’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৯ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৯ পর্ব
ঘরের মেয়ে। আপনার সাথে হয়তো একটু খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। তার জন্যে আমি লজ্জিত।”
“শ্রাবস্তী কী যেন বলতে গেল আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম, “কিন্তু আপনি আমার পকেট থেকে আমার অজান্তেই রুমাল বের করে নিয়ে আমার সামনেই মুখ মুছতে থাকবেন, এটি কেমন কথা। আপনিই দয়া করে বলুন তো?” শ্রাবস্তী যেন হতবাক। কিছু বলতে পারছে না। আমি যেন ওকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি।
হঠাৎ করে আকাশ ঢেকে গেল কালো মেঘে। ছিপ ছিপিয়ে বৃষ্টি পড়া শুরু হলো। যেন বৃষ্টি আর সময় পেল না। শ্রাবস্তীর মুখটার দিকে তাকাতেই দেখি ওর চোখ দুটো জলে ছল-ছল করছে। ওকে কিছু না বলে আমার ব্যাগটা শ্রাবস্তীর হাত থেকে নিয়ে ওর ব্যাগ রেখে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেখান থেকে ১০/১৫ গজ দূরে ছোট্ট এক টিনের ছাপড়ার নিচে গিয়ে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তী দাঁড়িয়ে থাকলো আগের জায়গায়। আমার সাথে এলো না। হঠাৎ ভাবনা জাগলো ..শ্রাবস্তী আমার রুমালটা তো নাও নিতে পাওে । আমার ব্যাগের চাবি টান দিয়ে খুলতেই দেখি আমার রুমালটা ওখানে। নিজেই নিজের কাছে লজ্জা পেলাম।
বৃষ্টি জোরে জোরে পড়া শুরু করেছে। শ্রাবস্তী এখনো দাঁড়িয়ে আছে। কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে কেউ যদি মিথা দোষ দেয়, তাহলে কেমন যে খারাপ লাগে, তার অভিজ্ঞতা আমার কিছুটা আছে। শ্রাবস্তী আমার ঘনিষ্ট কেউ না হলেও ওর কাছে যে অন্যায় আমি করেছি এখুনি অন্তত ক্ষমা চাওয়া দরকার। ও বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। এক কাজ করি । ডাক দিই ওকে..এখানে আসার জন্য।
“শ্রাবস্তী এখানে এসো।”
নিজের অজান্তেই যেন বলে ফেলেছি! “শ্রাবস্তী তাকাল কিন্তু আমার কথায় কোন সায় দিল না। আবার ডাকলাম “এখানে আসেন, বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছেন তো!
কোন উত্তর নেই।আমি আর শ্রাবস্তী, আশে পাশে কোন লোকজনও নেই। আমি অটরিচিত এক ছেলে বলেই নির্জন এই জায়গায় হয়তো লজ্জাবশত শ্রাবস্তী আসছে না।
আমি দৌড় দিয়ে শ্রাবস্তীর কাছে গিয়ে হাত ধরে আর এক হাতে ব্যাগটা নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী ওর হাত ঝাড়া দিয়ে আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলো। চোখে-মুখে স্পষ্ট ঘৃণার আভাস। এ মূর্হুতে ঘৃণা পাওয়ার কাজ আমি করেছি। কিন্তু আমি তো খারাপ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এমন করিনি।
“দেখুন , আমার ভুল হয়ে গেছে। রুমালটা আমি পেয়েছি। আমার ব্যাগের ভেতর ছিলÑআমার উপর রাগ করে বৃষ্টিতে ভিজবেন না। আসলেই আমি লজ্জিত আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।”
এক নিঃশ্বাসে বলে ফেরলাম। শ্রাবস্তী আমার পানে তাকাল। চোখে চোখ পড়ল, তাতে রাগ যেন কিছুটা কমলো। ওর ব্যাগটা ও হাতে নিতে গেল।
আমি বললাম, “ব্যাগ আমি নিচ্ছি, আপনি দৌড় দেন।”
চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৯ পর্ব
ঘরের মেয়ে। আপনার সাথে হয়তো একটু খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। তার জন্যে আমি লজ্জিত।”
