পাত্র দেখা
পাত্র দেখা
---নাসরীন আক্তার রুবি
গতরাত থেকেই ভীষণ টেনশন হচ্ছে। যদি এবারও আগের মতন হয়! যদি আবারও পাত্রী পক্ষ আমাকে দেখে রিজেক্ট করে যায়! সেই কিশোর বয়স থেকে লাল টুকটুকে একটা বউয়ের স্বপ্ন দেখছি, ছেলেমেয়েরা কলেজ ভার্সিটিতে কত প্রেম ট্রেম করে বেড়ায় আমার কপালে তা-ও জুটলো না। ক্লাস টেনে পড়ার সময় ক্লাসের জুলিকে ভাল লাগত। কতদিন ভেবেছি একটা চিঠি দিব, চিঠি দিয়েছিলাম বটে, সেটা ছিল আমাদের সাথে পড়ুয়া আদুভাইয়ের। বয়সে বেশ বড়
লাল্টু ভাই বারকয়েক নাইনে ফেল করে, আমাদের ধরে ফেলেন। টেনে উঠার পর জুলিকে উনার মনে ধরে। শান্তশিষ্ট আমাকে পেয়ে জুলিকে লেখা চিঠিখানি পৌঁছে দিতে বলেন। দাঁত কিড়িমিড়ি খেয়ে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার পরদিন, ওফ্ হেড স্যারের বেতের বাড়ি। জীবনে আর প্রেমমুখো হইনি। গায়ের রঙ কালো বলে কোন মেয়ে বিশেষ পাত্তা টাত্তা দেয়নি কখনও।
মায়ের শরীরটা ভাল না, নাতিপুতির মুখ দেখবেন বলে ঘ্যানঘ্যান করেন, সেজন্য সেই কবে থেকে আমাকে পাত্র সেজে পাত্রীপক্ষের সামনে দাঁড়াতে হয়, বসতে হয়। বেতন ভালো নয় বলে অনেকগুলো প্রস্তাব ফিরে গেছে। মনে মনে হতাশ হয়ে ভাবছিলাম, আর বিয়েই করব না। বিয়ে না করলে কী হয়! কিন্তু ওইযে বংশরক্ষা! সেজন্য আজো দুরুদুরু বক্ষে পাঞ্জাবী পাজামা পরে বসে আছি। এবার অবশ্য মনে একটু আশার আলো জাগছে, বেশ ভালো বেতনের একটা চাকরী পেয়েছি ইদানীং। হয়ত বিয়েটা আমার এবার হয়েই যাবে। সারাদিন ধরে আমার তিনবোন আর মা এটা-সেটা রাধছে। বলা হয়নি, তিনবোনের বিয়ে হয়ে গেছে, ওরা পাত্রদেখা উপলক্ষে আজ আমাদের বাসায়।
সন্ধ্যার পর পাত্রীর বাবা মা, খালু খালা, ফুফু ফুফা, চাচী চাচা, ভাই বোন সহ স্বয়ং পাত্রী এসে হাজির। ভয়ে আমার বুক কাঁপছে। নাস্তা পর্ব শেষ হলে, এবার আমাকে দেখার পালা। দুলাভাইরা আমাকে ধরে নিয়ে গেলেন ড্রইংরুমে। ঘরভর্তি মানুষ, যেন বরযাত্রী এসেছে। বিয়েটা কি আজই হয়ে যাবে? বুঝতে পারছি না। চিন্তাভাবনার মাঝে কানে এলো মায়ের কথা, "না, না। সেকি! আমার ছেলে কানে কম শুনবে কেন?"
মেয়ের দিকের এক আত্মীয়া বললেন, "কালা নয়তো কথার উত্তর দেয় না কেন?"
