পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”২৯পর্ব
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারণিক
উপন্যাস-২৯পর্ব
ছিলাম। বেগুনী রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছে। কপালে বেগুনী রঙেরই টিপ; হাতে চিরুনী শ্রাবস্তীর। মাথা আঁচড়াতে আঁচড়াতে এসেছে। আমি একবার তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। একটু অসন্তুষ্ট ভাব দেখালাম। আসলে অসন্তুষ্ট ছাড়াও একটু লজ্জা লাগছে। খানিক আগে মগ দিয়ে মেরেছে। এবার আবার কী করবে কী জানি! বৃষ্টি এখনও আগের মতোই হচ্ছে।
“আমি খুবই দুঃখিত। আসলে ঐ মূহুর্তে আপনার সম্পর্কে বাজে একটা ধারণা হয়েছির। আপনি বিশ্বাস করুন, আপনাকে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।”
থেমে-থেমে কথাগুলো শ্রাবস্তী বললো। ও ওর দোষ স্বীকার করাএত মনটা ভাল হয়ে গেল। তবু ও চুপ করেই আছি। বৃষ্টি পড়া দেখছি। সামনের খোলা জায়গা দেখছি। যেন শ্রাবস্তীর কথা আমি শুনতেই পাচ্ছি না।
“আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি আমার উপর রেগে গেছেন। দেখুন এমন পরিস্থিতি আমার জীবনে কোনদিন ঘটেনি। আসলে আমি খুবই দুঃখিত। আমাকে কিন্তু এখানে একা ফেলে রেখে যাবেন না।” শ্রাবস্তী মুখস্ত পড়ার মত করে বলল। মনটা কেমন কওে যেন নরম হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তীর প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছি। ঘুরে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীর চোখে এবার আমার চোখ পড়ল। শ্রাবস্তীর কথায় আবদার আছে, অনরোধ আছে।
“আমি লজ্জিত।” বলে মাথা নিচু করে ফেললো শ্রাবস্তী। অভিনয় করছে না তো! না কি সত্যি সত্যি ও লজ্জিত?
চুপ করেই থাকলাম, বৃষ্টি আরো জোরে পড়া শুরু হলো। বৃষ্টির ছাটও বেড়ে যাচ্ছে। বাতাস যেভাবে বইছে মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় শুরু হচ্ছে। এখানে আর দাঁড়ানো যাবে না।
“চলুন ঘরের ভিতরে যাই।” বলে আমি ঘরের ভেতদও ঢুকলাম। শ্রাবস্তীও আমার পেছন পেছন ঢুকলো। ঘরের ভেতর আবছঝা অন্ধকার হয়ে আছে। লাইট এর সুইসটা অন করলাম। লাইট জ্বলে উঠল। আমি খাটের উপর বসলাম। বসতে গিয়ে পিঠে একটু ব্যথা অনুভব হলো। তেমন গুরুত্ব দিলাম না। শ্রাবস্তী সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো মনে-মনে জেদ ধরেছে, আমি যদি বসতে না বলি ও বসবে না। কী জানি কেন এত ভাব দেখাচ্ছে। শ্রাবস্তী মুখটা নিচু করে নিতেই কেন যেন বলে ফেললাম, “বসুন।”
শ্রাবস্তী সোফায় বসে পড়ল। ভাল লাগল। শ্রাবস্তী মায়াবী চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “আপনি তখন খুব ব্যথা পেয়েছেন?”
“কই নাতো!” মিথ্যে কথা কেমন করে বললাম, নিজেও বুঝতে পারলাম না।
কিশোর কারণিক
উপন্যাস-২৯পর্ব
ছিলাম। বেগুনী রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছে। কপালে বেগুনী রঙেরই টিপ; হাতে চিরুনী শ্রাবস্তীর। মাথা আঁচড়াতে আঁচড়াতে এসেছে। আমি একবার তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। একটু অসন্তুষ্ট ভাব দেখালাম। আসলে অসন্তুষ্ট ছাড়াও একটু লজ্জা লাগছে। খানিক আগে মগ দিয়ে মেরেছে। এবার আবার কী করবে কী জানি! বৃষ্টি এখনও আগের মতোই হচ্ছে।
“আমি খুবই দুঃখিত। আসলে ঐ মূহুর্তে আপনার সম্পর্কে বাজে একটা ধারণা হয়েছির। আপনি বিশ্বাস করুন, আপনাকে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।”
থেমে-থেমে কথাগুলো শ্রাবস্তী বললো। ও ওর দোষ স্বীকার করাএত মনটা ভাল হয়ে গেল। তবু ও চুপ করেই আছি। বৃষ্টি পড়া দেখছি। সামনের খোলা জায়গা দেখছি। যেন শ্রাবস্তীর কথা আমি শুনতেই পাচ্ছি না।
“আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি আমার উপর রেগে গেছেন। দেখুন এমন পরিস্থিতি আমার জীবনে কোনদিন ঘটেনি। আসলে আমি খুবই দুঃখিত। আমাকে কিন্তু এখানে একা ফেলে রেখে যাবেন না।” শ্রাবস্তী মুখস্ত পড়ার মত করে বলল। মনটা কেমন কওে যেন নরম হয়ে গেল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তীর প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছি। ঘুরে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তীর চোখে এবার আমার চোখ পড়ল। শ্রাবস্তীর কথায় আবদার আছে, অনরোধ আছে।
“আমি লজ্জিত।” বলে মাথা নিচু করে ফেললো শ্রাবস্তী। অভিনয় করছে না তো! না কি সত্যি সত্যি ও লজ্জিত?
চুপ করেই থাকলাম, বৃষ্টি আরো জোরে পড়া শুরু হলো। বৃষ্টির ছাটও বেড়ে যাচ্ছে। বাতাস যেভাবে বইছে মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় শুরু হচ্ছে। এখানে আর দাঁড়ানো যাবে না।
“চলুন ঘরের ভিতরে যাই।” বলে আমি ঘরের ভেতদও ঢুকলাম। শ্রাবস্তীও আমার পেছন পেছন ঢুকলো। ঘরের ভেতর আবছঝা অন্ধকার হয়ে আছে। লাইট এর সুইসটা অন করলাম। লাইট জ্বলে উঠল। আমি খাটের উপর বসলাম। বসতে গিয়ে পিঠে একটু ব্যথা অনুভব হলো। তেমন গুরুত্ব দিলাম না। শ্রাবস্তী সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো মনে-মনে জেদ ধরেছে, আমি যদি বসতে না বলি ও বসবে না। কী জানি কেন এত ভাব দেখাচ্ছে। শ্রাবস্তী মুখটা নিচু করে নিতেই কেন যেন বলে ফেললাম, “বসুন।”
শ্রাবস্তী সোফায় বসে পড়ল। ভাল লাগল। শ্রাবস্তী মায়াবী চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “আপনি তখন খুব ব্যথা পেয়েছেন?”
“কই নাতো!” মিথ্যে কথা কেমন করে বললাম, নিজেও বুঝতে পারলাম না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হিরণ্য হারুন ১৭/০৮/২০১৫ভালো
-
নাবিক ১৪/০৮/২০১৫