অন্বেষণ
অন্বেষণ
--
"লং জেইদ না কা কিনথেই"- অর্থাৎ মেয়েদের থেকেই মানবগোষ্ঠীর উৎপত্তি।
এটি একটি খাসিয়া অষ্ট্রিক জনগোষ্ঠীর মিথ।
ড.এ.এইচ. ডেনীর মতে "প্রাগতৈহাসিক যুগে পূর্ব ভারত একটি মাত্র সংস্কৃতি দ্বারা গঠিত।বার্মা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ চীন এবং ভারত মিলে এই সংস্কৃতি গঠিত ছিল।"
- সূত্রঃমালিক আনোয়ার।
একটি জাতিগোষ্ঠীকে চেনার জন্য প্রস্তর ও নব্য প্রস্তর যুগের ব্যবহৃত প্রাপ্ত জিনিসপত্র বিবেচ্য।
পৃথিবীতে আগমনের পর মানুষ নানা ধাপ অতিক্রম,নানা প্রক্রিয়া, কর্মপন্থা সম্পাদন শেষে মানুষ আজকের এই যুগে পরিক্রমণ শুরু করেছে।মানুষ বৈচিত্র পিয়াসী,নানামুখী অন্বেষণ,নতুনত্বের সন্ধানে নব নব আবিষ্কারে আজকের পর্যায়ে পৌঁছানো।
বহু বহু যুগ কেটেছে মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য,টিকে থাকার লড়াইয়ে অনিবার্য অনুসন্ধানে নিজেই বের করেছে পথ,আবিষ্কার করেছে হাতিয়ার,প্রতিকূল বিরূপ পরিবেশে নিজেকে সমর্পণ করেছে নিজের তৈরি বিশ্বাসের কাছে।
ক্রমশ সভ্যতা বিকশিত হয়েছে মানুষের দ্বারাই- পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষগুলো জীবন নিয়ে যুদ্ধ করেছে- তারপর ধীরে ধীরে পা রেখেছে নতুন আরেকটি পর্যায়ে।
ভারত উপমহাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
" আমাদের গর্বিত সভ্যতার ভাঁজে ভাঁজে অশ্রু ও কালিমার যে ধারাটি সংগুপ্ত রয়েছে,অপ্রিয় হলেও সত্য যে, তাকে তুলে না ধরে বরং মাটি চাপা দেওয়ার একটি সযত্ন প্রয়াস কারো কারো মধ্যে লক্ষ করা যায়।"
- রসময় মোহান্ত।
আমরা মনে করি না যে আমাদের গৌরবান্বিত সমৃদ্ধ একটি অতীত ছিল,আমরা বরং মনে করি বহিরাগত সভ্যতা আমাদের উত্তরণে সহায়তা করেছে,আমাদের সভ্য করেছে।
বিবর্তন ও সভ্যতার বিকাশ, সংস্কৃতির রূপান্তর বিষয়টি ব্যাপক গবেষণার অবকাশ রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-
"কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা
দুর্বার স্রোতে এল কোথা থেকে,সমুদ্রে হল হারা।
হেথায় আর্য,হেথা অনার্য,হেথায় দ্রাবিড় চীন
শকহুনদল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।"
--- সভ্যতার পথ পরিক্রমায় মানুষ দেশান্তরী হয়েছে,সংকর হয়েছে- পরস্পর আদান-প্রদানে সমৃদ্ধ হয়েছে।পৃথিবীর ইতিহাসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কখনও নিজেরা, কখনও অন্যদের সহায়তায় প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা করেছে।
জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার কর্মপ্রণালীর হাত ধরেই এসেছে সংস্কৃতি।সংস্কৃতি মানবজীবনের তাই অপরিহার্য একটি অঙ্গ।
--১৩/০৯/২০১৯
--
"লং জেইদ না কা কিনথেই"- অর্থাৎ মেয়েদের থেকেই মানবগোষ্ঠীর উৎপত্তি।
এটি একটি খাসিয়া অষ্ট্রিক জনগোষ্ঠীর মিথ।
ড.এ.এইচ. ডেনীর মতে "প্রাগতৈহাসিক যুগে পূর্ব ভারত একটি মাত্র সংস্কৃতি দ্বারা গঠিত।বার্মা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ চীন এবং ভারত মিলে এই সংস্কৃতি গঠিত ছিল।"
