ভাবনা
ভাবনা
-
আমাদের স্কুল খোলার কথা ছিল ৬ জুন।
আমার আত্মীয়-স্বজনের কথা হল দীর্ঘ বন্ধ পেয়েছি। অনেকে বলেছেন আমরা বসে বসে বেতন পাচ্ছি।
এজন্য অনেকে কষ্টও পেয়েছেন।
আমার এক শিক্ষক ভাই হিসেব করে বের করেছেন আমাদের ছুটির প্রকৃত অবস্থা।
আমি সেখান থেকে সংক্ষেপে আমার মত বিষয়টি তুলে ধরছি।
যদি ৬ জুন স্কুল খুলত ( এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনে খুলবে না) তবে ১৮ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট পাঠদান বন্ধ থাকত ১৭ কার্যদিবস।১ম সাময়িক পরীক্ষায় ৮ টি কর্মদিবস লাগত।বাকি দিনগুলো শুক্রবার, বিভিন্ন পর্বের বন্ধ, গ্রীষ্মের ছুটি, রমজানের ছুটি ছিল।
করোনা পরিস্থিতির কারণে যদি শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে স্কুল খোলা হয় তবে তা হবে আত্মঘাতী।
মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, সামাজিক দূরত্ব সেই সাথে শারিরীক ভাবে সুরক্ষিত শিক্ষক ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত না করে স্কুল খোলা যাবে না।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যত , তাদের সুরক্ষা সবার আগে জরুরী।
শিক্ষকবৃন্দ কিন্তু বসে নেই, তাঁদের স্কুলের বিভিন্ন কাজ করতে হচ্ছে, মাঠ প্রশাসনের কাজেও সহযোগিতা করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষককে।
দেশের অনেক স্থানে করোনারোগী আছেন, আছেন সাইলেন্ট ক্যারিয়ার।
শিক্ষকদের ছিল না সুরক্ষা উপকরণ, তবু তাঁরা অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।
দেশের অনেক স্থানে প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন, যা আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি, একজন শিক্ষক গতকাল মারা গেছেন।
অন্য পেশার সাথে শিক্ষকতাকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।
শিক্ষকদের প্রধান কাজ শিশুদের পাঠদান।কাজেই শিক্ষকের সুস্থতাও জরুরী।
অনেকে পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরীক্ষা না নিলে কী ক্ষতি হয় আমি জানি না।
বরং এই মুহূর্তে সিলেবাসে পরিবর্তন এনে জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষাদান জরুরী, যা তারা বাড়িতে বসে পরিবেশ থেকে নিজেরাই চর্চা করতে পারবে।
আমাদের হাতে কলমে শিক্ষাদান হয় কম, এ সময়টাতে শিশুরা বাড়িতে বাগান করতে শিখুক, ছোট খাট কাজ করতে শিখুক।
যে শিক্ষা জীবনের কাজে লাগে সে শিক্ষা কী বই পড়লে পারা যায়? বই থেকে কেবল পড়া যায়, জানা যায়।
প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখতে পারলেই কেবল শিক্ষা গ্রহণ সম্পূর্ণ হল, এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসাটা জরুরী।
তখন পরীক্ষা নেওয়া, সিলেবাস শেষ করা এসব ঝামেলা আপাতত এই সময়ে থাকবে না।
সিলেবাসটা হোক এই সময়ের জীবন, এই জীবনকে মোকাবেলা করার শিক্ষাই হোক এখনকার সিলেবাস।
৩০/০৫/২০
-
আমাদের স্কুল খোলার কথা ছিল ৬ জুন।
আমার আত্মীয়-স্বজনের কথা হল দীর্ঘ বন্ধ পেয়েছি। অনেকে বলেছেন আমরা বসে বসে বেতন পাচ্ছি।
এজন্য অনেকে কষ্টও পেয়েছেন।
আমার এক শিক্ষক ভাই হিসেব করে বের করেছেন আমাদের ছুটির প্রকৃত অবস্থা।
আমি সেখান থেকে সংক্ষেপে আমার মত বিষয়টি তুলে ধরছি।
যদি ৬ জুন স্কুল খুলত ( এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনে খুলবে না) তবে ১৮ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট পাঠদান বন্ধ থাকত ১৭ কার্যদিবস।১ম সাময়িক পরীক্ষায় ৮ টি কর্মদিবস লাগত।বাকি দিনগুলো শুক্রবার, বিভিন্ন পর্বের বন্ধ, গ্রীষ্মের ছুটি, রমজানের ছুটি ছিল।
করোনা পরিস্থিতির কারণে যদি শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে স্কুল খোলা হয় তবে তা হবে আত্মঘাতী।
মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, সামাজিক দূরত্ব সেই সাথে শারিরীক ভাবে সুরক্ষিত শিক্ষক ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত না করে স্কুল খোলা যাবে না।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যত , তাদের সুরক্ষা সবার আগে জরুরী।
শিক্ষকবৃন্দ কিন্তু বসে নেই, তাঁদের স্কুলের বিভিন্ন কাজ করতে হচ্ছে, মাঠ প্রশাসনের কাজেও সহযোগিতা করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষককে।
দেশের অনেক স্থানে করোনারোগী আছেন, আছেন সাইলেন্ট ক্যারিয়ার।
শিক্ষকদের ছিল না সুরক্ষা উপকরণ, তবু তাঁরা অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।
দেশের অনেক স্থানে প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন, যা আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি, একজন শিক্ষক গতকাল মারা গেছেন।
অন্য পেশার সাথে শিক্ষকতাকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।
শিক্ষকদের প্রধান কাজ শিশুদের পাঠদান।কাজেই শিক্ষকের সুস্থতাও জরুরী।
অনেকে পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরীক্ষা না নিলে কী ক্ষতি হয় আমি জানি না।
বরং এই মুহূর্তে সিলেবাসে পরিবর্তন এনে জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষাদান জরুরী, যা তারা বাড়িতে বসে পরিবেশ থেকে নিজেরাই চর্চা করতে পারবে।
আমাদের হাতে কলমে শিক্ষাদান হয় কম, এ সময়টাতে শিশুরা বাড়িতে বাগান করতে শিখুক, ছোট খাট কাজ করতে শিখুক।
যে শিক্ষা জীবনের কাজে লাগে সে শিক্ষা কী বই পড়লে পারা যায়? বই থেকে কেবল পড়া যায়, জানা যায়।
প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখতে পারলেই কেবল শিক্ষা গ্রহণ সম্পূর্ণ হল, এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসাটা জরুরী।
তখন পরীক্ষা নেওয়া, সিলেবাস শেষ করা এসব ঝামেলা আপাতত এই সময়ে থাকবে না।
সিলেবাসটা হোক এই সময়ের জীবন, এই জীবনকে মোকাবেলা করার শিক্ষাই হোক এখনকার সিলেবাস।
৩০/০৫/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৫/০৮/২০২০সুন্দর গুছিয়ে বলেছেন
-
মৌমিতা পাল ০৪/০৬/২০২০সুন্দর ভাবনা
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ৩১/০৫/২০২০বেশ লিখেছেন
-
কুমারেশ সরদার ৩১/০৫/২০২০বাহ্!
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ৩১/০৫/২০২০সুন্দর ভাবনার উপস্থাপন।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ৩০/০৫/২০২০সুন্দর হয়েছে।
-
ফয়জুল মহী ৩০/০৫/২০২০অসামান্য ভাবনা
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০৫/২০২০এখনই স্কুল খোলা ঠিক হবে না।
আগস্ট মাসে হলে ভালো।