’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘২৭পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৭পর্ব
চোখ দুটো জলে ছল-ছল করে উঠল। আমি শ্রাবস্তীর দিকে না তাকিয়েই বাথরুমের দরজার সিটকিনি দিতে গেলাম। কিন্তু সিটকিনি দেওয়া যাচ্ছে না।
“দেখেন খুব খারাপ হবে। আমি আপনাকে ভদ্র ছেলে ভেবেছিলাম। কিন্তু , কিন্তু আপনার ভিতর..!”
এবার শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। আমিও আকটু রেগে গেছি। সিটকিনি তাড়াতাড়ি দেবার চেষ্টা করলাম। শ্রাবস্তী একটি মগ দিয়ে হঠাৎ আমার পিঠে আঘাত করল। শ্রাবস্তীর পানে গরম চোখে তাকালাম বেশ বিশ্রী ব্যাপার । শ্রাবস্তী এবার বড় বালতি তুললো আমাকে মারার জন্য ।
আমি বললাম, “এই, আপনি আমাকে কী ভেবেছেন? খারাপ ছেলে আমি? আপনার প্রতি আমার কামনা জেগেছে? ছিঃ ছিঃ আমি আপনাকে সাহায্য করবার জন্য এসেছিলাম। আপনার প্রতি কোন রূপ মোহ জাগেনি এখনো আমার। আজকের ঘটনা আপনার জীবনের এবক বড় শিক্ষা! আয়না দিয়ে নিশ্চয় মুখ দেখেন? আপনি যে সুন্দরী এক মেয়ে নিশ্চয় আপনি জানেন? আপনি একা, জানেন না আশে-পাশে খারাপ মানুষের সংখ্যা বেশি। আমার ভেতর এমন কী দেখলেন যে আমার সঙ্গে নির্জন এই জায়গায় চলে আসলেন? ঠিক করেন নি, বুঝেছেন! অনেক শিক্ষার এখনও বাকি আছে আপনার।”
শ্রাবস্তী হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। হয়তো এমন পরিস্থিতি ওর জীবনে এই প্রথম, নিশ্চয় প্রথম। নিজেকে একটু সংযত করে একটু নরম স্বরে বললাম, “দরজার সিটকিনি দেওয়া যাবে না। আমি ঐ বারান্দায় যাচ্ছি, আপনি সদর দরজার সিটকিনি আটকিয়ে পোশাক চেঞ্জ করে নিন।” বলেই বাথরুম থেকে বের হয়ে এলাম। সদর দরজার কাছাকাছি আসতেই বাথরুম থেকে বের হয়ে শ্রাবস্তী বলে উঠলো,
“ আপনি এখানেই থাকেন, আমার ভয় করছে। আমি বাথরুমেই পোশাক চেঞ্জ করে নিচ্ছি।”
আমি বললাম, “বেশি মাত্রায় কাউকে বিশ্বাস করতে নেই, বুঝলেন।”
আমার হাত কেমন করে যেন শ্রাবস্তীর মাথার উপর উঠে আসল, হয়তো শ্রাবস্তীর মাথায় একটু স্নেহাশীষের হাত বোলাতে। কিন্তু হাত দিতে সংকোচ হওয়ায় হাতটা নামিয়ে নিতে নিতে বললাম, “ভয় নেই। আপনি ড্রেস চেঞ্জ করুন ।” বলে বাইরে চলে আসলাম।
শ্রাবস্তী সদর দরজার সিটকিনি দিতে আসিনি। বাথরুমের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে পোশাক চেঞ্জ করছে। আমাকে বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে ফেলেছে শ্রাবস্তী। যা মোটেই ঠিক করছে না। এ যাবত মা ও দিদি ছাড়া আর কোন মেয়ের হাতে মার খ্ইানি। কিন্তু আজ এক অপরিচিত মেয়ের হাতে মার খেতে হলো। খুবই জোরে মেরেছিল বোধ হয়। পিঠটা এখনও ব্যথা করছে। এ কথা কাউকে বলাও যাবে না।
চলবে
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৭পর্ব
চোখ দুটো জলে ছল-ছল করে উঠল। আমি শ্রাবস্তীর দিকে না তাকিয়েই বাথরুমের দরজার সিটকিনি দিতে গেলাম। কিন্তু সিটকিনি দেওয়া যাচ্ছে না।
“দেখেন খুব খারাপ হবে। আমি আপনাকে ভদ্র ছেলে ভেবেছিলাম। কিন্তু , কিন্তু আপনার ভিতর..!”
