ভাজা
ভাজা:
মাছ ভাজা খেতে মজা, তা ভোজনরসিক বাঙালীদের খুবই প্রিয়। সেটা যদি কইয়ের তেলে কই ভাজা হয়! তাহলে তো কথাই নেই। ভাজতে হলে ভাজাই যায়, তবে ভেরেণ্ডা ভাজা কাজের কাজ নয়; আবার ভাজা মাছ উল্টাতে না পারা বোকামী। মাছ ভাজা, মুড়ি ভাজা, ভাত ভাজা, তেলে ভাজা; খাদ্যদ্রব্য কতভাবেই না ভাজা যায়। ভাজা হয় তপ্ত ঘি, তেল দিয়ে; বালি এবং কেবল উত্তাপ দিয়েও ভাজা হয়, যেমন মুড়ি। ভাজলে কী হয়! যাকে ভাজা হয়, তার ভেতরে থাকা রস জনিত হয়ে বের হয়ে আসে। মাছকে যখন গরম তেলে ছাড়া হয়, তখন মাছের ভেতরের রস নিঃসৃত হয়ে মাছটি আর কাঁচা থাকে না, ভাজা হয়ে খাওয়ার উপযুক্ত হয়। আগুনের তাপ দিয়ে মুড়ি ভাজা হয়, যদি ভাজার পরিমাণ বেশী হয়, তবে তা পুড়ে যায় তখন তাকে পোড়া বলে। পুড়লেও ভেতরকার রস জনিত হয়ে বের হয়ে আসে, যেমন একটি আস্ত বেগুনকে ফুটা করে আগুনে ছেড়ে দিলে তার রস সকল বের হয়ে আসবে, বেগুন ভাজা হয়ে যাবে। যে সমস্ত দ্রব্যে রস আছে, তা ভাজা হবেই। প্রায় ভাজা হল ভাজাভাজা, অনেকে ভাজাভাজা করে রান্না খেতে পছন্দ করেন।
এ তো গেল খাবারের ভাজার কথা। আগুনের পাশে বা খুব রোদে বেশীক্ষণ থাকলে শরীরে ঘাম হয়, শরীরের ভেতরের রস তখন লোমকূপ দিয়ে বের হয়ে আসে। শরীর রোদে ভাজাভাজা হলেই তবে শরীরের ভেতরে থাকা রসের জনন হয়। তো রোদে কেবল মানবশরীর ভাজাভাজা হয়, তা কিন্তু নয়। কাঁচা মাছ রোদে দিলে ভাজাভাজা হয়ে শুটকী হয়। ভাদ্রমাসের কড়া রোদে তুলে রাখা কাপড়চোপড় ভাজাভাজা করে শুকানো হয়।
ভাজা বেশী হলে পোড়া হয়ে যায়। যে মেয়ের জীবনে কষ্ট বেশী তাকে পোড়ামুখী বলা হয়। ভাজা-এর একটি অর্থ জ্বালাতন। দৃশ্য ভাজা আমরা দেখি, অদৃশ্য ভাজা চোখে দেখা যায় না, তা অন্তরকে ভাজাভাজা করে ফেলে, অন্তরকে পোড়ায়। যাকে ভাজা হয় তা জ্বলে যায় বা ঝলসে যায়, মাছ ভাজলে আমরা তার ঝলসানো রূপটা দেখি। কারও উপর অনবরত নিপীড়ন চালালে তার অন্তরটা জ্বলে যায়, তার জীবন ভাজাভাজা হয়ে যায়। সেই ভাজাটা অদৃশ্য থাকে। অনবরত এই জ্বলানো কাজ চললে, নিপীড়িতের অন্তরের রস জনিত হয়, নীরব ক্ষোভে নিঃসৃত হয় তার মনোরস। তখন সে নীরস হয়ে যায়, মন শুকিয়ে কাঠ হয়।
ভাজা > (তৎসম বা সংস্কৃত) √ভ্রস্জ্>(প্রাকৃত) ভজ্জ>(বাংলা) √ভাজ্+আ}।
ভরণ-জনন অন থাকে ভর্জ্জন-এ। ভর্জ্জন করা হয় যাকে তাই ভর্জ্জিত, যাকে আমরা ভাজা বলি। এই ভাজা হল ভাজ-এর আধার, ভাজ = ভর্জ্জ (ভজ্জ) হতে জাত।
