’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘ ৩পর্ব
’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩পর্ব
মুহূর্তে বিদ্যুৎ চমকে গেল। হয়তো শ্রাবস্তী নিজেকে সংযত করে বসতে গিয়ে ওর হাত আমার কোমড় স্পর্শ করে। এক ঝলক তাকালাম ওর দিকে। ও যেন লজ্জা পেল। সৌজন্য বোধ থেকেই ও বলে উঠলো “সরি”। কেন যেন মনে হলো, শ্রাবন্তী ভদ্রতা দেখানোর একটুও সুযোগ হাতছাড়া করছে না।
ট্রেন পুরোপুরি থেমে গেছে। থেমে গেল। জানালা দিয়ে অনেকে উঁকি দিয়ে দেখছে। কেউ কেউ ট্রেন থেকে নিচে নামছে। আমি সিটে বসলাম।
মনের অবস্থা ভাল না। বাড়ি থেকে চিঠি এসেছে যত তাড়াতাড়ি পারি বাড়িতে যেন চলে আসি; যতই কাজ থাকুক। এখন বিয়ে করব না মনোস্থির করেছিলাম। চিঠি পড়ে যা বুঝলাম, বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। চিঠি পাওয়া মাত্র চলে আসবে-মা চিঠিতে লিখেছে। দু’-তিন দিনের পোশাক ব্যাগে নিয়ে রওনা দিয়েছি। শেভ করার সময় পাইনি। মুখটা হয়তো খুবই বিষণœ আর মলিন দেখাচ্ছে!
“এখানে ট্রেন তিন ঘন্টা অপেক্ষা করবে। তারপর ছাড়বে।” আমার বামপাশে বসা লোকটি কোথা থেকে যেন শুনে এসে আরেক জনকে বললো।
“শ্রাবস্তী, ট্রেনতো আরো ২/৩ ঘন্টা এখানে দাঁড়াবে আমার বাড়ি তো আর বেশি দূরে নয় আমি বরং অন্য কিছুতে চড়ে চলে যাই। তুমি বাড়ি গিয়ে চিঠি দিও।”
হয়তো সেই লোকটি। কী জানি শ্রাবস্তীর ঘনিষ্ট কেউ কি-না!
শ্রাবস্তী ঘাড় নেড়ে বললো, “আপনি বাড়িতে পৌঁছে মোবাইল করবেন। অনুষ্ঠানে কিন্তু আপনাকে আসতে হবে!”
“ঠিক আছে।মন খারাপ করো না। যা হবার তা-তো হবেই। তোমার মোবাইল নম্বর যেন কত?”
শ্রাবস্তী নিজের মোবাইল নম্বর বললো। মোবাইল নম্বর লিখে নিয়ে লোকটি বিদায় নিলো।
মোবাইল নম্বরটা একবার শুনেই আমার যেন মুখস্ত হয়ে গেল। দু’-এক জন করে ট্রেন থেকে নিচে নামছে। আমিও নামলাম। দু’-একটা হকারও দেখছি। ওরা কি জানত এখানে ট্রেন দ্ঁড়াবে? ট্রেনের ভেতর থাকা হকাররা নিচে নেমে জানালার পাশ দিয়ে ঘোরাফিরা করছে!
“এই কলা।”
খুবই ক্ষীন শব্দ বের হলো শ্রাবস্তীর কণ্ঠ থেকে। বোধ হয়কলাওয়ালা শুনতে পায়নি। আমি নিচে নেমে শ্রাবস্তীর সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে কলাওয়ালাকে ডেকে দিই। শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকালো। দু’জনের চোখে চোখ পড়লো। কী যেন বললো, মায়াবী চোখের ইশারায়। মুখ ফিরিয়ে নিল, কী কারণে বুঝতে পারলাম না। এর আগে আমার দিকে তাকিয়েছে কি-না তাইবা কে জানে!
