রেখে দাও
রেখে দাও ওটা তোমার অনেক কাজে লাগবে
----
সুলিখিত যে কোনও বই,লেখা পড়তে ভালো লাগে,তাই আমি কোনও প্রিয় লেখকের নাম বলতে পারবো না।
কয়েকদিন আগেও পড়েছি,গতকাল সুযোগ পেয়ে আবারও পড়লাম।হ্যাঁ শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্তের কথা বলছি।
মেজদা বার বার এন্ট্রান্স ফেইল করেন,সেই সন্ধ্যায় ভটচায্যি মশাই কি মারটাই না খেলেন।
আর ছিনাথ বহুরূপীর লম্বা খড়ের তৈরি লেজ বীরবিক্রমে কর্তার হুকুমে কেটে ফেলা হলো।
কর্তার বীরত্ব সম্পর্কে তার গিন্নীই কেবল অবগত।
তাই নিতান্ত তাচ্ছিল্য স্বরে গিন্নী বলেছিলেন- রেখে দাও ওটা তোমার অনেক কাজে লাগবে।
আমি প্রথমবার এবং তারপরে আরও কয়েকবার পড়েও ওই খড়ের লেজ কি কাজে লাগবে তা আবিষ্কার করতে পারি নি,এখনও পারি না।এ রহস্য অনুদঘাটিত রয়ে গেলো আজও।
তো কেটে ছেটে ছোট করে ছুঁড়ে দিলে তো!একেবারে তাক করে মুখের উপর।
" ক্ষুদ্র মতি,মোরা অতি"( মোরা, মোদের, হেথা হোথা শব্দগুলো আমি ব্যবহার করি না,প্রাচীন শব্দ)
তোমরা বলিলে," অঞ্জলী লহো মোর সঙ্গীতে"
আমরা বলিলাম," ধন্য হইলো আমাদের জীবন"
কাটা লেজটি মহাসমারোহে সগৌরবে আমাদের তুলে দিচ্ছো? এতদিন কেন দিলে না?
খুব লোকসান হয়ে যেতো বুঝি!
পাকা হিসেবী সবাই,লাভের অঙ্ক ঠিকঠাক মিলাতে দক্ষ সবাই।যার কাজ তারই সাজে,ভাত রাধবো আমি আর পরিবেশনে তুমি!
আর অনভ্যাসে বিদ্যা হৃাস পায়,অনভ্যাসের ফোঁটা চড়চড় করে।
তা যখন বলছো," রেখে দাও ওটা তোমাদের কাজে লাগবে"
আমরা বলছি,"তথাস্তু "
না বলে কি উপায় আছে?
তবে ওই যে বললাম খড়ের কাটা লেজ কি কাজে লাগবে বুঝতে পারছি না এখনও।
নাকি এটাও আরেকটি ইচ্ছাকৃত বিড়ম্বনা উপহার!
"দাও দাও যত পারো দাও,তোমার দেয়া প্রতিটি আঘাতই যে অমৃত সম,যদি পোড়াতে ভালোই লাগে তবে আরও আগুন জ্বেলে দাও,চিতার আগুন"।
--১৩/০৪/২০১৯
----
সুলিখিত যে কোনও বই,লেখা পড়তে ভালো লাগে,তাই আমি কোনও প্রিয় লেখকের নাম বলতে পারবো না।
কয়েকদিন আগেও পড়েছি,গতকাল সুযোগ পেয়ে আবারও পড়লাম।হ্যাঁ শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্তের কথা বলছি।
মেজদা বার বার এন্ট্রান্স ফেইল করেন,সেই সন্ধ্যায় ভটচায্যি মশাই কি মারটাই না খেলেন।
আর ছিনাথ বহুরূপীর লম্বা খড়ের তৈরি লেজ বীরবিক্রমে কর্তার হুকুমে কেটে ফেলা হলো।
কর্তার বীরত্ব সম্পর্কে তার গিন্নীই কেবল অবগত।
তাই নিতান্ত তাচ্ছিল্য স্বরে গিন্নী বলেছিলেন- রেখে দাও ওটা তোমার অনেক কাজে লাগবে।
আমি প্রথমবার এবং তারপরে আরও কয়েকবার পড়েও ওই খড়ের লেজ কি কাজে লাগবে তা আবিষ্কার করতে পারি নি,এখনও পারি না।এ রহস্য অনুদঘাটিত রয়ে গেলো আজও।
তো কেটে ছেটে ছোট করে ছুঁড়ে দিলে তো!একেবারে তাক করে মুখের উপর।
" ক্ষুদ্র মতি,মোরা অতি"( মোরা, মোদের, হেথা হোথা শব্দগুলো আমি ব্যবহার করি না,প্রাচীন শব্দ)
তোমরা বলিলে," অঞ্জলী লহো মোর সঙ্গীতে"
আমরা বলিলাম," ধন্য হইলো আমাদের জীবন"
কাটা লেজটি মহাসমারোহে সগৌরবে আমাদের তুলে দিচ্ছো? এতদিন কেন দিলে না?
খুব লোকসান হয়ে যেতো বুঝি!
পাকা হিসেবী সবাই,লাভের অঙ্ক ঠিকঠাক মিলাতে দক্ষ সবাই।যার কাজ তারই সাজে,ভাত রাধবো আমি আর পরিবেশনে তুমি!
আর অনভ্যাসে বিদ্যা হৃাস পায়,অনভ্যাসের ফোঁটা চড়চড় করে।
তা যখন বলছো," রেখে দাও ওটা তোমাদের কাজে লাগবে"
আমরা বলছি,"তথাস্তু "
না বলে কি উপায় আছে?
তবে ওই যে বললাম খড়ের কাটা লেজ কি কাজে লাগবে বুঝতে পারছি না এখনও।
নাকি এটাও আরেকটি ইচ্ছাকৃত বিড়ম্বনা উপহার!
"দাও দাও যত পারো দাও,তোমার দেয়া প্রতিটি আঘাতই যে অমৃত সম,যদি পোড়াতে ভালোই লাগে তবে আরও আগুন জ্বেলে দাও,চিতার আগুন"।
--১৩/০৪/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/০৪/২০২২হৃদয়গ্রাহী