’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘২৫পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৫পর্ব
শ্রাবস্তীর পানে তাকিয়ে বলল, “আসুন ভিতরে আসুন।”
আমি শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে ইশারা করলাম ঘরে ঢুকতে। আমার পেছনে শ্রাবস্তী। আমি ঢুকেই বললাম, “কিরে তনয়, ঘরটাকে দেখে যে বাসর ঘরের মত লাগছে। বিয়ে করলি কবে?”
তনয় দরজা বন্ধ করে দিলো। কোন কথা বলছে না। একবার আমার দিকে আর একবার শ্রাবস্তীর দিকে তাকাচ্ছে।
“কিরে কথা বলছিস না কেন? তোর বউ কই? কালা আমাকে না জানিয়েই বিয়ে করে ফিললি?”
ধমকের স্বরে তনয় বলল, “থাক তো। নিজের স্বপ্ন পরকে দেখাচ্ছিস কেন? আমার এক সহকর্মীর গত পরশু বিয়ে হয়েছে । আমার এখানে বাসর রাত করেছে, তাই ঘরটা সাজানো। ইচ্ছা করলে..(শ্রাব¯তীর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে আমার দিকে মুখ করে) তোরাও নির্দ্ধিধায় ব্যবহার করতে পারিস।”
আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। তনয় ভেবেছে হয়তো আমি শ্রাবস্তীকে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছি। শ্রাবস্তী আমার বউ। শ্রাবস্তীও আমার দিকে তাকাল। তনয়ের কথাটা বোধ হয় ওর ভাল লাগেনি। না লাগারই কথা। শ্রাবস্তীর দিক থেকে মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে বললাম, “এই তনয় কী সব বলছিস? তোর মাথা ঠিক আছে?”
“হ্যাঁ বন্ধু, মাথা ঠিকই আছে। তোমার আর আিভনয় করতে হবে না।”
“আরে আমার কথা আগে শুনবি তো?”
“কী শুনব, এই কী শুনব? তুই যে গোপনে-গোপনে এই কান্ড ঘটাবি তা কে জানে? বাড়ির লোকজন জানে না তো? ঠিকই করেছিস। তোর মত বোকারাই এমন কাজ করতে পারে।”
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল তনয়। একটু বিরক্ত বোধ করলাম, তনয়ের কথাবার্তায়। শ্রাবস্তীকে আমার সঙ্গে দেখে ওর মাথার উদ্ভট চিন্তা ভর করেছে। আসলে যে যেমন লোক, সে তেমনই ভাবতে পারে। তনয় মেয়েদেররপ্রতি একটু বেশি মাত্রায় কৌত’হলী, তাছাড়্ াশ্রাবস্তীর মত সুন্দরী মেয়ে আমার সাথে দেখে তনয়ের এমন মনে হতেই পারে।
আমি বললাম, “এই তনয় আমরা কি তাহলে চলে যাব?”
“চলে যাবি মানে?”
“তুই তো আমার কথা কিছুই শুনতে চাচ্ছিস না।”
“পরে শুনবো, আগে জামা কাপড় চেঞ্জ করে বিশ্রাম নে।” শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে তনয় বললে, “আপনি যদি পোশাক পাল্টান তবে ঐ দিকে বাথরুম আছে। তারুণ্য বস
চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৫পর্ব
শ্রাবস্তীর পানে তাকিয়ে বলল, “আসুন ভিতরে আসুন।”
আমি শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে ইশারা করলাম ঘরে ঢুকতে। আমার পেছনে শ্রাবস্তী। আমি ঢুকেই বললাম, “কিরে তনয়, ঘরটাকে দেখে যে বাসর ঘরের মত লাগছে। বিয়ে করলি কবে?”
তনয় দরজা বন্ধ করে দিলো। কোন কথা বলছে না। একবার আমার দিকে আর একবার শ্রাবস্তীর দিকে তাকাচ্ছে।
“কিরে কথা বলছিস না কেন? তোর বউ কই? কালা আমাকে না জানিয়েই বিয়ে করে ফিললি?”
ধমকের স্বরে তনয় বলল, “থাক তো। নিজের স্বপ্ন পরকে দেখাচ্ছিস কেন? আমার এক সহকর্মীর গত পরশু বিয়ে হয়েছে । আমার এখানে বাসর রাত করেছে, তাই ঘরটা সাজানো। ইচ্ছা করলে..(শ্রাব¯তীর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে আমার দিকে মুখ করে) তোরাও নির্দ্ধিধায় ব্যবহার করতে পারিস।”
আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। তনয় ভেবেছে হয়তো আমি শ্রাবস্তীকে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছি। শ্রাবস্তী আমার বউ। শ্রাবস্তীও আমার দিকে তাকাল। তনয়ের কথাটা বোধ হয় ওর ভাল লাগেনি। না লাগারই কথা। শ্রাবস্তীর দিক থেকে মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে বললাম, “এই তনয় কী সব বলছিস? তোর মাথা ঠিক আছে?”
“হ্যাঁ বন্ধু, মাথা ঠিকই আছে। তোমার আর আিভনয় করতে হবে না।”
“আরে আমার কথা আগে শুনবি তো?”
“কী শুনব, এই কী শুনব? তুই যে গোপনে-গোপনে এই কান্ড ঘটাবি তা কে জানে? বাড়ির লোকজন জানে না তো? ঠিকই করেছিস। তোর মত বোকারাই এমন কাজ করতে পারে।”
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল তনয়। একটু বিরক্ত বোধ করলাম, তনয়ের কথাবার্তায়। শ্রাবস্তীকে আমার সঙ্গে দেখে ওর মাথার উদ্ভট চিন্তা ভর করেছে। আসলে যে যেমন লোক, সে তেমনই ভাবতে পারে। তনয় মেয়েদেররপ্রতি একটু বেশি মাত্রায় কৌত’হলী, তাছাড়্ াশ্রাবস্তীর মত সুন্দরী মেয়ে আমার সাথে দেখে তনয়ের এমন মনে হতেই পারে।
আমি বললাম, “এই তনয় আমরা কি তাহলে চলে যাব?”
“চলে যাবি মানে?”
“তুই তো আমার কথা কিছুই শুনতে চাচ্ছিস না।”
“পরে শুনবো, আগে জামা কাপড় চেঞ্জ করে বিশ্রাম নে।” শ্রাবস্তীর দিকে তাকিয়ে তনয় বললে, “আপনি যদি পোশাক পাল্টান তবে ঐ দিকে বাথরুম আছে। তারুণ্য বস
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহরলাল মজুমদার ০৯/০৮/২০১৫০১৯৬৪৫১৯৬৪৫