বল বলি বলদ
বল,বলি,বলদ
--
বল শব্দের অর্থ পদার্থবিদ্যার ভাষায় যা বুঝি কেবলই তা নয় কিন্তু।পদার্থবিদ্যায় বল অর্থ শক্তি,কাজ করার সামর্থ্যই হচ্ছে শক্তি বা বল।
ইংরেজি ball হচ্ছে খেলার বল তা লাথি মারার বল কিংবা হাতে লোফার বল যে কোনটাই হতে পারে।
আবার বল বলতে" কথা বল না বল ওগো বন্ধু" গানের বল এর মত কথা বলার বল হতে পারে।
বাংলা একাডেমির যে অভিধান আমার সামনে সেখানে বল অর্থ-শক্তি,সামর
্থ্য,জোর,সৈন্য,সহায়।
বঙ্গীয় শব্দকোষ বল অর্থ এভাবে করেছেন
বল- বলবান,সমর্থ,বলরাম,অসুরবিশেষ,বর
ুণবৃক্ষ,কাক,সৈন্য,দেহজসামর্থ্য
,শক্তি,উচ্চারণশক্তি,দাহশক্তি,ভার-সহিষ্ণুতা,বেগ, প্রভাব,শুক্র,রক্ত,দেহ,অস্থি, পল্লব,গন্ধরস ইত্যাদি ইত্যাদি।
*
মনের কথা যখন মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয় তখন হয় বলা।
কথা যখন সমান সমান বলা ও বলি হয় তখন হয় বলাবলি।
কথার বিনিময় যখন হয় তখন একপক্ষের মনের কথা আরেক পক্ষ যখন বলে তখন সেই অন্যপক্ষ তখন চুপ করে শুনতে পারে কারণ সেটা যে মনের কথা।
মনের কথার বিনিময়ে মন বিনিময় হলে হতেও পারে।
কথার বলাবলি সমান সমান হলে তা হতে পারে আলোচনা,আর পক্ষের মধ্যে যদি ছোট বড় ভেদ থাকে তখন তা আলোচনা না হয়ে হতে পারে নির্দেশ,আদেশ,উপদেশ।
চাপানো কথা যখন বড় পক্ষ বলে তা নির্দেশ হতে বাধ্য কারণ বড়'র বল বেশি থাকে তাই সে বড় বড় কথা বলতে পারে।
বড়'র বলা ছোটর জন্য অনেক সময় বলির মত মনে হয়।
কথা আমরা যে কেবল বলি তা তো নয়,আমরা কথার বলিও হই।
এখানে বলি হল- বঙ্গীয় শব্দকোষ মতে যাহাতে বল দান করা হয়,যাহা দিতে হয়।যেমন উপহার,কর।
তাহলে বলি কেউ খুশি হয়ে দেয় না,খুশি হয়ে কেউ বলি হয় না।
অতিরিক্ত বলির শিকার হলে কপালে অকালে বলিরেখা পড়তে পারে।
*
কথা বলার যখন আমরা বলি তখন কেবল উচ্চারণ করতে দৈহিক বল খরচ হয়,তা নয়।
মানসিক বল-ও খরচ করি।সেটা খরচ করে শ্রোতাকে কথা উপহার দিই,সেটাও তো বলি।
*প
মানুষ কখন থেকে কর দিতে শুরু করল তা বল,বলি এসব শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক বিশ্লেষণে পাওয়া যায়।
যখন প্রাচীন ভারত সমাজে একদল লোক প্রচুর সম্পদবান হয় তখন তাদের উপর কর আরোপ করা হয়,জন্ম হয় বলির।
এই বলি অর্থাৎ কর-ব্যবস্থা আজও আছে।তখনকার সম্পদবানগণ যেরূপ বলবান ছিলেন,আজকের সম্পদবানগণও তাই।
তাই বলি যারা দেন তারা বিভিন্ন বলের আশ্রয়ও নেন সম্পদ রক্ষার্থে।
*
কথার জোরে কথা বলা হয়,সেটাই হয় কথা বলি,আবার কর বা খাজনাকেও বলি বলি।
করদান তাই বলিদান।
বলা হলে বলি হয়,বল দান করলে হয় বলদ।- বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
বলদ দিয়ে আগে মানুষ কৃষিকর্ম, মালটানার কাজ করাতো।বলদ বল দিলেও কথা বলতে পারে না।
বলদের তেমন বুদ্ধিশুদ্ধিও নেই।
তাই বোকা কিসিমের মানুষ বলদ বলে অভিহিত হয়।
আর কলুর বলদ?