“শ্রাবস্তী কী যেন বলতে গেল আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম, “কিন্তু আপনি আমার পকেট থেকে আমার অজান্তেই রুমাল বের করে নিয়ে আমার সামনেই মুখ মুছতে থাকবেন, এটি কেমন কথা। আপনিই দয়া করে বলুন তো?” শ্রাবস্তী যেন হতবাক। কিছু বলতে পারছে না। আমি যেন ওকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি।
হঠাৎ করে আকাশ ঢেকে গেল কালো মেঘে। ছিপ ছিপিয়ে বৃষ্টি পড়া শুরু হলো। যেন বৃষ্টি আর সময় পেল না। শ্রাবস্তীর মুখটার দিকে তাকাতেই দেখি ওর চোখ দুটো জলে ছল-ছল করছে। ওকে কিছু না বলে আমার ব্যাগটা শ্রাবস্তীর হাত থেকে নিয়ে ওর ব্যাগ রেখে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেখান থেকে ১০/১৫ গজ দূরে ছোট্ট এক টিনের ছাপড়ার নিচে গিয়ে দাঁড়ালাম। শ্রাবস্তী দাঁড়িয়ে থাকলো আগের জায়গায়। আমার সাথে এলো না। হঠাৎ ভাবনা জাগলো ..শ্রাবস্তী আমার রুমালটা তো নাও নিতে পাওে । আমার ব্যাগের চাবি টান দিয়ে খুলতেই দেখি আমার রুমালটা ওখানে। নিজেই নিজের কাছে লজ্জা পেলাম।
বৃষ্টি জোরে জোরে পড়া শুরু করেছে। শ্রাবস্তী এখনো দাঁড়িয়ে আছে। কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে কেউ যদি মিথা দোষ দেয়, তাহলে কেমন যে খারাপ লাগে, তার অভিজ্ঞতা আমার কিছুটা আছে। শ্রাবস্তী আমার ঘনিষ্ট কেউ না হলেও ওর কাছে যে অন্যায় আমি করেছি এখুনি অন্তত ক্ষমা চাওয়া দরকার। ও বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। এক কাজ করি । ডাক দিই ওকে..এখানে আসার জন্য।
“শ্রাবস্তী এখানে এসো।”
নিজের অজান্তেই যেন বলে ফেলেছি! “শ্রাবস্তী তাকাল কিন্তু আমার কথায় কোন সায় দিল না। আবার ডাকলাম “এখানে আসেন, বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছেন তো!
কোন উত্তর নেই।আমি আর শ্রাবস্তী, আশে পাশে কোন লোকজনও নেই। আমি অটরিচিত এক ছেলে বলেই নির্জন এই জায়গায় হয়তো লজ্জাবশত শ্রাবস্তী আসছে না।
আমি দৌড় দিয়ে শ্রাবস্তীর কাছে গিয়ে হাত ধরে আর এক হাতে ব্যাগটা নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী ওর হাত ঝাড়া দিয়ে আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলো। চোখে-মুখে স্পষ্ট ঘৃণার আভাস। এ মূর্হুতে ঘৃণা পাওয়ার কাজ আমি করেছি। কিন্তু আমি তো খারাপ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এমন করিনি।
“দেখুন , আমার ভুল হয়ে গেছে। রুমালটা আমি পেয়েছি। আমার ব্যাগের ভেতর ছিলÑআমার উপর রাগ করে বৃষ্টিতে ভিজবেন না। আসলেই আমি লজ্জিত আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।”
এক নিঃশ্বাসে বলে ফেরলাম। শ্রাবস্তী আমার পানে তাকাল। চোখে চোখ পড়ল, তাতে রাগ যেন কিছুটা কমলো। ওর ব্যাগটা ও হাতে নিতে গেল।
আমি বললাম, “ব্যাগ আমি নিচ্ছি, আপনি দৌড় দেন।”
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিমূর্ত পথিক ০১/০৮/২০১৫খুব ভালো লাগছে। তবে একটানে সম্পূর্ণটা পড়তে পারলে আরো ভালো লাগলো।
-
কিশোর কারুণিক ৩১/০৭/২০১৫ধন্যবাদ
-
জে এস সাব্বির ৩১/০৭/২০১৫যতই পড়ছি ততই ভাল লাগছে ।চালিয়ে যান
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ৩১/০৭/২০১৫ভালো লাগলো চরিত্র বিশ্লেষণ, মনের কথা । লিখতে থাকুন এইভাবে।