’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘ ২৩ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৩ পর্ব
শ্রাবস্তী আর কথা না বলে বৃষ্টি দেখতে লাগলো। নিজের কাছে একটু খারাপ লাগছে। নিজের জন্যে না, শ্রাবস্তীর জন্যে এই মূহুর্তে কিছু করতে না পারার জন্যে।
খুবই ধীর স্বরে সঙ্গীতের সুর শুনতে পেলাম। “আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে”Ñহ্যাঁ, রবীন্দ্র সঙ্গীত।কোথা থেকে ভেসে আসছে কে জানে! আশেপাশে নজর দিলাম। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এর আশেপাশে থেকেই যেন সুর ভেসে আসছে। শ্রাবস্তীও বোধ হয় শুনতে পেয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি পেছন ফিরতেই দেখি বন্ধ এক দরজা। মনে বিস্ময় জাগলো। বুঝতে পারলাম একটু বেশিই আনমনা হয়ে পড়েছি; আবছা অন্ধকারও হয়ে গেছে চারদিক। মনের কৌত’হলে এগিয়ে গিয়ে দরজায় কান লাগালাম। হ্যাঁ শোনা গেল, “দেখতে আমি পাইনি।” তবে কি এটা কোন বাসা বাড়ি? মনে আনন্দ জেগে উঠল। শ্রাবস্তীকে ইশারা করলাম দরজায় কান লাগাতে । শ্রাবস্তী দরজায় কান লাগাল। মূহুর্তেই দরজা থেকে সরে এসে বললো, “হ্যাঁ, ভিতরে ক্যাসেট বাজছে।”
আমি বললাম, “ভালোই হলো।”
ও কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞিস করল, “কেন?”
“আপনার পোশাক পাল্টানোর সুবিধা হবে, কী বলেন?”
শ্রাবস্তী দরজার পানে তাকাল। আমার দিকেও এক নজর তাকাল্
আমি বললাম, “দরজায় কড়া নাড়ব?”
শ্রাবস্তী ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিলো। এগিয়ে গিয়ে দরজার কড়ায় একটু জোরে-জোরে নাড়া দিলাম।
ঘরের ভেতর থেকে শব্দ এলো, “এত বৃষ্টির ভেতর কে এলো?” পুরুষ কণ্ঠস্বর। পায়ে বোধ হয় স্যান্ডেল আছে, স্যান্ডেল ঘঁষে হাঁটা অভ্যাস লোকটির।
মনে পড়ল আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর কথা। সে স্যান্ডেল ঘষে-ঘষে হাঁটত। আমাকে মাঝেমধ্যে খুব বিরক্ত করত। ও মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব পছন্দ করত। বন্ধুটির নাম তনয়। আজ মাস খানেক ওর সাথে দেখা হয় না। শুনেছি চাকুরীর খোঁজ করে বেড়াচ্ছে। কলেজ জীবনের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে আমি আর ও হেঁটে গেট পার হচ্ছি, হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির জল জমে কাঁদা জমেছে গেটের সামনে। হঠাৎ একটা প্রাউভেটকার গেট দিয়ে প্রবেশ করলে। এক গাদা কাঁদা তনয়ের মুখে শরনীরে । হাল্কা কাঁদার ছিটা আমার শরীরেও পড়েছে। আমি কাঁদা ঝাড়তে লাগলাম। এদিকে তনয় রেগে গিয়েছে। প্রাইভেট কারের দিকে নজর গেল আমাদের। কারের ড্রাইভিং সিট থেকে নেমে এলো স্নগ্লাস পরা ধনী বাপের এক মাত্র মেয়ে তানিয়া। আমাদের দিকে এসে বললো, “আই এ্যাম সরি তনয়, প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড।”
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৩ পর্ব