এবার শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। আমিও আকটু রেগে গেছি। সিটকিনি তাড়াতাড়ি দেবার চেষ্টা করলাম। শ্রাবস্তী একটি মগ দিয়ে হঠাৎ আমার পিঠে আঘাত করল। শ্রাবস্তীর পানে গরম চোখে তাকালাম বেশ বিশ্রী ব্যাপার । শ্রাবস্তী এবার বড় বালতি তুললো আমাকে মারার জন্য ।
আমি বললাম, “এই, আপনি আমাকে কী ভেবেছেন? খারাপ ছেলে আমি? আপনার প্রতি আমার কামনা জেগেছে? ছিঃ ছিঃ আমি আপনাকে সাহায্য করবার জন্য এসেছিলাম। আপনার প্রতি কোন রূপ মোহ জাগেনি এখনো আমার। আজকের ঘটনা আপনার জীবনের এবক বড় শিক্ষা! আয়না দিয়ে নিশ্চয় মুখ দেখেন? আপনি যে সুন্দরী এক মেয়ে নিশ্চয় আপনি জানেন? আপনি একা, জানেন না আশে-পাশে খারাপ মানুষের সংখ্যা বেশি। আমার ভেতর এমন কী দেখলেন যে আমার সঙ্গে নির্জন এই জায়গায় চলে আসলেন? ঠিক করেন নি, বুঝেছেন! অনেক শিক্ষার এখনও বাকি আছে আপনার।”
শ্রাবস্তী হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। হয়তো এমন পরিস্থিতি ওর জীবনে এই প্রথম, নিশ্চয় প্রথম। নিজেকে একটু সংযত করে একটু নরম স্বরে বললাম, “দরজার সিটকিনি দেওয়া যাবে না। আমি ঐ বারান্দায় যাচ্ছি, আপনি সদর দরজার সিটকিনি আটকিয়ে পোশাক চেঞ্জ করে নিন।” বলেই বাথরুম থেকে বের হয়ে এলাম। সদর দরজার কাছাকাছি আসতেই বাথরুম থেকে বের হয়ে শ্রাবস্তী বলে উঠলো,
“ আপনি এখানেই থাকেন, আমার ভয় করছে। আমি বাথরুমেই পোশাক চেঞ্জ করে নিচ্ছি।”
আমি বললাম, “বেশি মাত্রায় কাউকে বিশ্বাস করতে নেই, বুঝলেন।”
আমার হাত কেমন করে যেন শ্রাবস্তীর মাথার উপর উঠে আসল, হয়তো শ্রাবস্তীর মাথায় একটু স্নেহাশীষের হাত বোলাতে। কিন্তু হাত দিতে সংকোচ হওয়ায় হাতটা নামিয়ে নিতে নিতে বললাম, “ভয় নেই। আপনি ড্রেস চেঞ্জ করুন ।” বলে বাইরে চলে আসলাম।
শ্রাবস্তী সদর দরজার সিটকিনি দিতে আসিনি। বাথরুমের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে পোশাক চেঞ্জ করছে। আমাকে বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে ফেলেছে শ্রাবস্তী। যা মোটেই ঠিক করছে না। এ যাবত মা ও দিদি ছাড়া আর কোন মেয়ের হাতে মার খ্ইানি। কিন্তু আজ এক অপরিচিত মেয়ের হাতে মার খেতে হলো। খুবই জোরে মেরেছিল বোধ হয়। পিঠটা এখনও ব্যথা করছে। এ কথা কাউকে বলাও যাবে না।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোবারক হোসেন ১৩/০৮/২০১৫
-
সাইদুর রহমান ১৩/০৮/২০১৫সুন্দর গল্প।
চলুক। -
মায়নুল হক ১১/০৮/২০১৫পাবার মত চাইলে কি পাওয়া যায় ঝায় না
বুক বাধলাম!ধন্যবাদ।