’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘৮ পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৮ পর্ব
অযথা ভান করা আর হলো না। তবু বললাম, “ আমার মোবাইল!”
“ আজ্ঞে হ্যাঁ।”
“ কই এখন তো শ্ব্দ হচ্ছে না।”
“ তাই নাকি?” বলে ওর মোবাইলে ডিজিট টিপতে লাগলো। আমার কেবল মনে হতে লাগলো শ্রাবস্তী শুধু মোবাইলের ডিজিটই টিপছে না, ও যেন আমাকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে ছাড়বে। এতদিন খব্ ুভাল ছিলাম মেয়েদের উপেক্ষা করে। বাঃ বাঃ মেয়েরাও যে ছেলেদের ঘোল খাওয়াতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আজকের এই ঘটনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমার মোবাইলে আবার কিরিক কিরিক শব্দ হচ্ছে। শ্রাবস্তী কৌত’হলী ভঙ্গিমায় তাকিয়ে আছে তো আছেই, যেন চোখের পলক পড়ছে না। আমাকে অপমান করতেই যেন শ্রাবস্তীর এই সব কৌশল। আমি ওর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। একটু না হয় খেয়লণী পনায় ওর মোবাইলে মোবাইল করেছিলাম।
আচ্ছা আমিই মোবাইল করেছি কিনা , শ্রাবস্তী তা পরীক্ষা করছে না তো! ও বোধ হয় বুঝে ফেলেছে আমিই মোবাইল করেছি। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার সামনেই ফোন করছেÑ আমার মোবাইল নম্বরে। আচ্ছা ও জানলে দোষটা কি? না হয় আমি সত্য কথাটাই বলে দেব। আপনার বলা নম্বরটা ঠিক মনে আছে কিনা তাই দেখছিলাম। নিশ্চয় শ্রাবস্তী কিছু মনে করবে না। আর যদি কিছু বলে, যা কোন দিন করিনি তা আজ করব।
“কী হলো এতো ভাবছেন?”
একটু চমকে গিয়ে বললাম, ‘‘কই কিছু নাতো।”
“তাহলে কল রিসিভ করছেন না কেন?”
বাধ্য হয়েই পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে , কানে দিতে যাবÑআড় চোখে দেখি শ্রাবস্তী মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে কাকে যেন বলছে, “ প্লিজ আপনার সাথে কথা আছে।”
শ্রাবস্তীর কণ্ঠ থেকে বের হওয়া শব্দগুলো সরাসরি কানে প্রবেশ করলে মনে হলো প্রচন্ড এক আবেদন। তখনও ওর মুখে কৌত’হলী হাসি। আমিও শ্রাবস্তীর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে মোবাইল কানের কাছে নিয়ে বললাম, “ বলেন কি বলবেন?”
আমাদের দু’জনের কণ্ঠস্বর মোবাইল বাদেই শুনতে পারছিলাম। যেন এক কান দিয়ে আমাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর প্রবেশ করছিল, অন্য কানে মোবাইলের শব্দ। ভাবতে খুবই ভাল লাগছে।
শ্রাবস্তী একবার জিজ্ঞেস করলো, “না-মানে আপনার মোবাইল নম্বরটা কত?”
“আপনার মোবাইলের মেমোরিতে একটু দৃষ্টি দিলেই জানতে পারবেন।”
শ্রাবস্তী আবার বললো, “আমাকে কি খুব খারাপ মেয়ে বলে মনে হচ্ছে?”
আমি উল্টো প্রশ্ন করলাম, “আমাকে?”
এবার কৌত’হলী স্বরে শ্রাবস্তী বললো, “ প্রশ্নটা আমি আগে করেছি?”
“যদি হ্যাঁ, না অথবা দুটোই বাল!”
“এটা তো উত্তর হলো না।?
নিয়মিত চলবে
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৮ পর্ব
অযথা ভান করা আর হলো না। তবু বললাম, “ আমার মোবাইল!”
