’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১১ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১১ পর্ব
পড়ে? আর আমার যখন অর্ধেক পড়া হলো ঠিক তখনই শ্রাবস্তীও নিজের কথা বলল। শ্রাবস্তী অশররিী কিছু না তো। ভাবতেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠল্ আমার পছন্দের বই ওর কাছে কেন? আমিই বা কিসের মোহে এখান থেকে সরে যেতে পারছি না। অদ্ভুত সব চিন্তা মাথার ভিতর দৌড় ঝাপ করতে শুরু করেছে।
শ্রাবস্তী বললো, “কী হলো, এতো ভাবছেন ?”
দিবা স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। “নাÑকি আর ভাববো।” বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তীর চোখ দুটো খুবই বুদ্ধিদীপ্ত। মনে হয় সব বুঝতে পারছে ও । আমিও এবার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিই। ও যেন আসল ভাব বুঝতে না পারে।
বইটা বন্ধ করে বললাম, “ভালোই তো হলো।”
শ্রাবস্তী কৌত’হলী ভঙ্গিমায় বললো, “আবার কী হলো।”
“আপনি শেষের অর্ধেকটা পড়েছেন আমি শেষের অর্ধেকটা পড়া শেষ করলাম।”
“ও , আমি মনে করেছি কী না কী।”
কী না কী মানে! শ্রাবস্তী কি অন্য কিছু ভাবছে? কী ভাবতে পারে? ইস ! যদি অন্তর্যামী হতে পারতামÑতাহলে বুঝতে পারতাম। মানুষের মন যে বুঝতে পারে, সেই নাকি মানুষের মধ্যে উত্তম। কয়টি মানুষ বুঝতে পােে অপর মানুষের মনের কথা! আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। শ্রাবস্তী কি ভাবছে আমি উত্তম মানুষ না? আসলে আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। শ্রাবস্তীকে বইটা ফেতর দিয়ে দিই। বইটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বররাম, “ আপনার বইটা রাখুন।”
শ্রাবস্তী মৃদু হাসি দিয়ে বললো, “ কেন ,আর পড়বেন না?”
“না,এই মূহুর্তে আর ভাললাগছে না।”
শ্রাবস্তী বইটা আমার হাত থেতে নিয়ে নিলো। ও তো আর একবার অনুরোধ করতে পারতো। কেন এমন মনে হলো বুঝতে পারছি না।
“তিলেখাজা খাবেন।?”
শ্রাবস্তী ব্যাগ থেকে তিলেখাজা বের করেছে। না বাবা কী মেশানো আছে কে জানে। এবার মনে হচ্ছে শ্রাবস্তী এত সুন্দর হলেও এর ভিতরের জগৎ অন্ধকার। শ্রাবস্তী নিশ্চয় কোন ছিনতাইকারী দলের সদস্য আমি তিলেখাজা যেমনি খাব, তেমনি অজ্ঞান হয়ে যাব। তারপর আমার সবকিছু নিয়ে ও উধাও হবে।
“কী হলো, কী ভাবছেন এতো?”
“কই।”
শ্রাবস্তী বললো, “তিলেখাজা খাবেন?”
“না, আমার ক্ষিধে নেই।”
“আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন?”
“কই না তো । আপনাকে সন্দেহ করার কিছু আছে নাকি?”
শ্রাবস্তী একটু রেগে গিয়ে বললো, “ কী বলতে চাচ্ছেন আপনি?”
“কই কিছু না তো। আপনাকে কী বলব আমি?”
শ্রাবস্তী ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একশো টাকার নোটটি বের করে বললো, “টাকাটা---
নিয়মিত চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১১ পর্ব
পড়ে? আর আমার যখন অর্ধেক পড়া হলো ঠিক তখনই শ্রাবস্তীও নিজের কথা বলল। শ্রাবস্তী অশররিী কিছু না তো। ভাবতেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠল্ আমার পছন্দের বই ওর কাছে কেন? আমিই বা কিসের মোহে এখান থেকে সরে যেতে পারছি না। অদ্ভুত সব চিন্তা মাথার ভিতর দৌড় ঝাপ করতে শুরু করেছে।
শ্রাবস্তী বললো, “কী হলো, এতো ভাবছেন ?”
দিবা স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। “নাÑকি আর ভাববো।” বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তীর চোখ দুটো খুবই বুদ্ধিদীপ্ত। মনে হয় সব বুঝতে পারছে ও । আমিও এবার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিই। ও যেন আসল ভাব বুঝতে না পারে।
বইটা বন্ধ করে বললাম, “ভালোই তো হলো।”
শ্রাবস্তী কৌত’হলী ভঙ্গিমায় বললো, “আবার কী হলো।”
“আপনি শেষের অর্ধেকটা পড়েছেন আমি শেষের অর্ধেকটা পড়া শেষ করলাম।”
“ও , আমি মনে করেছি কী না কী।”
কী না কী মানে! শ্রাবস্তী কি অন্য কিছু ভাবছে? কী ভাবতে পারে? ইস ! যদি অন্তর্যামী হতে পারতামÑতাহলে বুঝতে পারতাম। মানুষের মন যে বুঝতে পারে, সেই নাকি মানুষের মধ্যে উত্তম। কয়টি মানুষ বুঝতে পােে অপর মানুষের মনের কথা! আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। শ্রাবস্তী কি ভাবছে আমি উত্তম মানুষ না? আসলে আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। শ্রাবস্তীকে বইটা ফেতর দিয়ে দিই। বইটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বররাম, “ আপনার বইটা রাখুন।”
শ্রাবস্তী মৃদু হাসি দিয়ে বললো, “ কেন ,আর পড়বেন না?”
“না,এই মূহুর্তে আর ভাললাগছে না।”
শ্রাবস্তী বইটা আমার হাত থেতে নিয়ে নিলো। ও তো আর একবার অনুরোধ করতে পারতো। কেন এমন মনে হলো বুঝতে পারছি না।
“তিলেখাজা খাবেন।?”
শ্রাবস্তী ব্যাগ থেকে তিলেখাজা বের করেছে। না বাবা কী মেশানো আছে কে জানে। এবার মনে হচ্ছে শ্রাবস্তী এত সুন্দর হলেও এর ভিতরের জগৎ অন্ধকার। শ্রাবস্তী নিশ্চয় কোন ছিনতাইকারী দলের সদস্য আমি তিলেখাজা যেমনি খাব, তেমনি অজ্ঞান হয়ে যাব। তারপর আমার সবকিছু নিয়ে ও উধাও হবে।
“কী হলো, কী ভাবছেন এতো?”
“কই।”
শ্রাবস্তী বললো, “তিলেখাজা খাবেন?”
“না, আমার ক্ষিধে নেই।”
“আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন?”
“কই না তো । আপনাকে সন্দেহ করার কিছু আছে নাকি?”
শ্রাবস্তী একটু রেগে গিয়ে বললো, “ কী বলতে চাচ্ছেন আপনি?”
“কই কিছু না তো। আপনাকে কী বলব আমি?”
শ্রাবস্তী ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একশো টাকার নোটটি বের করে বললো, “টাকাটা---
নিয়মিত চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২৪/০৭/২০১৫অপেক্ষাতে থাকলাম, ভালো হয়েছে।
-
জহরলাল মজুমদার ২৩/০৭/২০১৫পরলাম দাদা