বড় দুলাভাই চিমটি কেটে চুপি চুপি বললেন, "সালাম দিয়ে যা বলে তার উত্তর দে"।
আমি সালাম দিলাম একে একে সবাইকে। সবকটা চোখ যেন কোরবানির গরু দেখছে, ভয়ে আর পাত্রীর দিকে তাকাই না। পুরুষগুলো চুপ, মহিলারাই প্রশ্ন করছেন, যা পারি উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। একজন বললেন, " দেখি একটু হেঁটে দেখাও তো!"। হেঁটে দেখালাম। আরেকজন বললেন, "চুলগুলো দেখি! টাক ফাঁক নেই তো!" বলে ওই মহিলা আমার চুলগুলো এমনভাবে টান দিলেন, আমি উফ্ বলে ওঠলাম। চোখ অজান্তেই সাজুগুজু করা পাত্রীর চোখে পড়ল, ওমা কেমন তাচ্ছিল্য আর কৌতুক ভরে আমাকে দেখছে। ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে গেলো, নাহ্! এবারও বুঝি বিয়েটা হল না। মায়ের অকর্মার ঢেঁকি গাল শোনা, বোন দুলাভাইয়ের টিটকারি এবারও কপালের লিখন৷ হঠাৎ করেই বাবার কথা মনে পড়লো, বাবা বেঁচে থাকলে এদিন হয়তো দেখতে হতো না। আমার চোখ ভরে জল এলো। এবার পাত্রীর মা মুখ খুললেন, "এবার আসল কথায় আসি। দেনমোহর, সোনা গয়না কী দিবে সেটা আলাপ করে নাও" সম্ভবত উনি উনার আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে বললেন।
পাত্রী নিজেই এবার মুখ খুললেন, "আমার কিন্তু মাসে হাতখরচা হাজার বিশেক লাগবেই। রান্নার জন্য বাবুর্চি, ফরমাইশের জন্য দুটো কাজের লোক মাস্ট"। বলেই উনি চুলগুলো বিশেষ ষ্টাইলে নাড়িয়ে দিলেন। আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো ভয়ে নাকি আতংকে কারণ নতুন চাকরী।
পাত্রী পক্ষের আরেকজন মহিলা বলে উঠলেন, "পাত্র তো কালো। বিয়ের বাজারে এত কালো পাত্র, বুঝেনই-তো, আমাদের মেয়ে নেহাৎ দয়া করে রাজি হয়েছে সে পাত্রের নিজের বাড়ি আর ভাল বেতনের চাকরিটা আছে বলেই।" আমার ভেতরটা তখন দুঃখে কষ্টে ভেঙেচুরে যাচ্ছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে বলি, 'কালো হয়েছি বলে কি আমার কোন দাম নেই! আমি এতটাই ফেলনা যে বার বার সঙ সেজে পাত্রীপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ইন্টারভিউ দিব!' কিন্তু বলি না, চুপ করে থাকি। শেষে বলবে ছেলের মুখ সাংঘাতিক চালু, খালি ফড়ফড় করে।
মেঝ দুলাভাই ইশারা করলেন আমাকে উঠে যেতে। আমি মাথা নত করে চলে এলাম, কানে আসছে দেনমোহর লাখ বিশেক না হলে, আমাদের বাড়ির অর্ধেকটা মেয়ের নামে লিখে না দিলে বিয়েটা অসম্ভব। তুমুল গলাবাজি করছে পাত্রীপক্ষ, আর আমার মা, দুলাভাইরা মিনমিন কণ্ঠে দরদাম করছে। আহা আমি যেন কোন মানুষই নই। কোরবানির গরু নয় মাছের আড়তের কোন মাছ।
এবার আমার ভেতরের মানুষটা জেগে উঠলো। ফিরে গিয়ে ড্রইংরুমের দরজার হাতল ধরে চিৎকার দিয়ে বললাম, " মা, এ বিয়ে আমি করব না। যারা এত লোভী, এত হাতখরচ, এত দেনমোহর চায় তাদের মেয়ে আমি বিয়ে করব না"। পাত্রীপক্ষের মুখটা দেখার মত হয়েছিল বটে, তারাও সমস্বরে চিৎকার করে বলতে লাগলো, "দিবো না, এমন হাভাতে ঘরে মেয়ে বিয়ে দিব না"। এবার আমি বললাম, " চুপ, কোন কথা নয়, সোজা বেরিয়ে যান"। সুড়সুড় করে আমাকে দেখতে আসা লোভীর দল ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
আমার বেশ শান্তি লাগছে। জানি পাড়াপড়শিরা আমায় দেখে ফিসফিস করবে, নানান মানুষ নানান কথা বলবে, নিজের পরিবারের লোকজনও ছেড়ে কথা বলবে না। কিন্তু কি করব! ছোটবেলা থেকেই কালো বলে কম গঞ্জনা সহ্য করিনি। আর কত! আত্মসম্মানের চেয়ে বড় আর কিছু নেই।