“ আজ্ঞে হ্যাঁ।”
“ কই এখন তো শ্ব্দ হচ্ছে না।”
“ তাই নাকি?” বলে ওর মোবাইলে ডিজিট টিপতে লাগলো। আমার কেবল মনে হতে লাগলো শ্রাবস্তী শুধু মোবাইলের ডিজিটই টিপছে না, ও যেন আমাকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে ছাড়বে। এতদিন খব্ ুভাল ছিলাম মেয়েদের উপেক্ষা করে। বাঃ বাঃ মেয়েরাও যে ছেলেদের ঘোল খাওয়াতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আজকের এই ঘটনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমার মোবাইলে আবার কিরিক কিরিক শব্দ হচ্ছে। শ্রাবস্তী কৌত’হলী ভঙ্গিমায় তাকিয়ে আছে তো আছেই, যেন চোখের পলক পড়ছে না। আমাকে অপমান করতেই যেন শ্রাবস্তীর এই সব কৌশল। আমি ওর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। একটু না হয় খেয়লণী পনায় ওর মোবাইলে মোবাইল করেছিলাম।
আচ্ছা আমিই মোবাইল করেছি কিনা , শ্রাবস্তী তা পরীক্ষা করছে না তো! ও বোধ হয় বুঝে ফেলেছে আমিই মোবাইল করেছি। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার সামনেই ফোন করছেÑ আমার মোবাইল নম্বরে। আচ্ছা ও জানলে দোষটা কি? না হয় আমি সত্য কথাটাই বলে দেব। আপনার বলা নম্বরটা ঠিক মনে আছে কিনা তাই দেখছিলাম। নিশ্চয় শ্রাবস্তী কিছু মনে করবে না। আর যদি কিছু বলে, যা কোন দিন করিনি তা আজ করব।
“কী হলো এতো ভাবছেন?”
একটু চমকে গিয়ে বললাম, ‘‘কই কিছু নাতো।”
“তাহলে কল রিসিভ করছেন না কেন?”
বাধ্য হয়েই পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে , কানে দিতে যাবÑআড় চোখে দেখি শ্রাবস্তী মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে কাকে যেন বলছে, “ প্লিজ আপনার সাথে কথা আছে।”
শ্রাবস্তীর কণ্ঠ থেকে বের হওয়া শব্দগুলো সরাসরি কানে প্রবেশ করলে মনে হলো প্রচন্ড এক আবেদন। তখনও ওর মুখে কৌত’হলী হাসি। আমিও শ্রাবস্তীর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে মোবাইল কানের কাছে নিয়ে বললাম, “ বলেন কি বলবেন?”
আমাদের দু’জনের কণ্ঠস্বর মোবাইল বাদেই শুনতে পারছিলাম। যেন এক কান দিয়ে আমাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর প্রবেশ করছিল, অন্য কানে মোবাইলের শব্দ। ভাবতে খুবই ভাল লাগছে।
শ্রাবস্তী একবার জিজ্ঞেস করলো, “না-মানে আপনার মোবাইল নম্বরটা কত?”
“আপনার মোবাইলের মেমোরিতে একটু দৃষ্টি দিলেই জানতে পারবেন।”
শ্রাবস্তী আবার বললো, “আমাকে কি খুব খারাপ মেয়ে বলে মনে হচ্ছে?”
আমি উল্টো প্রশ্ন করলাম, “আমাকে?”
এবার কৌত’হলী স্বরে শ্রাবস্তী বললো, “ প্রশ্নটা আমি আগে করেছি?”
“যদি হ্যাঁ, না অথবা দুটোই বাল!”
“এটা তো উত্তর হলো না।?
নিয়মিত চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইদুর রহমান ১৭/০৭/২০১৫
-
জহরলাল মজুমদার ১৭/০৭/২০১৫পরলাম দাদা
-
জে এস সাব্বির ১৭/০৭/২০১৫৮ টি পর্বই পড়লাম ।খুব ভাল লাগল ।নিয়মিত চলুক সেই কামনাই করি ।
কিন্তু একটা রিকুয়েস্ট ছিল , নেক্সট পর্বগুলোর দৈর্ঘ্য আরো একটু বড় করে করবেন ,তাতে আমার মত পাঠকের আগ্রহ হয়ত বাড়বে । ধন্যবাদ
এই কামনা করি।