শ্রাবস্তী আর কথা না বলে বৃষ্টি দেখতে লাগলো। নিজের কাছে একটু খারাপ লাগছে। নিজের জন্যে না, শ্রাবস্তীর জন্যে এই মূহুর্তে কিছু করতে না পারার জন্যে।
খুবই ধীর স্বরে সঙ্গীতের সুর শুনতে পেলাম। “আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে”Ñহ্যাঁ, রবীন্দ্র সঙ্গীত।কোথা থেকে ভেসে আসছে কে জানে! আশেপাশে নজর দিলাম। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এর আশেপাশে থেকেই যেন সুর ভেসে আসছে। শ্রাবস্তীও বোধ হয় শুনতে পেয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি পেছন ফিরতেই দেখি বন্ধ এক দরজা। মনে বিস্ময় জাগলো। বুঝতে পারলাম একটু বেশিই আনমনা হয়ে পড়েছি; আবছা অন্ধকারও হয়ে গেছে চারদিক। মনের কৌত’হলে এগিয়ে গিয়ে দরজায় কান লাগালাম। হ্যাঁ শোনা গেল, “দেখতে আমি পাইনি।” তবে কি এটা কোন বাসা বাড়ি? মনে আনন্দ জেগে উঠল। শ্রাবস্তীকে ইশারা করলাম দরজায় কান লাগাতে । শ্রাবস্তী দরজায় কান লাগাল। মূহুর্তেই দরজা থেকে সরে এসে বললো, “হ্যাঁ, ভিতরে ক্যাসেট বাজছে।”
আমি বললাম, “ভালোই হলো।”
ও কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞিস করল, “কেন?”
“আপনার পোশাক পাল্টানোর সুবিধা হবে, কী বলেন?”
শ্রাবস্তী দরজার পানে তাকাল। আমার দিকেও এক নজর তাকাল্
আমি বললাম, “দরজায় কড়া নাড়ব?”
শ্রাবস্তী ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিলো। এগিয়ে গিয়ে দরজার কড়ায় একটু জোরে-জোরে নাড়া দিলাম।
ঘরের ভেতর থেকে শব্দ এলো, “এত বৃষ্টির ভেতর কে এলো?” পুরুষ কণ্ঠস্বর। পায়ে বোধ হয় স্যান্ডেল আছে, স্যান্ডেল ঘঁষে হাঁটা অভ্যাস লোকটির।
মনে পড়ল আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর কথা। সে স্যান্ডেল ঘষে-ঘষে হাঁটত। আমাকে মাঝেমধ্যে খুব বিরক্ত করত। ও মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব পছন্দ করত। বন্ধুটির নাম তনয়। আজ মাস খানেক ওর সাথে দেখা হয় না। শুনেছি চাকুরীর খোঁজ করে বেড়াচ্ছে। কলেজ জীবনের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে আমি আর ও হেঁটে গেট পার হচ্ছি, হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির জল জমে কাঁদা জমেছে গেটের সামনে। হঠাৎ একটা প্রাউভেটকার গেট দিয়ে প্রবেশ করলে। এক গাদা কাঁদা তনয়ের মুখে শরনীরে । হাল্কা কাঁদার ছিটা আমার শরীরেও পড়েছে। আমি কাঁদা ঝাড়তে লাগলাম। এদিকে তনয় রেগে গিয়েছে। প্রাইভেট কারের দিকে নজর গেল আমাদের। কারের ড্রাইভিং সিট থেকে নেমে এলো স্নগ্লাস পরা ধনী বাপের এক মাত্র মেয়ে তানিয়া। আমাদের দিকে এসে বললো, “আই এ্যাম সরি তনয়, প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড।”
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবুল হাসান ০৭/০৮/২০১৫খুব সুন্দর
-
জহরলাল মজুমদার ০৭/০৮/২০১৫দাদা আমার মোবাঃ চুরি হয়ে গেছে নতুন নাম্বার- ০১৯৬৪৫১৯৬৪৫
-
কল্লোল বেপারী ০৬/০৮/২০১৫জমছে বেশ,শুভকামনা রইল।
-
সাইদুর রহমান ০৫/০৮/২০১৫বেশ ভালো লাগছে।
চলুক। -
শ্রীতরুণ গিরি ০৫/০৮/২০১৫বেশ ভালো লাগছে।