’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘-২২ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২২ পর্ব
কাঁদো কাঁদো স্বরে ও বললো, “কই নাতো।”
আমি বললাম, “তাহলে চোখে জল কেন?”
“কই?’’ ব’লে ওড়না দিয়ে চোখ দুটো মুছতে লাগলো।
“আমাকে ভয় পাবার কোন কারণ নেই, আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন; হয়তো আপনার উপকারে নাও লাগতে পারি; তবে .. কোন ক্ষতি হবে না এইটুকু ভরসা আমার প্রতি করতে পারেন্।”
চাঁদ বদনে গ্রহণ যেন এই আশ্বাসে একটু কমলো। তবে কি আমার কথা বিশ্বাস করছে শ্রাবস্তী?
শ্রাবস্তী বললো, “পোশাক পাল্টাবেন না?”
“হ্যাঁ, পাল্টানো দরকার; কিন্তু...।”
শ্রাবস্তী মৃদু হাসলো। মুখটাতে তার আভাস পাওয়া গেল।
আমি বললাম, “এক কাজ করুনÑআপনি একটু বাম দিকে মুখ করে দাঁড়ান, এই ফাঁকে আমি আমার পোশাক বদলিয়ে নিই।”
আমার অনুরোধে সায় দিয়ে ও আমার দিকে পেছন করে দাঁড়াল। আমি ওর দিকে তাকাচ্ছি আর এই দিকে জামার বোতাম খুলে প্যান্টের হুক খুলে নতুন শুকনো পোশাক পরছি। শ্রাবস্তী যদি একটু দুষ্টুমী করে আমার পানে তাকায় তাহলে এই মূহুর্তে আমিও লজ্জা পাবো।
শ্রাবস্তী কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞাসা করল, “হয়েছে?”
“না, খবরদার না। এখন তাকাবেন না।”
“আর কতক্ষন?”
“এই তো হয়ে গেল।”
প্যান্ট পরা হলো। জামাটা পরতে বাকি। প্যান্টের ভেতর জামা ইন করানো হলো ন া । এবার আমি বললাম, “হ্যাঁ হয়েছে।”
শ্রাবস্তী ঘুরে দাঁড়াল। আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখল। আমি বললা, “তোমার তো..? ও সরি, মানে আপনারও তো পোশাক পাল্টানো দরকার।”
শ্রাবস্তী হাসলো। আপনি না বলে তুমি বলে ফেলেছিলাম। সে জন্য না অন্য কারণে বুঝতে পারলাম না। শ্রাবস্তী আমাকে কিছু বলছে না। মেয়েদের নাকি ছেলেদের চেয়ে লজ্জা একটু বেশি মাত্রায় থাকে। ঠিক কিনা জানি না। তবে আমি জানি, মেয়ে কিংবা ছেলে যেই হোক লজ্জাবোধ যার আছে তার আছেই। আমি মনে করি বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকাই হলো সব চেয়ে বড় কথা।
আমি বললাম, “আপনি কি ভেজা পোশাকেই থাকবেন?”
“কী করব বলেন, এখানে কি...?”
আমি বললাম, “ আশেপাশে তেমন কোন বাড়িঘরও দেখছি না, যে সেখানে নিয়ে
চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২২ পর্ব
কাঁদো কাঁদো স্বরে ও বললো, “কই নাতো।”
আমি বললাম, “তাহলে চোখে জল কেন?”
“কই?’’ ব’লে ওড়না দিয়ে চোখ দুটো মুছতে লাগলো।
“আমাকে ভয় পাবার কোন কারণ নেই, আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন; হয়তো আপনার উপকারে নাও লাগতে পারি; তবে .. কোন ক্ষতি হবে না এইটুকু ভরসা আমার প্রতি করতে পারেন্।”
চাঁদ বদনে গ্রহণ যেন এই আশ্বাসে একটু কমলো। তবে কি আমার কথা বিশ্বাস করছে শ্রাবস্তী?
শ্রাবস্তী বললো, “পোশাক পাল্টাবেন না?”
“হ্যাঁ, পাল্টানো দরকার; কিন্তু...।”
শ্রাবস্তী মৃদু হাসলো। মুখটাতে তার আভাস পাওয়া গেল।
আমি বললাম, “এক কাজ করুনÑআপনি একটু বাম দিকে মুখ করে দাঁড়ান, এই ফাঁকে আমি আমার পোশাক বদলিয়ে নিই।”
আমার অনুরোধে সায় দিয়ে ও আমার দিকে পেছন করে দাঁড়াল। আমি ওর দিকে তাকাচ্ছি আর এই দিকে জামার বোতাম খুলে প্যান্টের হুক খুলে নতুন শুকনো পোশাক পরছি। শ্রাবস্তী যদি একটু দুষ্টুমী করে আমার পানে তাকায় তাহলে এই মূহুর্তে আমিও লজ্জা পাবো।
শ্রাবস্তী কৌত’হলী স্বরে জিজ্ঞাসা করল, “হয়েছে?”
“না, খবরদার না। এখন তাকাবেন না।”
“আর কতক্ষন?”
“এই তো হয়ে গেল।”
প্যান্ট পরা হলো। জামাটা পরতে বাকি। প্যান্টের ভেতর জামা ইন করানো হলো ন া । এবার আমি বললাম, “হ্যাঁ হয়েছে।”
শ্রাবস্তী ঘুরে দাঁড়াল। আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখল। আমি বললা, “তোমার তো..? ও সরি, মানে আপনারও তো পোশাক পাল্টানো দরকার।”
শ্রাবস্তী হাসলো। আপনি না বলে তুমি বলে ফেলেছিলাম। সে জন্য না অন্য কারণে বুঝতে পারলাম না। শ্রাবস্তী আমাকে কিছু বলছে না। মেয়েদের নাকি ছেলেদের চেয়ে লজ্জা একটু বেশি মাত্রায় থাকে। ঠিক কিনা জানি না। তবে আমি জানি, মেয়ে কিংবা ছেলে যেই হোক লজ্জাবোধ যার আছে তার আছেই। আমি মনে করি বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকাই হলো সব চেয়ে বড় কথা।
আমি বললাম, “আপনি কি ভেজা পোশাকেই থাকবেন?”
“কী করব বলেন, এখানে কি...?”
আমি বললাম, “ আশেপাশে তেমন কোন বাড়িঘরও দেখছি না, যে সেখানে নিয়ে
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ্রীতরুণ গিরি ০৫/০৮/২০১৫খুব ভালো যাচ্ছে লেখা।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৪/০৮/২০১৫দারুন লিখা
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ০৪/০৮/২০১৫ভালো লাগলো।