মায়ের চোখে জল, নাতিপুতি দেখতে না পাবার কষ্টে জল। আর সে রাতে আমাদের খাবারটা কিন্তু বেশ জমেছিলো।
(কাল্পনিক)
---নাসরীন আক্তার রুবি
গতরাত থেকেই ভীষণ টেনশন হচ্ছে। যদি এবারও আগের মতন হয়! যদি আবারও পাত্রী পক্ষ আমাকে দেখে রিজেক্ট করে যায়! সেই কিশোর বয়স থেকে লাল টুকটুকে একটা বউয়ের স্বপ্ন দেখছি, ছেলেমেয়েরা কলেজ ভার্সিটিতে কত প্রেম ট্রেম করে বেড়ায় আমার কপালে তা-ও জুটলো না। ক্লাস টেনে পড়ার সময় ক্লাসের জুলিকে ভাল লাগত। কতদিন ভেবেছি একটা চিঠি দিব, চিঠি দিয়েছিলাম বটে, সেটা ছিল আমাদের সাথে পড়ুয়া আদুভাইয়ের। বয়সে বেশ বড়
লাল্টু ভাই বারকয়েক নাইনে ফেল করে, আমাদের ধরে ফেলেন। টেনে উঠার পর জুলিকে উনার মনে ধরে। শান্তশিষ্ট আমাকে পেয়ে জুলিকে লেখা চিঠিখানি পৌঁছে দিতে বলেন। দাঁত কিড়িমিড়ি খেয়ে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার পরদিন, ওফ্ হেড স্যারের বেতের বাড়ি। জীবনে আর প্রেমমুখো হইনি। গায়ের রঙ কালো বলে কোন মেয়ে বিশেষ পাত্তা টাত্তা দেয়নি কখনও।
মায়ের শরীরটা ভাল না, নাতিপুতির মুখ দেখবেন বলে ঘ্যানঘ্যান করেন, সেজন্য সেই কবে থেকে আমাকে পাত্র সেজে পাত্রীপক্ষের সামনে দাঁড়াতে হয়, বসতে হয়। বেতন ভালো নয় বলে অনেকগুলো প্রস্তাব ফিরে গেছে। মনে মনে হতাশ হয়ে ভাবছিলাম, আর বিয়েই করব না। বিয়ে না করলে কী হয়! কিন্তু ওইযে বংশরক্ষা! সেজন্য আজো দুরুদুরু বক্ষে পাঞ্জাবী পাজামা পরে বসে আছি। এবার অবশ্য মনে একটু আশার আলো জাগছে, বেশ ভালো বেতনের একটা চাকরী পেয়েছি ইদানীং। হয়ত বিয়েটা আমার এবার হয়েই যাবে। সারাদিন ধরে আমার তিনবোন আর মা এটা-সেটা রাধছে। বলা হয়নি, তিনবোনের বিয়ে হয়ে গেছে, ওরা পাত্রদেখা উপলক্ষে আজ আমাদের বাসায়।
সন্ধ্যার পর পাত্রীর বাবা মা, খালু খালা, ফুফু ফুফা, চাচী চাচা, ভাই বোন সহ স্বয়ং পাত্রী এসে হাজির। ভয়ে আমার বুক কাঁপছে। নাস্তা পর্ব শেষ হলে, এবার আমাকে দেখার পালা। দুলাভাইরা আমাকে ধরে নিয়ে গেলেন ড্রইংরুমে। ঘরভর্তি মানুষ, যেন বরযাত্রী এসেছে। বিয়েটা কি আজই হয়ে যাবে? বুঝতে পারছি না। চিন্তাভাবনার মাঝে কানে এলো মায়ের কথা, "না, না। সেকি! আমার ছেলে কানে কম শুনবে কেন?"
মেয়ের দিকের এক আত্মীয়া বললেন, "কালা নয়তো কথার উত্তর দেয় না কেন?"
বড় দুলাভাই চিমটি কেটে চুপি চুপি বললেন, "সালাম দিয়ে যা বলে তার উত্তর দে"।
আমি সালাম দিলাম একে একে সবাইকে। সবকটা চোখ যেন কোরবানির গরু দেখছে, ভয়ে আর পাত্রীর দিকে তাকাই না। পুরুষগুলো চুপ, মহিলারাই প্রশ্ন করছেন, যা পারি উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। একজন বললেন, " দেখি একটু হেঁটে দেখাও তো!"। হেঁটে দেখালাম। আরেকজন বললেন, "চুলগুলো দেখি! টাক ফাঁক নেই তো!" বলে ওই মহিলা আমার চুলগুলো এমনভাবে টান দিলেন, আমি উফ্ বলে ওঠলাম। চোখ অজান্তেই সাজুগুজু করা পাত্রীর চোখে পড়ল, ওমা কেমন তাচ্ছিল্য আর কৌতুক ভরে আমাকে দেখছে। ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে গেলো, নাহ্! এবারও বুঝি বিয়েটা হল না। মায়ের অকর্মার ঢেঁকি গাল শোনা, বোন দুলাভাইয়ের টিটকারি এবারও কপালের লিখন৷ হঠাৎ করেই বাবার কথা মনে পড়লো, বাবা বেঁচে থাকলে এদিন হয়তো দেখতে হতো না। আমার চোখ ভরে জল এলো। এবার পাত্রীর মা মুখ খুললেন, "এবার আসল কথায় আসি। দেনমোহর, সোনা গয়না কী দিবে সেটা আলাপ করে নাও" সম্ভবত উনি উনার আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে বললেন।
