পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘ ৯ পর্ব
পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৯ পর্ব
“তবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।”
শ্রাবস্তী বললো, “ আপনি মধ্যবতী স্থানে অবস্থান করছেন।”
“তার মানে?” আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।
শ্রাবস্তী বললো, “ ভালো ও খারাপ দুটোই।”
আহত স্বরে বললাম, “তাহলে রাখলাম।”
শ্রাবস্তী এবার অনুরোধের স্বরে বললো, “ প্লিজ আর এক মিনিট, আমার ওপর রাগ করলেন?”
“ আপনি তো আচ্ছা মেয়ে।”
“কেন, আপনাপর কী করলাম?”
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, “আপনাকে আমি বুঝতে পারছি না।”
“আপনাকেও!”
“তার মানে?”
“মানে আর কি , রাখি।”
“এক মিনিট , আপনার মতলবটা কি বলেন তো?”
শ্রাবস্তী লাইন কেটে দিলো, হয়তো আমার ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলো। আমি একটা নিম্ন মানের শব্দ ব্যবহার করেছি মতলব। এক সুন্দরী মেয়ে উপযাচক হয়ে কথা বলছে, আমারই উচিৎ সময়টাকে যথাযত ভাবে ব্যবহার করা, চুটিয়ে গল্প করা। তা না করে আমি ভাব দেখাচ্ছি। সুযোগ নাকি জীবনে একবারই আসে। সেই সুযোগ আমি হাতছাড়া করছি। এই যে কত কিছু ভাবছি শ্রাবস্তী সম্পর্কে। হয়তো সঠিক, হয়তো না। খারাপ মন্তব্য করার মতো তেমন কিছুই শ্রাবস্তী করেনি। বরং আমিই করেছি।
শ্রাবস্তী জানালা দিয়ে কী যেন দেখছে। এক গুচ্ছ সমীরণ এসে শ্রাবস্তীর মাথার চুলগুলোর সাথে খেলা শুরু করেছে। মাঝে-মধ্যে শ্রাবস্তীর ধ্যান ভঙ্গ করার জন্যে সুন্দর মুখখানির উপর চুলগলো পড়ছে। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। শ্রাবস্তী বোধ হয় জানে আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকব। হয়তো সে জন্য আমার দিকেও তাকাচ্ছে না। আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে ওকে ভালভাবে দেখার জন্য্ মেয়েদেন নাকি ঈশ্বর প্রদত্ত কী একটা শক্তি থাকে যাতে ওরা সহজেই পুরুষকে বুঝতে পারে। আমার কথা না, শোনা কথা। আমার জায়গায় অন্য ছেলে থাকলে শ্রাবস্তীকে নির্জন এই কামরায় অপমান করার সাহস দেখাতো কিনা কে জানে! আমি একটু তলিয়ে দেখব শ্রাবস্তীকে! একটু খারাপ ব্যবহার করলে কেমন হয়। শ্রাবস্তী সাহস আছে বুঝতে পারছি। একা-এবা বাড়িতে ফিরছে। নির্জন এই ট্রেনের কামরায় এক যবক অর্থাৎ আমার সাথে ভাব জমাতে চাচ্ছে। খারাপ প্রকৃতির মেয়েরা নাকি ইচ্ছে করে এমন করে অনেক ছেলের সাথে। তবে শ্রাবস্তীকে ততোটা খারাপ মনে হচ্ছে না। ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়তো, একটু চঞ্চলা। চুপ করে বসে থাকতে ভাল লাগছে না তাই আমার সাথে কথা বলছে। শ্রাবস্তীও মানুষ চিনতে ভুল করেনি। ও হয়তো ভেবেছে আমি ওর সাথে কোন--
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৯ পর্ব
“তবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।”
শ্রাবস্তী বললো, “ আপনি মধ্যবতী স্থানে অবস্থান করছেন।”
“তার মানে?” আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।
শ্রাবস্তী বললো, “ ভালো ও খারাপ দুটোই।”
আহত স্বরে বললাম, “তাহলে রাখলাম।”
শ্রাবস্তী এবার অনুরোধের স্বরে বললো, “ প্লিজ আর এক মিনিট, আমার ওপর রাগ করলেন?”
“ আপনি তো আচ্ছা মেয়ে।”
“কেন, আপনাপর কী করলাম?”
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, “আপনাকে আমি বুঝতে পারছি না।”
“আপনাকেও!”
“তার মানে?”
“মানে আর কি , রাখি।”
“এক মিনিট , আপনার মতলবটা কি বলেন তো?”
শ্রাবস্তী লাইন কেটে দিলো, হয়তো আমার ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলো। আমি একটা নিম্ন মানের শব্দ ব্যবহার করেছি মতলব। এক সুন্দরী মেয়ে উপযাচক হয়ে কথা বলছে, আমারই উচিৎ সময়টাকে যথাযত ভাবে ব্যবহার করা, চুটিয়ে গল্প করা। তা না করে আমি ভাব দেখাচ্ছি। সুযোগ নাকি জীবনে একবারই আসে। সেই সুযোগ আমি হাতছাড়া করছি। এই যে কত কিছু ভাবছি শ্রাবস্তী সম্পর্কে। হয়তো সঠিক, হয়তো না। খারাপ মন্তব্য করার মতো তেমন কিছুই শ্রাবস্তী করেনি। বরং আমিই করেছি।
শ্রাবস্তী জানালা দিয়ে কী যেন দেখছে। এক গুচ্ছ সমীরণ এসে শ্রাবস্তীর মাথার চুলগুলোর সাথে খেলা শুরু করেছে। মাঝে-মধ্যে শ্রাবস্তীর ধ্যান ভঙ্গ করার জন্যে সুন্দর মুখখানির উপর চুলগলো পড়ছে। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। শ্রাবস্তী বোধ হয় জানে আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকব। হয়তো সে জন্য আমার দিকেও তাকাচ্ছে না। আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে ওকে ভালভাবে দেখার জন্য্ মেয়েদেন নাকি ঈশ্বর প্রদত্ত কী একটা শক্তি থাকে যাতে ওরা সহজেই পুরুষকে বুঝতে পারে। আমার কথা না, শোনা কথা। আমার জায়গায় অন্য ছেলে থাকলে শ্রাবস্তীকে নির্জন এই কামরায় অপমান করার সাহস দেখাতো কিনা কে জানে! আমি একটু তলিয়ে দেখব শ্রাবস্তীকে! একটু খারাপ ব্যবহার করলে কেমন হয়। শ্রাবস্তী সাহস আছে বুঝতে পারছি। একা-এবা বাড়িতে ফিরছে। নির্জন এই ট্রেনের কামরায় এক যবক অর্থাৎ আমার সাথে ভাব জমাতে চাচ্ছে। খারাপ প্রকৃতির মেয়েরা নাকি ইচ্ছে করে এমন করে অনেক ছেলের সাথে। তবে শ্রাবস্তীকে ততোটা খারাপ মনে হচ্ছে না। ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়তো, একটু চঞ্চলা। চুপ করে বসে থাকতে ভাল লাগছে না তাই আমার সাথে কথা বলছে। শ্রাবস্তীও মানুষ চিনতে ভুল করেনি। ও হয়তো ভেবেছে আমি ওর সাথে কোন--
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহরলাল মজুমদার ১৮/০৭/২০১৫ভাল পরলাম