www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘-২১ পর্ব

পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২১ পর্ব

টিনের ছাপড়ার নীচে। শ্রাবস্তী ফিরে এলো ওর ওড়না নিয়ে। দু’জনের পোশাকই ভিজে গেছে, শরীরের সাথে আঠার মত লেগে গেছে পোশাক। কী করব ভাবছি, সঙ্গে কোন তোয়ালে নেই। মাথার চুলগুলোকে হাত দিয়ে ঝাড়তে লাগলাম্ শ্রাবস্তীর সামনে জামা খুলতে লজ্জা লাগছে। আমারই যদি এমন লজ্জা লাগে তবে শ্রাবস্তী কী করবে! ব্যাগ থেকে তোয়ালে বের করে শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাল্ শীত-শীত লাগছে, এমনিতে বৃষ্টির জল আমার সহ্য হয় না। তারপর আবার পোশাক বদলাতে পারছি না। আজ নির্ঘাত জ্বর আসবে।
শ্রাবস্তী হঠাৎ বললো, “ তোয়ালে নেবেন?”
আমি বললাম, “না থাক।”
কেউ করুনা করুক আমি তা চাই না। তবে শ্রাবস্তীর এই এগিয়ে আসাকে আমি করুনা বলব না। কারণ ওকে আনতেই গিয়েই আমি ভিজে গেছি। সে জন্য তোয়ালেটা আমি নেব কি না জিজ্ঞেস করল। ও হয়তো বুঝতে পেরেছে আমার ব্যাগে তোয়ালে নেই। থাকলে ব্যাগ থেকে বের করে শরীরের জল মুছতাম। তাই শ্রাবস্তী সাহায্যের হাত বাড়াতে চাচ্ছে।
তোয়ালে আমার দিকে বাড়িয়ে মায়াবী চাহনিতে বলল, “জল বসে যাবে, নিন তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।”
আমি আরা কিছু না বলে তোয়ালে দিয়ে মাথার চুলগুলো মুছতে লাগলাম। লজ্জা করে কোন লাভ নেই। জামা খুলেই ফেলি, প্যান্টটাও বদলানো দরকার। শ্রাবস্তীও আমার মত চিন্তা করছে কিনা কে জানে। আমি ছেলে হওয়ায় এক পর্যায়ে আছি। কিন্তু শ্রাবস্তী মেয়ে বলে ওর সমস্যা অনেক। আমার উৎকণ্ঠা বেড়ে গের। বিশেষ করে শ্রাবস্তী কে নিয়ে। আশে পাশে সে রকম বাড়ি ঘর দেখছি না যেখানে ওকে নিয়ে যাব। ওকে ফেলে রেখে যেতেও পারব না এখন। আমি সংযমী হওয়া সত্ত্বেও শ্রাবস্তীর পানে নজর যেতেই কেমন যেন করছে শরীরটা। তাছাড়া শ্রাবস্তী যেমন সুন্দরী তারপর আবার বৃষ্টির জল পড়ে ওর পোশাকের যে অবস্থা! না.. নির্জনে এই জায়গায় আর বেশিক্ষণ থাকা যাবে না শ্রাবস্তীকে নিয়ে। শ্রাবস্তীর পানে তাকাতেই দেখি সুন্দর চাঁদ মুখখানিতে কিছুটা ভয়ের চিহ্ন ফুঁটে উঠেছে। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। শ্রাবস্তী কি তবে আমাকে ভয় পাচ্ছে? আমাকে কি খারাপ স্বভাবের কোন ছেলে বলে ভাবছে? ছিঃ ছিঃ আমার সম্পর্কে এমন ভাবনা আর কেউ করেছে কি না সন্দেহ আছে। শ্রাবস্তীর সাথে ঘন্টা দু’য়েকের পরিচয়। আমরা কেউ ভাল করে জানি না কে কেমন। বরং শ্রাবস্তীকে একটু শান্তনা দিয়ে দেখি।
“ভয় পা্েছন?”
কোন উত্তর এলো না। কাঁপতে শুরু করেছে ওর শরীর। কী যে সমস্যায় পড়লাম। এমনিতে মেয়েদের ভাল বুঝতে পারি না আমি। কী বলব, কী করব তাও যেন এই মূহুর্তে ভাবতে পারছি না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, “ভয় পাচ্ছেন আমাকে?”
চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৯১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০২/০৮/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অরণ্য ০৩/০৮/২০১৫
    কি সব আলতু-ফালতু লেখেন?
    এটাকে আবার উপন্যাস বলে নাকি?
    • কিশোর কারুণিক ০৪/০৮/২০১৫
      উপন্যাস বলতে কী বোঝেন?...।
      একটি উপন্যাস লিখে প্রকাশ করুন।
      ছদ্দনামে লিখেন কেন?
      ।নিজেকে আড়ালে রেখে ঢিল ছুড়বেন না
  • খুবই সুন্দর।
 
Quantcast