- সূত্রঃমালিক আনোয়ার।
একটি জাতিগোষ্ঠীকে চেনার জন্য প্রস্তর ও নব্য প্রস্তর যুগের ব্যবহৃত প্রাপ্ত জিনিসপত্র বিবেচ্য।
পৃথিবীতে আগমনের পর মানুষ নানা ধাপ অতিক্রম,নানা প্রক্রিয়া, কর্মপন্থা সম্পাদন শেষে মানুষ আজকের এই যুগে পরিক্রমণ শুরু করেছে।মানুষ বৈচিত্র পিয়াসী,নানামুখী অন্বেষণ,নতুনত্বের সন্ধানে নব নব আবিষ্কারে আজকের পর্যায়ে পৌঁছানো।
বহু বহু যুগ কেটেছে মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য,টিকে থাকার লড়াইয়ে অনিবার্য অনুসন্ধানে নিজেই বের করেছে পথ,আবিষ্কার করেছে হাতিয়ার,প্রতিকূল বিরূপ পরিবেশে নিজেকে সমর্পণ করেছে নিজের তৈরি বিশ্বাসের কাছে।
ক্রমশ সভ্যতা বিকশিত হয়েছে মানুষের দ্বারাই- পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষগুলো জীবন নিয়ে যুদ্ধ করেছে- তারপর ধীরে ধীরে পা রেখেছে নতুন আরেকটি পর্যায়ে।
ভারত উপমহাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
" আমাদের গর্বিত সভ্যতার ভাঁজে ভাঁজে অশ্রু ও কালিমার যে ধারাটি সংগুপ্ত রয়েছে,অপ্রিয় হলেও সত্য যে, তাকে তুলে না ধরে বরং মাটি চাপা দেওয়ার একটি সযত্ন প্রয়াস কারো কারো মধ্যে লক্ষ করা যায়।"
- রসময় মোহান্ত।
আমরা মনে করি না যে আমাদের গৌরবান্বিত সমৃদ্ধ একটি অতীত ছিল,আমরা বরং মনে করি বহিরাগত সভ্যতা আমাদের উত্তরণে সহায়তা করেছে,আমাদের সভ্য করেছে।
বিবর্তন ও সভ্যতার বিকাশ, সংস্কৃতির রূপান্তর বিষয়টি ব্যাপক গবেষণার অবকাশ রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-
"কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা
দুর্বার স্রোতে এল কোথা থেকে,সমুদ্রে হল হারা।
হেথায় আর্য,হেথা অনার্য,হেথায় দ্রাবিড় চীন
শকহুনদল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।"
--- সভ্যতার পথ পরিক্রমায় মানুষ দেশান্তরী হয়েছে,সংকর হয়েছে- পরস্পর আদান-প্রদানে সমৃদ্ধ হয়েছে।পৃথিবীর ইতিহাসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কখনও নিজেরা, কখনও অন্যদের সহায়তায় প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা করেছে।
জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার কর্মপ্রণালীর হাত ধরেই এসেছে সংস্কৃতি।সংস্কৃতি মানবজীবনের তাই অপরিহার্য একটি অঙ্গ।
--১৩/০৯/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ খসরুল আলম মানিক ০৩/০৮/২০২০বেশ তথ্যবহুল।
-
হাসান আল মাহদী ১৮/১১/২০১৯ভালো লেগেছে।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৭/১১/২০১৯ভালো লাগলো।
-
আরজু নাসরিন পনি ১৫/১১/২০১৯বাহ সুন্দর
-
অমরাবতী বসু ১৪/১১/২০১৯কি সুন্দর
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৪/১১/২০১৯দারুণ লেখা। মনে প্রাণে সাড়া জাগায়।
-
হাসান ইবনে নজরুল ১৩/১১/২০১৯বাহ অল্প কথায় কিছুর বিবরণ দিলেন। ভাল লাগল