“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”-৩৩পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩৩পর্ব
-মধ্যে আমাকে দেখছে আর মনের খায়েস মেটাচ্ছে। কী দেখছে শ্রাবস্তীই ভাল জানে। মেয়েদের সাইকোলজি আমার জানা নেই। যদি জানা থাকত তাহলে ওর চোখের ভাষা বুঝে পারতাম।
“কী হলো?”
“এই তো আসছিÑব’লে শ্রাবস্তীর দিকে এগিয়ে গেলাম।
আমি শ্রাবস্তীর কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওর শরীর আর আমার শরীরের মাঝে ব্যবধান সামান্য। একান্ত ঘনিষ্ট অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছাড়া এত কাছাকাছি সাধারণত হয় না। শ্রাবস্তী একটু থতমত খেয়ে গেল। শ্রাবস্তীর উচ্চতা আমার ঘাড় পর্যন্ত। আমিও একটু কৌত’হলী ভাবে ওর দিকে তাকালাম। হাতে থাকা লম্বা লাঠিটাও আমার দিকে বাড়িয়ে বললো, “এই লাঠি দিয়ে আপনি ফুল গাছের ডালটা জানালার দিকে টানার চেষ্টা করুন। আমি এর পাতা ছিড়ে নিচ্ছি। কেমন।
“ঠিক আছেÑ’ব’লে মাথা নেড়ে শ্রাবস্তীর কাছ থেকে লাঠিটা নিয়ে জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে লাঠি দিয়ে গাঁদা ফুল গাছটার ডাল টানার চেষ্টা করলাম। এদিকে শ্রাবস্তী ফাঁকে হাত দিয়ে পাতা ছেঁড়ার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। হাত ডাল পর্যন্ত যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর কয়েকটি পাতা ছিড়েই বললো, হ্যাঁ হয়েছে। বাঃ বাঃ পাতা ছিড়তে যে এত কষ্টÑ’বলেই আমার দিকে তাকিয়ে আবার বলল, “লাঠিটা রেখে এবার পেছন ফিরে দাঁড়ান। এই পাতার রস দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আমি কিছুই বললাম না। শ্রাবস্তীর আজ্ঞা মত লাঠিটা দেয়ালের সাথে রেখে ওর দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীর কাছে কি ঋণী হয়ে যাচ্ছি? এই মূহুর্তে শ্রাবস্তীর প্রতি টান বাড়ছে। বুকের ভেতরটা কেমন যেন লাগছে।
বাম হাতের উপর পাতাগুলো রেখে ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চেপে-চেপে রস বের করে পিঠের আঘাতের জায়গায় চেপে ধরল শ্রাবস্তী। একটু জ্বলে উঠল। নিজেকে সম্বরণ করতে না পেরে। “উহু’ শব্দ করে উঠলাম।
শ্রাবস্তী বললো, “কী জ্বলছে? একটু কষ্ট করুন। রক্ত পড়া এখনি বন্ধ হয়ে যাবে। খবরদার, নড়বেন না।”
তনয় ঘরে প্রবেশ করে “কিরে তারুণ্য তোর কি হলো” বলে একটু দূরে দাঁড়াল। ভার করে দেখল আমাকে আর শ্রাবস্তী। ও..যা ভাবছে আমি বুঝতে পেরেছি। শ্রাবস্তী হয়তো বুঝতে পারেনি। আমার একটু লজ্জাও লাগল। ও যেন কিছুই মনে করলো না, ও এখন ওর কাঝে ব্যস্ত।
তনয় ঐ খানে দাঁড়িয়েই ছাতাটা বন্ধ করছে। মানিছে ভাল। তা হয়েছে টা ..কী?”
আমি বললাম, “একটু কেটে গেছে।”
“কীভাবে কাটলো।
চলবে
কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩৩পর্ব
-মধ্যে আমাকে দেখছে আর মনের খায়েস মেটাচ্ছে। কী দেখছে শ্রাবস্তীই ভাল জানে। মেয়েদের সাইকোলজি আমার জানা নেই। যদি জানা থাকত তাহলে ওর চোখের ভাষা বুঝে পারতাম।
“কী হলো?”
“এই তো আসছিÑব’লে শ্রাবস্তীর দিকে এগিয়ে গেলাম।
আমি শ্রাবস্তীর কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওর শরীর আর আমার শরীরের মাঝে ব্যবধান সামান্য। একান্ত ঘনিষ্ট অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছাড়া এত কাছাকাছি সাধারণত হয় না। শ্রাবস্তী একটু থতমত খেয়ে গেল। শ্রাবস্তীর উচ্চতা আমার ঘাড় পর্যন্ত। আমিও একটু কৌত’হলী ভাবে ওর দিকে তাকালাম। হাতে থাকা লম্বা লাঠিটাও আমার দিকে বাড়িয়ে বললো, “এই লাঠি দিয়ে আপনি ফুল গাছের ডালটা জানালার দিকে টানার চেষ্টা করুন। আমি এর পাতা ছিড়ে নিচ্ছি। কেমন।
“ঠিক আছেÑ’ব’লে মাথা নেড়ে শ্রাবস্তীর কাছ থেকে লাঠিটা নিয়ে জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে লাঠি দিয়ে গাঁদা ফুল গাছটার ডাল টানার চেষ্টা করলাম। এদিকে শ্রাবস্তী ফাঁকে হাত দিয়ে পাতা ছেঁড়ার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। হাত ডাল পর্যন্ত যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর কয়েকটি পাতা ছিড়েই বললো, হ্যাঁ হয়েছে। বাঃ বাঃ পাতা ছিড়তে যে এত কষ্টÑ’বলেই আমার দিকে তাকিয়ে আবার বলল, “লাঠিটা রেখে এবার পেছন ফিরে দাঁড়ান। এই পাতার রস দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আমি কিছুই বললাম না। শ্রাবস্তীর আজ্ঞা মত লাঠিটা দেয়ালের সাথে রেখে ওর দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীর কাছে কি ঋণী হয়ে যাচ্ছি? এই মূহুর্তে শ্রাবস্তীর প্রতি টান বাড়ছে। বুকের ভেতরটা কেমন যেন লাগছে।
বাম হাতের উপর পাতাগুলো রেখে ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চেপে-চেপে রস বের করে পিঠের আঘাতের জায়গায় চেপে ধরল শ্রাবস্তী। একটু জ্বলে উঠল। নিজেকে সম্বরণ করতে না পেরে। “উহু’ শব্দ করে উঠলাম।
শ্রাবস্তী বললো, “কী জ্বলছে? একটু কষ্ট করুন। রক্ত পড়া এখনি বন্ধ হয়ে যাবে। খবরদার, নড়বেন না।”
তনয় ঘরে প্রবেশ করে “কিরে তারুণ্য তোর কি হলো” বলে একটু দূরে দাঁড়াল। ভার করে দেখল আমাকে আর শ্রাবস্তী। ও..যা ভাবছে আমি বুঝতে পেরেছি। শ্রাবস্তী হয়তো বুঝতে পারেনি। আমার একটু লজ্জাও লাগল। ও যেন কিছুই মনে করলো না, ও এখন ওর কাঝে ব্যস্ত।
তনয় ঐ খানে দাঁড়িয়েই ছাতাটা বন্ধ করছে। মানিছে ভাল। তা হয়েছে টা ..কী?”
আমি বললাম, “একটু কেটে গেছে।”
“কীভাবে কাটলো।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৭/০৮/২০১৫খুব ভাল লাগল ।
-
নাবিক ২৭/০৮/২০১৫