সে আর একদিন।
--
বল শব্দের অর্থ পদার্থবিদ্যার ভাষায় যা বুঝি কেবলই তা নয় কিন্তু।পদার্থবিদ্যায় বল অর্থ শক্তি,কাজ করার সামর্থ্যই হচ্ছে শক্তি বা বল।
ইংরেজি ball হচ্ছে খেলার বল তা লাথি মারার বল কিংবা হাতে লোফার বল যে কোনটাই হতে পারে।
আবার বল বলতে" কথা বল না বল ওগো বন্ধু" গানের বল এর মত কথা বলার বল হতে পারে।
বাংলা একাডেমির যে অভিধান আমার সামনে সেখানে বল অর্থ-শক্তি,সামর
্থ্য,জোর,সৈন্য,সহায়।
বঙ্গীয় শব্দকোষ বল অর্থ এভাবে করেছেন
বল- বলবান,সমর্থ,বলরাম,অসুরবিশেষ,বর
ুণবৃক্ষ,কাক,সৈন্য,দেহজসামর্থ্য
,শক্তি,উচ্চারণশক্তি,দাহশক্তি,ভার-সহিষ্ণুতা,বেগ, প্রভাব,শুক্র,রক্ত,দেহ,অস্থি, পল্লব,গন্ধরস ইত্যাদি ইত্যাদি।
*
মনের কথা যখন মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয় তখন হয় বলা।
কথা যখন সমান সমান বলা ও বলি হয় তখন হয় বলাবলি।
কথার বিনিময় যখন হয় তখন একপক্ষের মনের কথা আরেক পক্ষ যখন বলে তখন সেই অন্যপক্ষ তখন চুপ করে শুনতে পারে কারণ সেটা যে মনের কথা।
মনের কথার বিনিময়ে মন বিনিময় হলে হতেও পারে।
কথার বলাবলি সমান সমান হলে তা হতে পারে আলোচনা,আর পক্ষের মধ্যে যদি ছোট বড় ভেদ থাকে তখন তা আলোচনা না হয়ে হতে পারে নির্দেশ,আদেশ,উপদেশ।
চাপানো কথা যখন বড় পক্ষ বলে তা নির্দেশ হতে বাধ্য কারণ বড়'র বল বেশি থাকে তাই সে বড় বড় কথা বলতে পারে।
বড়'র বলা ছোটর জন্য অনেক সময় বলির মত মনে হয়।
কথা আমরা যে কেবল বলি তা তো নয়,আমরা কথার বলিও হই।
এখানে বলি হল- বঙ্গীয় শব্দকোষ মতে যাহাতে বল দান করা হয়,যাহা দিতে হয়।যেমন উপহার,কর।
তাহলে বলি কেউ খুশি হয়ে দেয় না,খুশি হয়ে কেউ বলি হয় না।
অতিরিক্ত বলির শিকার হলে কপালে অকালে বলিরেখা পড়তে পারে।
*
কথা বলার যখন আমরা বলি তখন কেবল উচ্চারণ করতে দৈহিক বল খরচ হয়,তা নয়।
মানসিক বল-ও খরচ করি।সেটা খরচ করে শ্রোতাকে কথা উপহার দিই,সেটাও তো বলি।
*প
মানুষ কখন থেকে কর দিতে শুরু করল তা বল,বলি এসব শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক বিশ্লেষণে পাওয়া যায়।
যখন প্রাচীন ভারত সমাজে একদল লোক প্রচুর সম্পদবান হয় তখন তাদের উপর কর আরোপ করা হয়,জন্ম হয় বলির।
এই বলি অর্থাৎ কর-ব্যবস্থা আজও আছে।তখনকার সম্পদবানগণ যেরূপ বলবান ছিলেন,আজকের সম্পদবানগণও তাই।
তাই বলি যারা দেন তারা বিভিন্ন বলের আশ্রয়ও নেন সম্পদ রক্ষার্থে।
*
কথার জোরে কথা বলা হয়,সেটাই হয় কথা বলি,আবার কর বা খাজনাকেও বলি বলি।
করদান তাই বলিদান।
বলা হলে বলি হয়,বল দান করলে হয় বলদ।- বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
বলদ দিয়ে আগে মানুষ কৃষিকর্ম, মালটানার কাজ করাতো।বলদ বল দিলেও কথা বলতে পারে না।
বলদের তেমন বুদ্ধিশুদ্ধিও নেই।
তাই বোকা কিসিমের মানুষ বলদ বলে অভিহিত হয়।
আর কলুর বলদ?
সে আর একদিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নুর হোসেন ১৭/১১/২০১৯ধন্যবাদ, ভাল কিছু জানা হলো।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/১১/২০১৯এক কথায় অসাধারণ। দারুণ লাগলো পড়ে।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/১১/২০১৯ভালো লাগলো।