মাছ ভাজা খেতে মজা, তা ভোজনরসিক বাঙালীদের খুবই প্রিয়। সেটা যদি কইয়ের তেলে কই ভাজা হয়! তাহলে তো কথাই নেই। ভাজতে হলে ভাজাই যায়, তবে ভেরেণ্ডা ভাজা কাজের কাজ নয়; আবার ভাজা মাছ উল্টাতে না পারা বোকামী। মাছ ভাজা, মুড়ি ভাজা, ভাত ভাজা, তেলে ভাজা; খাদ্যদ্রব্য কতভাবেই না ভাজা যায়। ভাজা হয় তপ্ত ঘি, তেল দিয়ে; বালি এবং কেবল উত্তাপ দিয়েও ভাজা হয়, যেমন মুড়ি। ভাজলে কী হয়! যাকে ভাজা হয়, তার ভেতরে থাকা রস জনিত হয়ে বের হয়ে আসে। মাছকে যখন গরম তেলে ছাড়া হয়, তখন মাছের ভেতরের রস নিঃসৃত হয়ে মাছটি আর কাঁচা থাকে না, ভাজা হয়ে খাওয়ার উপযুক্ত হয়। আগুনের তাপ দিয়ে মুড়ি ভাজা হয়, যদি ভাজার পরিমাণ বেশী হয়, তবে তা পুড়ে যায় তখন তাকে পোড়া বলে। পুড়লেও ভেতরকার রস জনিত হয়ে বের হয়ে আসে, যেমন একটি আস্ত বেগুনকে ফুটা করে আগুনে ছেড়ে দিলে তার রস সকল বের হয়ে আসবে, বেগুন ভাজা হয়ে যাবে। যে সমস্ত দ্রব্যে রস আছে, তা ভাজা হবেই। প্রায় ভাজা হল ভাজাভাজা, অনেকে ভাজাভাজা করে রান্না খেতে পছন্দ করেন।
এ তো গেল খাবারের ভাজার কথা। আগুনের পাশে বা খুব রোদে বেশীক্ষণ থাকলে শরীরে ঘাম হয়, শরীরের ভেতরের রস তখন লোমকূপ দিয়ে বের হয়ে আসে। শরীর রোদে ভাজাভাজা হলেই তবে শরীরের ভেতরে থাকা রসের জনন হয়। তো রোদে কেবল মানবশরীর ভাজাভাজা হয়, তা কিন্তু নয়। কাঁচা মাছ রোদে দিলে ভাজাভাজা হয়ে শুটকী হয়। ভাদ্রমাসের কড়া রোদে তুলে রাখা কাপড়চোপড় ভাজাভাজা করে শুকানো হয়।
ভাজা বেশী হলে পোড়া হয়ে যায়। যে মেয়ের জীবনে কষ্ট বেশী তাকে পোড়ামুখী বলা হয়। ভাজা-এর একটি অর্থ জ্বালাতন। দৃশ্য ভাজা আমরা দেখি, অদৃশ্য ভাজা চোখে দেখা যায় না, তা অন্তরকে ভাজাভাজা করে ফেলে, অন্তরকে পোড়ায়। যাকে ভাজা হয় তা জ্বলে যায় বা ঝলসে যায়, মাছ ভাজলে আমরা তার ঝলসানো রূপটা দেখি। কারও উপর অনবরত নিপীড়ন চালালে তার অন্তরটা জ্বলে যায়, তার জীবন ভাজাভাজা হয়ে যায়। সেই ভাজাটা অদৃশ্য থাকে। অনবরত এই জ্বলানো কাজ চললে, নিপীড়িতের অন্তরের রস জনিত হয়, নীরব ক্ষোভে নিঃসৃত হয় তার মনোরস। তখন সে নীরস হয়ে যায়, মন শুকিয়ে কাঠ হয়।
ভাজা > (তৎসম বা সংস্কৃত) √ভ্রস্জ্>(প্রাকৃত) ভজ্জ>(বাংলা) √ভাজ্+আ}।
ভরণ-জনন অন থাকে ভর্জ্জন-এ। ভর্জ্জন করা হয় যাকে তাই ভর্জ্জিত, যাকে আমরা ভাজা বলি। এই ভাজা হল ভাজ-এর আধার, ভাজ = ভর্জ্জ (ভজ্জ) হতে জাত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ২৩/০৬/২০২২দারুণ
-
Md. Rayhan Kazi ২০/০৬/২০২২অতুলনীয়
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০২/২০২২অতুলনীয়
-
মো.রিদওয়ান আল হাসান ০৬/০২/২০২২তথ্যবহুল...
-
রইসউদ্দিন গায়েন ১৯/০১/২০২২অভিনন্দন, আপনার লিখন-শৈলী বেশ ভাল। প্রিয়-তে রাখলাম।
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৭/০১/২০২২খুব সুন্দর আপু
-
ফয়জুল মহী ১৬/০১/২০২২সুনিপুণ অনুভূতির প্রকাশ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০১/২০২২ভাল লাগল।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৬/০১/২০২২বেশ ভাজা ভাজির লেখা ।