’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৭ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৭ পর্ব
তুলতুলে নরম হাত। আমি শক্ত করে ধরে টান দিতেই শ্রাবস্তী উঠে দাঁড়াল। হাত ছেড়ে দিলাম।
শ্রাবস্তী একটু নার্ভাস-নার্ভাস লাগছ্ েশ্রাবস্তী পরিধানের পোশাকে হাত দিয়ে ধুলো ঝাড়তে লাগল। হাতে থাকা রুমাল দিয়ে মুখটা মুছল আলতো ভাবে। পায়ে থাকা হিলটাও ঠিক করে নিল। হ্যাঁ, নিজেকে স্বভাবিক করে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে সানগ্লাস বের করে পড়লে ওকে আরো সুন্দরী মনে হলো। শ্রাবস্তী ওর ব্যাগ নিতে গেলে বুঝতে পারলাম, এই ভারী ব্যাগ হাতে করে হাঁটা শ্রাবস্তীর পক্ষে সম্ভব না। তাই বলতে বাধ্য হলাম, “আপনার ব্যাগটা আমার হাতে দিন।”
“খুব ভারী যে!”
“তাতে কী হয়েছে?”
“তাহলে আপনার ব্যাগটা আমার কাছে দিন। ওটা হালকা আমি নিতে পারব।”
“ঠিক আছে, নিন।”
দু’জনে হাঁটা শুরু করলাম। আমি আগে, শ্রাবস্তী পেছনে। কেউ ভাববে হয়তো আমাদের মাঝে ঘনিষ্ঠ কোন সম্পর্ক আছে। আসলেই ভারী ব্যাগটা। কী আছে ব্যাগের ভেতর? জিজ্ঞাসা করব! না থাক। অন্য কিছু যদি মনে করে শ্রাবস্তী। ৭/৮ মিনিট হয়ে গেল প্রায়, আমাদের মাঝে কোন কথা বার্তা চলছে না। কী ঝামেলায় পড়লাম। এক অপরিচিত মেয়ের সাথে মেশা হয়তো ঠিক হচ্ছে না।
শ্রাবস্তী বলল, “আপনাকে শুধু শুধু ঝামেলায় ফেললাম।”
আমি বললাম, “ তাই নাকি?”
“ঝামেলা না! আমার জন্যে আপনসাকে শুধু শুধু কষ্ট করতে হচ্ছে।”
“কষ্ট আর কই?”
শ্রাবস্তী প্রশ্ন করছে আমি উত্তর দিচ্ছি। আমার সাথে হেঁটে পারছে না। আমার নাগাল পেতেই মাঝে-মদ্যে লাফ দেবার মত কওে পা ফেলছে।
“আপনি তো খুব জোড়ে জোড়ে হাঁটতে পারেন।?”
কৌত’হলী স্বরে বললাম, “তাই নাকি?”
“হ্যাঁ, আমি আপনার সাথে হেঁটে পারছি না।”
“তবে কি আমি আস্তে হাঁটব?”
“যদি কিছু মনে না করেন।”
আমি আস্তে হাঁটা শু“রু করলাম। আমি যে জোরে-জোরে হাঁটতে পারি, তা আমার জানা ছিল না। শ্রাবস্তী যেভাবে কথা বলছে এখন যেন আমি ওর আপন জন। ওর সাথে কিছুক্ষণ আগে যে তিক্ততা হয়েছে তা ওর কথাবার্তায় এখন আর বোঝা যাচ্ছে না। বুঝলাম শ্রাবস্তী বুদ্ধিমতী মেয়ে । কত ছেলের মাথা খেয়েছে কে জানে! হয়তো আমার মাথা খারাপ করার যত কৌশল ও আমার ওপর প্রয়োগ করছে।
আমার পাশে চলে এসেছে শ্রাবস্তী । এক সাথে পা ফেলার ছন্দ শুরু হলো। শ্রাবস্তীর ইচ্ছামত যেন সব করছি এই মূহুর্তে। আমি তবে কি শ্রাবস্তীর প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছি?
চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৭ পর্ব
তুলতুলে নরম হাত। আমি শক্ত করে ধরে টান দিতেই শ্রাবস্তী উঠে দাঁড়াল। হাত ছেড়ে দিলাম।
শ্রাবস্তী একটু নার্ভাস-নার্ভাস লাগছ্ েশ্রাবস্তী পরিধানের পোশাকে হাত দিয়ে ধুলো ঝাড়তে লাগল। হাতে থাকা রুমাল দিয়ে মুখটা মুছল আলতো ভাবে। পায়ে থাকা হিলটাও ঠিক করে নিল। হ্যাঁ, নিজেকে স্বভাবিক করে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে সানগ্লাস বের করে পড়লে ওকে আরো সুন্দরী মনে হলো। শ্রাবস্তী ওর ব্যাগ নিতে গেলে বুঝতে পারলাম, এই ভারী ব্যাগ হাতে করে হাঁটা শ্রাবস্তীর পক্ষে সম্ভব না। তাই বলতে বাধ্য হলাম, “আপনার ব্যাগটা আমার হাতে দিন।”
“খুব ভারী যে!”
“তাতে কী হয়েছে?”
“তাহলে আপনার ব্যাগটা আমার কাছে দিন। ওটা হালকা আমি নিতে পারব।”
“ঠিক আছে, নিন।”
দু’জনে হাঁটা শুরু করলাম। আমি আগে, শ্রাবস্তী পেছনে। কেউ ভাববে হয়তো আমাদের মাঝে ঘনিষ্ঠ কোন সম্পর্ক আছে। আসলেই ভারী ব্যাগটা। কী আছে ব্যাগের ভেতর? জিজ্ঞাসা করব! না থাক। অন্য কিছু যদি মনে করে শ্রাবস্তী। ৭/৮ মিনিট হয়ে গেল প্রায়, আমাদের মাঝে কোন কথা বার্তা চলছে না। কী ঝামেলায় পড়লাম। এক অপরিচিত মেয়ের সাথে মেশা হয়তো ঠিক হচ্ছে না।
শ্রাবস্তী বলল, “আপনাকে শুধু শুধু ঝামেলায় ফেললাম।”
আমি বললাম, “ তাই নাকি?”
“ঝামেলা না! আমার জন্যে আপনসাকে শুধু শুধু কষ্ট করতে হচ্ছে।”
“কষ্ট আর কই?”
শ্রাবস্তী প্রশ্ন করছে আমি উত্তর দিচ্ছি। আমার সাথে হেঁটে পারছে না। আমার নাগাল পেতেই মাঝে-মদ্যে লাফ দেবার মত কওে পা ফেলছে।
“আপনি তো খুব জোড়ে জোড়ে হাঁটতে পারেন।?”
কৌত’হলী স্বরে বললাম, “তাই নাকি?”
“হ্যাঁ, আমি আপনার সাথে হেঁটে পারছি না।”
“তবে কি আমি আস্তে হাঁটব?”
“যদি কিছু মনে না করেন।”
আমি আস্তে হাঁটা শু“রু করলাম। আমি যে জোরে-জোরে হাঁটতে পারি, তা আমার জানা ছিল না। শ্রাবস্তী যেভাবে কথা বলছে এখন যেন আমি ওর আপন জন। ওর সাথে কিছুক্ষণ আগে যে তিক্ততা হয়েছে তা ওর কথাবার্তায় এখন আর বোঝা যাচ্ছে না। বুঝলাম শ্রাবস্তী বুদ্ধিমতী মেয়ে । কত ছেলের মাথা খেয়েছে কে জানে! হয়তো আমার মাথা খারাপ করার যত কৌশল ও আমার ওপর প্রয়োগ করছে।
আমার পাশে চলে এসেছে শ্রাবস্তী । এক সাথে পা ফেলার ছন্দ শুরু হলো। শ্রাবস্তীর ইচ্ছামত যেন সব করছি এই মূহুর্তে। আমি তবে কি শ্রাবস্তীর প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছি?
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৪/১১/২০১৭সুন্দর লেখা
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ৩০/০৭/২০১৫বা বা বেশ ভালো ...
-
অ ২৯/০৭/২০১৫বেশ লাগছে ।
চালিয়ে যান । -
মোহাম্মদ আবুল হোসেন ২৯/০৭/২০১৫ভাল