মেয়েদের প্রতি আমার তেমন কৌত’হল ছিল না। তবু এখন শ্রাবস্তীর প্রতি কৌত’হল জাগছে। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারছি।
(চলবে)
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-৩পর্ব
মুহূর্তে বিদ্যুৎ চমকে গেল। হয়তো শ্রাবস্তী নিজেকে সংযত করে বসতে গিয়ে ওর হাত আমার কোমড় স্পর্শ করে। এক ঝলক তাকালাম ওর দিকে। ও যেন লজ্জা পেল। সৌজন্য বোধ থেকেই ও বলে উঠলো “সরি”। কেন যেন মনে হলো, শ্রাবন্তী ভদ্রতা দেখানোর একটুও সুযোগ হাতছাড়া করছে না।
ট্রেন পুরোপুরি থেমে গেছে। থেমে গেল। জানালা দিয়ে অনেকে উঁকি দিয়ে দেখছে। কেউ কেউ ট্রেন থেকে নিচে নামছে। আমি সিটে বসলাম।
মনের অবস্থা ভাল না। বাড়ি থেকে চিঠি এসেছে যত তাড়াতাড়ি পারি বাড়িতে যেন চলে আসি; যতই কাজ থাকুক। এখন বিয়ে করব না মনোস্থির করেছিলাম। চিঠি পড়ে যা বুঝলাম, বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। চিঠি পাওয়া মাত্র চলে আসবে-মা চিঠিতে লিখেছে। দু’-তিন দিনের পোশাক ব্যাগে নিয়ে রওনা দিয়েছি। শেভ করার সময় পাইনি। মুখটা হয়তো খুবই বিষণœ আর মলিন দেখাচ্ছে!
“এখানে ট্রেন তিন ঘন্টা অপেক্ষা করবে। তারপর ছাড়বে।” আমার বামপাশে বসা লোকটি কোথা থেকে যেন শুনে এসে আরেক জনকে বললো।
“শ্রাবস্তী, ট্রেনতো আরো ২/৩ ঘন্টা এখানে দাঁড়াবে আমার বাড়ি তো আর বেশি দূরে নয় আমি বরং অন্য কিছুতে চড়ে চলে যাই। তুমি বাড়ি গিয়ে চিঠি দিও।”
হয়তো সেই লোকটি। কী জানি শ্রাবস্তীর ঘনিষ্ট কেউ কি-না!
শ্রাবস্তী ঘাড় নেড়ে বললো, “আপনি বাড়িতে পৌঁছে মোবাইল করবেন। অনুষ্ঠানে কিন্তু আপনাকে আসতে হবে!”
“ঠিক আছে।মন খারাপ করো না। যা হবার তা-তো হবেই। তোমার মোবাইল নম্বর যেন কত?”
শ্রাবস্তী নিজের মোবাইল নম্বর বললো। মোবাইল নম্বর লিখে নিয়ে লোকটি বিদায় নিলো।
মোবাইল নম্বরটা একবার শুনেই আমার যেন মুখস্ত হয়ে গেল। দু’-এক জন করে ট্রেন থেকে নিচে নামছে। আমিও নামলাম। দু’-একটা হকারও দেখছি। ওরা কি জানত এখানে ট্রেন দ্ঁড়াবে? ট্রেনের ভেতর থাকা হকাররা নিচে নেমে জানালার পাশ দিয়ে ঘোরাফিরা করছে!
“এই কলা।”
খুবই ক্ষীন শব্দ বের হলো শ্রাবস্তীর কণ্ঠ থেকে। বোধ হয়কলাওয়ালা শুনতে পায়নি। আমি নিচে নেমে শ্রাবস্তীর সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে কলাওয়ালাকে ডেকে দিই। শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকালো। দু’জনের চোখে চোখ পড়লো। কী যেন বললো, মায়াবী চোখের ইশারায়। মুখ ফিরিয়ে নিল, কী কারণে বুঝতে পারলাম না। এর আগে আমার দিকে তাকিয়েছে কি-না তাইবা কে জানে!
মেয়েদের প্রতি আমার তেমন কৌত’হল ছিল না। তবু এখন শ্রাবস্তীর প্রতি কৌত’হল জাগছে। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারছি।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ০৮/০৭/২০১৫বিশুদ্ধ প্রেমের উপন্যাস বলেই মনে হচ্ছে, পরের পরবের অপেক্ষাতে রইলাম বন্ধু।
-
কিশোর কারুণিক ০৭/০৭/২০১৫ধন্যবাদ
-
জহরলাল মজুমদার ০৭/০৭/২০১৫খুভ ভাল চলবে চলবে