে, আমি যাব আর আসব।” বলে তনয় চলে গেল।
শ্রাবস্তী বলল, “আপনার বন্ধুতো বেশ রসিক!”
“হ্যাঁ, ও খুব মজা করে কথা বলতে পারে। দেখুন তো রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে?”
“হ্যাঁ।” বলে শ্রাবস্তী ন¤্রস্বরে বললো, “আপনাকে খুব কষ্ট দিলাম?”
“কষ্ট আর কী। সবই তো পরিস্থিতির স্বীকার।”
“জামা একটু পরে পরবেন। এখনও কি ব্যাথা করছে?”
আমি কিছু বললাম না। ঘুরে দাঁড়ালাম ওর দিকে মুখ করে । মৃদু হাসি এলো । শ্রাবস্তীর প্রতি যেন কেমন একটা অনুভ’তি জন্ম নিচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ ফসকে বলে ফেললাম, “ব্যাথা করছে ঠিকই কিন্তু এখন ততটা বুঝতে পারছি না।”
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২৯/০৮/২০১৫বাহ !! দারুন। চলছে ও চলবে ।।