পাত্রী নিজেই এবার মুখ খুললেন, "আমার কিন্তু মাসে হাতখরচা হাজার বিশেক লাগবেই। রান্নার জন্য বাবুর্চি, ফরমাইশের জন্য দুটো কাজের লোক মাস্ট"। বলেই উনি চুলগুলো বিশেষ ষ্টাইলে নাড়িয়ে দিলেন। আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো ভয়ে নাকি আতংকে কারণ নতুন চাকরী।
পাত্রী পক্ষের আরেকজন মহিলা বলে উঠলেন, "পাত্র তো কালো। বিয়ের বাজারে এত কালো পাত্র, বুঝেনই-তো, আমাদের মেয়ে নেহাৎ দয়া করে রাজি হয়েছে সে পাত্রের নিজের বাড়ি আর ভাল বেতনের চাকরিটা আছে বলেই।" আমার ভেতরটা তখন দুঃখে কষ্টে ভেঙেচুরে যাচ্ছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে বলি, 'কালো হয়েছি বলে কি আমার কোন দাম নেই! আমি এতটাই ফেলনা যে বার বার সঙ সেজে পাত্রীপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ইন্টারভিউ দিব!' কিন্তু বলি না, চুপ করে থাকি। শেষে বলবে ছেলের মুখ সাংঘাতিক চালু, খালি ফড়ফড় করে।
মেঝ দুলাভাই ইশারা করলেন আমাকে উঠে যেতে। আমি মাথা নত করে চলে এলাম, কানে আসছে দেনমোহর লাখ বিশেক না হলে, আমাদের বাড়ির অর্ধেকটা মেয়ের নামে লিখে না দিলে বিয়েটা অসম্ভব। তুমুল গলাবাজি করছে পাত্রীপক্ষ, আর আমার মা, দুলাভাইরা মিনমিন কণ্ঠে দরদাম করছে। আহা আমি যেন কোন মানুষই নই। কোরবানির গরু নয় মাছের আড়তের কোন মাছ।
এবার আমার ভেতরের মানুষটা জেগে উঠলো। ফিরে গিয়ে ড্রইংরুমের দরজার হাতল ধরে চিৎকার দিয়ে বললাম, " মা, এ বিয়ে আমি করব না। যারা এত লোভী, এত হাতখরচ, এত দেনমোহর চায় তাদের মেয়ে আমি বিয়ে করব না"। পাত্রীপক্ষের মুখটা দেখার মত হয়েছিল বটে, তারাও সমস্বরে চিৎকার করে বলতে লাগলো, "দিবো না, এমন হাভাতে ঘরে মেয়ে বিয়ে দিব না"। এবার আমি বললাম, " চুপ, কোন কথা নয়, সোজা বেরিয়ে যান"। সুড়সুড় করে আমাকে দেখতে আসা লোভীর দল ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
আমার বেশ শান্তি লাগছে। জানি পাড়াপড়শিরা আমায় দেখে ফিসফিস করবে, নানান মানুষ নানান কথা বলবে, নিজের পরিবারের লোকজনও ছেড়ে কথা বলবে না। কিন্তু কি করব! ছোটবেলা থেকেই কালো বলে কম গঞ্জনা সহ্য করিনি। আর কত! আত্মসম্মানের চেয়ে বড় আর কিছু নেই।
মায়ের চোখে জল, নাতিপুতি দেখতে না পাবার কষ্টে জল। আর সে রাতে আমাদের খাবারটা কিন্তু বেশ জমেছিলো।
(কাল্পনিক)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ১৯/০৯/২০২৪দারুণ স্যটায়ার, অত্যন্ত মানবিক কাহিনি
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ০৮/০৪/২০২৩একটু ভিন্ন স্বাদের গল্প ! আমার ভালো লেগেছে | সাধু ও চলিত ভাষার একটু সচেতনতা দরকার !
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১১/০৩/২০২৩কল্পনার তারিফ করতে হয় বটে কিন্তু ম্যাডাম ছেলেদের গায়ের রং খুব একটা মেটার করে না !
-
দীপঙ্কর বেরা ০৬/০৩/২০২৩বেশ বেশ
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ০৪/০৩/২০২৩Khub sundor
-
শ.ম. শহীদ ২৮/০২/২০২৩
-
সালমান মাহফুজ ২৬/০২/২০২৩ভালো লিখেছেন
-
মোঃ আবিদ হাসান রাজন ২১/০২/২০২৩সুন্দর
-
সমির প্রামাণিক ২০/০২/২০২৩ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন আপনি।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৯/০২/২০২৩সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ১৮/০২/২০২৩খুবি সুন্দর