’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৬ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৬ পর্ব
“আমার একা যেতে ভয় করছে।”
“কেন, এই জায়গা আপনি চেনেন না?”
“না।”
“ও।”
আমাকে ভয় লাগছে না শ্রাবস্তীর অথচ ও একা। হয়তো আমার প্রতি ওর ভাল ধারণা জন্মেছে। সে জন্যেই ও অনুরোধ করতে কুণ্ঠিত হলো না। বেচারীরর এর আগে একশো টাকা খোয়া গিয়েছে। গিয়েই দেখি না ওর সাথে টাকা ভাঙাতে। দেখি ও কী করে- - -।
আমি বললাম, “ তাহলে চলেন।”
“ব্যাগ কি এখানে থাকবে?”
“না-না, এখানে রাখা যায় নাকি? কে আবার ঐ একশো টাকার মত নিয়ে যাবে নিজের জিনিস মনে করে।”
“ঠিক আছে চলুন।”
শ্রাবস্তী ওর ব্যাগটা নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। কিছুদুর না যেতেই বাম হাত ডান হাত করছে ব্যাগটা। আমার সাথে ছোট ব্যাগ থাকায় কোন সমস্যা হচ্ছিল না। আমি আগে আগে হেঁটে যাচ্ছি। ছোট-ছোট ইট, পাথর রেল লাইানে তার উপর শ্রাবস্তীর পায়ে হিল জুতা পরা। হাতে ১০/১২ কেজি ওজনের ব্যাগ। হাঁটতে একটু কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হচ্ছ্
ে “ও মাগো-গো।”
শ্রাবস্তীর কণ্ঠস্বর শুনে পেছনে তাকাতেই দেখি শ্রাবস্তী ইট পাথরের উপর। ও পড়ে গিয়েছ্ েআমি দ্রুত পেছন ফিরে শ্রাবস্তীর কাছে ফিরে আসি। আমাদের আশে পাশে এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা কারোর বিপদে উপকার না করে শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেÑইস কি করে হলো! ইত্যাদি। আমি শ্রাবস্তীকে তেমন কিছু না বলে শ্রাবস্তীর ব্যাগটা হাতে নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী উঠতে যেয়ে বললো, “না থাক, আমি পারব।”
শ্রাবস্তী এমন ভাবে পড়েছে, উঠতে পারছে না। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। খুব যেন ব্যথা পেয়েছে। শ্রাবস্তীর প্রতি কেমন মায়্ াহল্ োওর দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম।
শ্রাবস্তী বলল, “ না, থাক।”
শ্রাবস্তী একা-একা উঠবার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। মায়াবী চাহনিতে আমার পানে তাকাল। শ্রাবস্তীর চোখ দুটো জলে ছল-ছল করছে। হয়তো শ্রাবস্তী এই মূহুর্তে ওর আপন জনের সান্নিধ্যের অভাব বোধ করছে। বিপদে পড়লে আপন জনের কথাই মনে পড়ে বলে শুনেছি। যাকে কেন্দ্র করে রাগ, অভিমান, অভিযোগ সৃষ্টি হয়্ কত অভিযোগ, অভিমান বলে শেষ করা যাবে না। একেক জনের আবেগ একেক রকম। মেয়েরা নাকি এ ব্যাপারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে শ্রাবস্তীও এর ব্যতিক্রম না। আমি আবার হাত বাড়িয়ে দিলে এবার শ্রাবস্তী না করল না। শ্রাবস্তীও হাত বাড়িয়ে দিলো।
নিয়মিত চলবো।
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৬ পর্ব
“আমার একা যেতে ভয় করছে।”
“কেন, এই জায়গা আপনি চেনেন না?”
“না।”
“ও।”
আমাকে ভয় লাগছে না শ্রাবস্তীর অথচ ও একা। হয়তো আমার প্রতি ওর ভাল ধারণা জন্মেছে। সে জন্যেই ও অনুরোধ করতে কুণ্ঠিত হলো না। বেচারীরর এর আগে একশো টাকা খোয়া গিয়েছে। গিয়েই দেখি না ওর সাথে টাকা ভাঙাতে। দেখি ও কী করে- - -।
আমি বললাম, “ তাহলে চলেন।”
“ব্যাগ কি এখানে থাকবে?”
“না-না, এখানে রাখা যায় নাকি? কে আবার ঐ একশো টাকার মত নিয়ে যাবে নিজের জিনিস মনে করে।”
“ঠিক আছে চলুন।”
শ্রাবস্তী ওর ব্যাগটা নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। কিছুদুর না যেতেই বাম হাত ডান হাত করছে ব্যাগটা। আমার সাথে ছোট ব্যাগ থাকায় কোন সমস্যা হচ্ছিল না। আমি আগে আগে হেঁটে যাচ্ছি। ছোট-ছোট ইট, পাথর রেল লাইানে তার উপর শ্রাবস্তীর পায়ে হিল জুতা পরা। হাতে ১০/১২ কেজি ওজনের ব্যাগ। হাঁটতে একটু কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হচ্ছ্
ে “ও মাগো-গো।”
শ্রাবস্তীর কণ্ঠস্বর শুনে পেছনে তাকাতেই দেখি শ্রাবস্তী ইট পাথরের উপর। ও পড়ে গিয়েছ্ েআমি দ্রুত পেছন ফিরে শ্রাবস্তীর কাছে ফিরে আসি। আমাদের আশে পাশে এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা কারোর বিপদে উপকার না করে শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেÑইস কি করে হলো! ইত্যাদি। আমি শ্রাবস্তীকে তেমন কিছু না বলে শ্রাবস্তীর ব্যাগটা হাতে নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী উঠতে যেয়ে বললো, “না থাক, আমি পারব।”
শ্রাবস্তী এমন ভাবে পড়েছে, উঠতে পারছে না। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। খুব যেন ব্যথা পেয়েছে। শ্রাবস্তীর প্রতি কেমন মায়্ াহল্ োওর দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম।
শ্রাবস্তী বলল, “ না, থাক।”
শ্রাবস্তী একা-একা উঠবার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। মায়াবী চাহনিতে আমার পানে তাকাল। শ্রাবস্তীর চোখ দুটো জলে ছল-ছল করছে। হয়তো শ্রাবস্তী এই মূহুর্তে ওর আপন জনের সান্নিধ্যের অভাব বোধ করছে। বিপদে পড়লে আপন জনের কথাই মনে পড়ে বলে শুনেছি। যাকে কেন্দ্র করে রাগ, অভিমান, অভিযোগ সৃষ্টি হয়্ কত অভিযোগ, অভিমান বলে শেষ করা যাবে না। একেক জনের আবেগ একেক রকম। মেয়েরা নাকি এ ব্যাপারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে শ্রাবস্তীও এর ব্যতিক্রম না। আমি আবার হাত বাড়িয়ে দিলে এবার শ্রাবস্তী না করল না। শ্রাবস্তীও হাত বাড়িয়ে দিলো।
নিয়মিত চলবো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ৩০/০৭/২০১৫ভালো লাগলো বেশ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৯/০৭/২০১৫ঘটনার বিশ্লেষণটা খুবই ভালো লাগলো। পাতায় নতুন এসেছি। সময় লাগবে সব পড়তে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।