পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১০ পর্ব
পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১০ পর্ব
খারাপ ব্যবহার করব না। আমি নাাকি মোটামুটি ভদ্র,তাছাড়া ওর মুখ থেকেই আমার সম্পর্কে উত্তর পেয়েছি যে আমি নাাকি মধ্যবর্তী অবস্থানে আছি। ভাবতেই বেশ হাসি পাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষন সময় হলো শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাচ্ছে না। কী জানি কী ভাবছে! আমি যেমন ভাবছি ওকে নিয়ে, ও কি ভাবছে আমাকে নিয়ে? জীবনানন্দ দাসের বইটা এখনও শ্রাবস্তী কোলের উপর । বইটা কি শ্রাবস্তীর কাছ থেকে চেয়ে দেখব? যদি না দেয়, তাহলে তো অপমান বোধ করব। আর অপমানই বা কি । যদি না দেয় তাহলে এখান থেকে চলে যাবার সুবিধা হবে। আর চিন্তা করা নয়Ñ বলেই ফেললাম, “বইটা কি পড়ছেন?”
শ্রাবস্তী বললো, “না, আপনি পড়বেন?”
“যদি দিতেন।”
শ্রাবস্তী খুবই আগ্রহ দেখিয়ে কোল থেকে বইটা নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। আমিও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বইটা নিতে গেলাম। চোখে-চোখ পড়ল। বুকের ভিতর কেমন জানি হলো।
শ্রাবস্তীর চোখে-আেখ পড়লেই কেমন এক বিদ্যু চমকে যাচ্ছে বুকের ভিতর। শ্রাবস্তী আমার সাথে চমকপ্রদ ব্য্হার করছে। হয়তো যে কোন ছেলের মাথা ঘুড়িয়ে দেবে। ক্রমানয়ে শ্রাবস্তীকে ভাল লাগছে আমার । আমাকে কেমন লাগছে শ্রাবস্তীর, কী জানি! শ্রাবস্তীর দিকে তাকাচ্ছি না। বই পড়ার প্রতি মনোযোগ দিয়েছি পুরোদমে। মাঝে দু’-একবার শ্রাবস্তীর পায়ের দিকে নজর পড়ছে। পায়ের নখে হালকা গোলাপী রঙের নেইল পলিশ দিয়েছে। হালকা বাদামী রঙের হিল পায়ে। আহা! কি সুন্দরু’টি পা। বইয়ের অর্ধেক পড়া হয়েছ্ েভাল লাগছে। হঠাৎ মনে জাগলো শ্রাবস্তী কী করছে একটু দেখি। মনে আসা মাত্র তাকাতেই চোখে-চোখ পড়ল, মনে কৌত’হল জাগলো। ও মুখ ঘুরিয়ে নিল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমাকে দেখছিল। আমাকে কেমন দেখা যাচ্ছে এ মুহুর্তে? শ্রাবস্তীর আর এ স্বভাব আবিস্কার করলাম, চুরি করে দেখা । হয়তো সবারই আছে। আমারও আছে । আমি দেখেছিলাম শ্রাবস্তীকে। আসলে খুবই চালাত মেয়ে শ্রাবস্তী । হঠাৎ প্রশ্ন জেগে উঠল মনে, শ্রাবস্তীকে বললাম, “আচ্ছা বইটা কি পড়া হগয়ে গেছে আপনার?”
শ্রাবস্তী মাথা নাড়িয়ে মায়াবী চোখের যাদু নিয়ে বললো, “না।”
“ও।”
“বইটা পড়তে কেমন লাগছে আপনার?”
“ভালোই।”
“বইটা অর্ধেক পড়েছি আমি।”
একটু বিস্ময় স্বরে বললাম, “তাই নাকি!”
