’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৮ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
------কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৮ পর্ব
বিশ্রী গরম পড়ছে। শরীর থেকে ঘাম ঝড়ছে। একটু দুর্বল লাগছে শরীরটা। একটু বৃষ্টি হওয়া দরকার। পাশে এক বট গাছ দেখে ব্যাগটা হাত থেকে নামিয়ে বললাম, “এখানে একটু দাঁড়ানো যাক।”
শ্রাবস্তী দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আমি বটগাছে হেলান দিলাম। শ্রাবস্তী আমার সামনে এক হাত দূরে দাঁড়াল। ঘামে জামাটা পুরোপুরি ভিজে গেছে। মনে হচ্ছে জামাটা খুলে ফেলি।
শ্রাবস্তীও ঘেমে গিয়েছে। কাছ থেকে ওকে যত দেখছি ততই যেন সুন্দর লাগছে। রুমাল দিয়ে মুখ আলতো করে মুছতে লাগল শ্রাবস্তী। আমি রুমাল বের করতে যেয়ে হাত দিয়ে অনুভব করলাম ..পকেটে রুমাল নেই। শ্রাবস্তীর হাতের দিকে নজর যেতেই দেখি আমার রুমাল ওর হাতে। আমি অবাক হয়ে গেলণাম। কখন রুমালটা পকেট থেকে বের করে নিলো শ্রাবস্তী? না..শ্রাবস্তীর সাথে আর এক মিনিটও সঙ্গ দেওয়া ঠিক হবে না। একটা বোঝাপড়া হয়ে যাক ওর সাথে।
“আচ্ছা আপনি আমাকে কী মনে করেছেন?”
শ্রাবস্তী একটু যেন থতমত খেয়ে গেল। আমি কী বলছি ও যেন বুঝতে পারছি না।
একটু বিস্ময়ে বলল, “কী বলছেন আপনি?”
একটু কর্কশ স্বরে বললাম, “বলি হাতের রুমালটা কখন বের করে নিলেন শুনি?”
“কী সব আজেবাজে বলছেন? আপনার রুমাল আমি নিতে যাব কেন?”
বিড়বিড় করে বললাম, “জবর কথা তো। পকেট থেকে নেবে আবার বড়-বড় কথা বলবে।”
একটু উচ্চস্বরে চোখ বড় বড় করে বললাম, “ এবার কিন্তু পুলিশ ডাকবো।”
শ্রাবস্তী এবার হাত নাড়িয়ে কথা বলা শুরু করলো, “ ভদ্রভাবে কথা বলেন।”
“ভদ্রভাবে মানে । আপনার সাথে কী অভদ্রতা করলাম? আরে আপনিই তো আমাপকে ব্লাকমেইল করার কৌশল প্রয়োগ করছেন। আমাকে এতোই বোকা ভেবেছেন?”
শ্রাবস্তী চোখ থেখে সানগ্লাস খুলে ফেললো। মারামারি করবে নাকি? বুকের ওপর থাকা ওড়নাটা ঠিক করেন নিলো। একটু ভয় পেলাম। মেয়েদের সাথে কোন দিন মারামারি করিনি। ছেলে হলে এক্ষুনি নাকে এক ঘুসি মেরে দিতাম। শ্রাবস্তীর নাকটা খুব সুন্দর। না এত সুন্দর নাকে ঘুসি মারার দরকার নেই। তবে কি চোয়ালে চড় মরাব? না চুলগুলো যেভাবে ঠোল দিচ্ছে চড় দিলে হয়তো ও অঞ্জান হয়ে যেতে পারে। মেয়েদের শরীর নাকি দুর্বল হয় পুরুষদের তুলনায়। তবে কি ল্যাঙ মেরে মাটিতে ফেলে দেব? তাতে ও বুঝতে পারবে, আমার সাথে খারাপ ব্যবাহার করার কেমন শাস্তি। না, তাও করা যাবে না। উল্টো আমাকেই গণধোলাই খেতে হবে শ্রাবস্তীর শরীরে হাত দেওয়াতে। একটু নম্র হয়ে বললাম, “দেখুন আমি বুঝেছি আপনি ভদ্র----
চলবে
------কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৮ পর্ব
বিশ্রী গরম পড়ছে। শরীর থেকে ঘাম ঝড়ছে। একটু দুর্বল লাগছে শরীরটা। একটু বৃষ্টি হওয়া দরকার। পাশে এক বট গাছ দেখে ব্যাগটা হাত থেকে নামিয়ে বললাম, “এখানে একটু দাঁড়ানো যাক।”
শ্রাবস্তী দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আমি বটগাছে হেলান দিলাম। শ্রাবস্তী আমার সামনে এক হাত দূরে দাঁড়াল। ঘামে জামাটা পুরোপুরি ভিজে গেছে। মনে হচ্ছে জামাটা খুলে ফেলি।
শ্রাবস্তীও ঘেমে গিয়েছে। কাছ থেকে ওকে যত দেখছি ততই যেন সুন্দর লাগছে। রুমাল দিয়ে মুখ আলতো করে মুছতে লাগল শ্রাবস্তী। আমি রুমাল বের করতে যেয়ে হাত দিয়ে অনুভব করলাম ..পকেটে রুমাল নেই। শ্রাবস্তীর হাতের দিকে নজর যেতেই দেখি আমার রুমাল ওর হাতে। আমি অবাক হয়ে গেলণাম। কখন রুমালটা পকেট থেকে বের করে নিলো শ্রাবস্তী? না..শ্রাবস্তীর সাথে আর এক মিনিটও সঙ্গ দেওয়া ঠিক হবে না। একটা বোঝাপড়া হয়ে যাক ওর সাথে।
“আচ্ছা আপনি আমাকে কী মনে করেছেন?”
শ্রাবস্তী একটু যেন থতমত খেয়ে গেল। আমি কী বলছি ও যেন বুঝতে পারছি না।
একটু বিস্ময়ে বলল, “কী বলছেন আপনি?”
একটু কর্কশ স্বরে বললাম, “বলি হাতের রুমালটা কখন বের করে নিলেন শুনি?”
“কী সব আজেবাজে বলছেন? আপনার রুমাল আমি নিতে যাব কেন?”
বিড়বিড় করে বললাম, “জবর কথা তো। পকেট থেকে নেবে আবার বড়-বড় কথা বলবে।”
একটু উচ্চস্বরে চোখ বড় বড় করে বললাম, “ এবার কিন্তু পুলিশ ডাকবো।”
শ্রাবস্তী এবার হাত নাড়িয়ে কথা বলা শুরু করলো, “ ভদ্রভাবে কথা বলেন।”
“ভদ্রভাবে মানে । আপনার সাথে কী অভদ্রতা করলাম? আরে আপনিই তো আমাপকে ব্লাকমেইল করার কৌশল প্রয়োগ করছেন। আমাকে এতোই বোকা ভেবেছেন?”
শ্রাবস্তী চোখ থেখে সানগ্লাস খুলে ফেললো। মারামারি করবে নাকি? বুকের ওপর থাকা ওড়নাটা ঠিক করেন নিলো। একটু ভয় পেলাম। মেয়েদের সাথে কোন দিন মারামারি করিনি। ছেলে হলে এক্ষুনি নাকে এক ঘুসি মেরে দিতাম। শ্রাবস্তীর নাকটা খুব সুন্দর। না এত সুন্দর নাকে ঘুসি মারার দরকার নেই। তবে কি চোয়ালে চড় মরাব? না চুলগুলো যেভাবে ঠোল দিচ্ছে চড় দিলে হয়তো ও অঞ্জান হয়ে যেতে পারে। মেয়েদের শরীর নাকি দুর্বল হয় পুরুষদের তুলনায়। তবে কি ল্যাঙ মেরে মাটিতে ফেলে দেব? তাতে ও বুঝতে পারবে, আমার সাথে খারাপ ব্যবাহার করার কেমন শাস্তি। না, তাও করা যাবে না। উল্টো আমাকেই গণধোলাই খেতে হবে শ্রাবস্তীর শরীরে হাত দেওয়াতে। একটু নম্র হয়ে বললাম, “দেখুন আমি বুঝেছি আপনি ভদ্র----
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৪/১১/২০১৭উপন্যাসের নামটা একটু বড় হয়ে গেছে।
-
আবু সাহেদ সরকার ৩১/০৭/২০১৫বেশ সুন্দর লাগলো কবি।