“হ্যাঁ।”
“আমারও তো অর্ধেক পড়া শেষ হলো।”
“আমি বইটা অর্ধেক থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়েছি।”
হিসাব মিলছে না। আমি প্রথম থেকে বইয়ের অর্ধেক পড়েছি । শ্রাবস্তী অর্ধেক থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছে। এ কেমন কথা হলো। বই কি কেউ অর্ধেক থেকে শুরু করে--
নিয়মিত চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১০ পর্ব
খারাপ ব্যবহার করব না। আমি নাাকি মোটামুটি ভদ্র,তাছাড়া ওর মুখ থেকেই আমার সম্পর্কে উত্তর পেয়েছি যে আমি নাাকি মধ্যবর্তী অবস্থানে আছি। ভাবতেই বেশ হাসি পাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষন সময় হলো শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাচ্ছে না। কী জানি কী ভাবছে! আমি যেমন ভাবছি ওকে নিয়ে, ও কি ভাবছে আমাকে নিয়ে? জীবনানন্দ দাসের বইটা এখনও শ্রাবস্তী কোলের উপর । বইটা কি শ্রাবস্তীর কাছ থেকে চেয়ে দেখব? যদি না দেয়, তাহলে তো অপমান বোধ করব। আর অপমানই বা কি । যদি না দেয় তাহলে এখান থেকে চলে যাবার সুবিধা হবে। আর চিন্তা করা নয়Ñ বলেই ফেললাম, “বইটা কি পড়ছেন?”
শ্রাবস্তী বললো, “না, আপনি পড়বেন?”
“যদি দিতেন।”
শ্রাবস্তী খুবই আগ্রহ দেখিয়ে কোল থেকে বইটা নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। আমিও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বইটা নিতে গেলাম। চোখে-চোখ পড়ল। বুকের ভিতর কেমন জানি হলো।
শ্রাবস্তীর চোখে-আেখ পড়লেই কেমন এক বিদ্যু চমকে যাচ্ছে বুকের ভিতর। শ্রাবস্তী আমার সাথে চমকপ্রদ ব্য্হার করছে। হয়তো যে কোন ছেলের মাথা ঘুড়িয়ে দেবে। ক্রমানয়ে শ্রাবস্তীকে ভাল লাগছে আমার । আমাকে কেমন লাগছে শ্রাবস্তীর, কী জানি! শ্রাবস্তীর দিকে তাকাচ্ছি না। বই পড়ার প্রতি মনোযোগ দিয়েছি পুরোদমে। মাঝে দু’-একবার শ্রাবস্তীর পায়ের দিকে নজর পড়ছে। পায়ের নখে হালকা গোলাপী রঙের নেইল পলিশ দিয়েছে। হালকা বাদামী রঙের হিল পায়ে। আহা! কি সুন্দরু’টি পা। বইয়ের অর্ধেক পড়া হয়েছ্ েভাল লাগছে। হঠাৎ মনে জাগলো শ্রাবস্তী কী করছে একটু দেখি। মনে আসা মাত্র তাকাতেই চোখে-চোখ পড়ল, মনে কৌত’হল জাগলো। ও মুখ ঘুরিয়ে নিল। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমাকে দেখছিল। আমাকে কেমন দেখা যাচ্ছে এ মুহুর্তে? শ্রাবস্তীর আর এ স্বভাব আবিস্কার করলাম, চুরি করে দেখা । হয়তো সবারই আছে। আমারও আছে । আমি দেখেছিলাম শ্রাবস্তীকে। আসলে খুবই চালাত মেয়ে শ্রাবস্তী । হঠাৎ প্রশ্ন জেগে উঠল মনে, শ্রাবস্তীকে বললাম, “আচ্ছা বইটা কি পড়া হগয়ে গেছে আপনার?”
শ্রাবস্তী মাথা নাড়িয়ে মায়াবী চোখের যাদু নিয়ে বললো, “না।”
“ও।”
“বইটা পড়তে কেমন লাগছে আপনার?”
“ভালোই।”
“বইটা অর্ধেক পড়েছি আমি।”
একটু বিস্ময় স্বরে বললাম, “তাই নাকি!”
“হ্যাঁ।”
“আমারও তো অর্ধেক পড়া শেষ হলো।”
“আমি বইটা অর্ধেক থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়েছি।”
হিসাব মিলছে না। আমি প্রথম থেকে বইয়ের অর্ধেক পড়েছি । শ্রাবস্তী অর্ধেক থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছে। এ কেমন কথা হলো। বই কি কেউ অর্ধেক থেকে শুরু করে--
নিয়মিত চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২০/০৭/২০১৫ভালো লাগলো।
-
মায়নুল হক ২০/০৭/২০১৫পাবার মতো চাইলে কি পাও যায় খুবি অন্তর রঙে মিল